র‌্যাবে মার্কিন সহায়তা বন্ধ ২০১৮ সাল থেকেই : যুক্তরাষ্ট্র

রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ১৫ অক্টোবর ২০২২, ০৫:৪৮

নেড প্রাইস

মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে গত বছরের শেষদিকে র‌্যাবের সাবেক ও বর্তমান ছয় জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র।

এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রই র‌্যাবকে সব ধরনের সহযোগিতা করে। প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে এবার যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, ২০১৮ সাল থেকেই র‌্যাবে মার্কিন সহায়তা বন্ধ।

ওয়াশিংটনে গত বুধবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানান মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র নেড প্রাইস। তিনি বলেন, ২০১৮ সালেই বাংলাদেশের র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে সহযোগিতা দেওয়া বন্ধ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বাহিনীটির বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিশ্বাসযোগ্য তথ্য পাওয়ার পর এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

র‌্যাবের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পর দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে এ নিয়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়। সেই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের পরামর্শেই র‌্যাব গঠন করা হয়েছে। তারাই এই বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। সুতরাং যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে যে প্রশিক্ষণ পেয়েছে, র‌্যাব তাই করেছে।

নেড প্রাইস বলেন, আমাদের সিদ্ধান্তের বিষয়ে বাংলাদেশ বিবেচনায় ছিল না। বিশ্বের যে কোনো দেশ কিংবা যে কোনো প্রান্তে মানবাধিকার সমুন্নত রাখার বিষয়টিকে বিবেচনার কেন্দ্রে রাখে যুক্তরাষ্ট্র। সে হিসেবে র‌্যাবের মধ্যে জবাবদিহি ও সংস্কার নিশ্চিত করার জন্য এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে

এই অঙ্গীকারের ধারাবাহিকতায় এ বিষয়টিতে মনোযোগ আনার পাশাপাশি যারা মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ী, তাদের সামনে নিয়ে আসি। র‌্যাব এবং এর ছয় কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা ও ভিসায় বিধিনিষেধের লক্ষ্য হচ্ছে, বাহিনীটিতে জবাবদিহি ও সংস্কার নিশ্চিতের পাশাপাশি বিশ্বজুড়ে মানবাধিকার লঙ্ঘন রোধ করা।

মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহি নিশ্চিতের পাশাপাশি অপরাধ দমনে নিজেদের সামর্থ্য, বিচারিক কার্যক্রম এবং আইনের শাসনের সুরক্ষা জোরদারের লক্ষ্যে অংশীদার দেশগুলোর সঙ্গে আমাদের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।

বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশের ওপর সরকারের হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বলেন, সমাবেশ ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার সর্বজনীন অধিকারের চর্চাকারীদের ওপর হামলার ক্ষেত্রে আমাদের বক্তব্য অভিন্ন।

শান্তিপূর্ণ উপায়ে এবং আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে শান্তিপূর্ণভাবে কথা বলা, সমাবেশ করা এবং নিজেদের আকাঙ্ক্ষার চর্চার অধিকার  সবখানেই আছে।

 

 




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top