খালি মাঠে গোল দেব না, শক্ত খেলা চাই: ওবায়দুল কাদের

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আটঘাট বেঁধে নেমেছেন জানি। এও জানি, লন্ডনের ডান হাত আপনি (ফখরুল) নন। সব গোপন খবর আপনি পান। জানিয়ে দিচ্ছি, আমরা কিন্তু মাঠে আছি। আমরা রাজপথে আছি। তলে তলে কৌশল কী করছেন জানি। ভোটে জিততে পারবেন না, সে জন্য এখন চোরাগোপ্তা পথে আবারো আগুন সন্ত্রাস করবেন। প্রস্তুতি নিচ্ছেন জঙ্গিবাদকে আবারও মাঠে নামাবেন, তার ইশারা-আলামত আমরা বুঝতে পারছি।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি শেষ পর্যন্ত পানি ঘোলা করে আসবে। আসবে, শেষ বেলায় আসবে। আরেকবার সাধিলে খাইব। গতবারও আসবে না, শেষ পর্যন্ত এলো। না এসে যাবে কোথায়! না এসে পালাতে পারে। একজন পালিয়েছেন, বাকিরাও পালানোর পথ খুঁজবেন।

ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির গণঅভ্যুত্থান গোলাপগঞ্জের গরুর হাটে গিয়ে গুরুতর আহত। আহত হয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে পদযাত্রা। এখন খোঁড়াতে খোঁড়াতে পদযাত্রা করছে, ছুটতে আর পারছে না।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, জেলায়-বিভাগে সমাবেশ-বিক্ষোভ, এখন আবার গ্রামে ইউনিয়নে ইউনিয়নে। কালকে পত্রিকার বন্ধুদের বলব, মিডিয়াকে বলব, কয়টা ইউনিয়নে বিএনপির পদযাত্রা হচ্ছে? আগে খবর নিয়ে দেখুন, সত্যটা তুলে ধরুন। আমাদের কিন্তু আজ সারা বাংলাদেশে শান্তি সমাবেশ হচ্ছে। সব ইউনিয়নে। খবর পেয়েছি, শান্তি সমাবেশ সফল হয়েছে।

দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে সেতুমন্ত্রী বলেন, যে হাতে ভাঙচুর করবে, সেই হাত আমরা ভেঙে দেব। নেতাকর্মীদের ওবায়দুল কাদের বলেন, আক্রমণে যাবেন না। আক্রমণ করলে পালটা আক্রমণ করতেই হবে। ২০১৩-১৪ সাল মনে আছে? কীভাবে গাছ-রাস্তা কেটেছে, রেল লাইন পুড়িয়েছে, বাসে হামলা চালিয়ে নিরীহ যাত্রীদের পুড়িয়েছেন, ড্রাইভার-কনডাক্টরকে মেরেছেন, সারা দেশে ভূমি অফিসে আগুন দিয়েছেন, বিদ্যুৎকেন্দ্র পুড়িয়ে দিয়েছেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ১০ ডিসেম্বর থেকে এ পর্যন্ত কোনো বিভাগে আওয়ামী লীগের লোকেরা বিএনপির ওপর কোনো সমাবেশে হামলা চালিয়েছে? এর প্রমাণ আছে? তাহলে কেন পাল্টাপাল্টি বলবেন?

তিনি আরও বলেন, পাল্টাপাল্টি করি না। পাল্টাপাল্টি করলে যখন আপনারা ক্ষমতায় ছিলেন, রাস্তায় দাঁড়াতে দেননি। আমরা সভা করলে পাল্টা সমাবেশ, ১৪৪ ধারা দিয়ে পুলিশ সমাবেশ বন্ধ করত। আমাদের পার্টি অফিসের সামনে সমাবেশ করতে দেননি। আমাদের পার্টি অফিসে সামনে শান্তি সমাবেশ করছিলাম, আমাদের নেত্রীকে টার্গেট করে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিল বিএনপি।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা করছি আমাদের সমাবেশ। আমরা একই রকম করছি না। নির্বাচন পর্যন্ত প্রতিদিনই আমাদের সমাবেশ হবে। আমরা ডাকি সমাবেশ, হয়ে যায় মহাসমাবেশ। বিএনপি ডাকে মহাসমাবেশ, হয়ে যায় কোনো রকম একটা সমাবেশ।

তিনি বলেন, সাহস আছে আপনাদের? সাহস ছিল আপনাদের নেতার? পালিয়ে গেল কেন? ওখানে বসে বসে ফেসবুক লাইভে হুঙ্কার ছোড়ে। সৎ সাহস থাকলে আসুন, মোকাবিলা হবে। রাজপথে খেলা হবে, আসুন। শনিবার দুপুর ১২টায় সুনামগঞ্জ সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে এ কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।