গার্মেন্টসে ঈদের ছুটি শুরু ২১ এপ্রিল থেকে

রাজিউর রাহমান | প্রকাশিত: ৩০ মার্চ ২০২৩, ১৮:০৯

গার্মেন্টস শ্রমিক

ঈদুল ফিতর ২২ এপ্রিল উদযাপিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় ২১ এপ্রিল থেকে পোশাক কর্মীদের ছুটি শুরু হবে। তবে সড়ক, রেল ও লঞ্চ যাত্রায় চাপ এড়াতে ধাপে ধাপে বিজিএমইএকে শ্রমিকদের ধাপে ধাপে ছুটি দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরগুলো।

২০২৩ সালে ঈদ-উল-ফিতরে ছুটির বিষয়ে পোশাক খাতের শ্রমিক ও কারখানা মালিকদের জন্য কিছু নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।

বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান সদস্যদের এক চিঠিতে এ নির্দেশনা দেন। রপ্তানিমুখী পোশাক শিল্পে নিয়োজিত শ্রমিকদের ঈদের ছুটিতে গ্রাম থেকে নিরাপদে যাতায়াত নিশ্চিত করতে নির্দেশনা মেনে চলার আহ্বান জানান তিনি।

কারখানা মালিকদের প্রতি বিজিএমইএ’র চিঠিতে বলা হয়, ঈদের ছুটিতে সড়ক, রেল এবং লঞ্চযাত্রায় একই দিন অতিরিক্ত শ্রমিকের চাপ কমানোর লক্ষ্যে সরকারের বিভিন্ন দফতর থেকে ধাপে ধাপে শ্রমিকদের ছুটি দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। কারখানা কর্তৃপক্ষ যদি মনে করেন, তবে রমজান মাসে বিভিন্ন সরকারি বা সাপ্তাহিক ছুটির দিনে শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করে জেনারেল ডিউটি করে এসব ছুটি সমন্বয় করা যাবে।

শ্রমিকদের জন্য ৬ নির্দেশনা

ঈদের আগে শেষ কার্যদিবসে শ্রমিকদের ছুটির প্রাক্কালে মালবোঝাই করা ট্রাকে যাতায়াত না করা, তাড়াহুড়ো না করা, রাস্তায় যান চলাচল স্বাভাবিক রেখে ফুটপাত দিয়ে হাঁটা, সাধারণ মানুষের যাতায়াতে বিঘ্ন না করা, অপরিচিত লোকদের দেওয়া খাবার না খাওয়ার বিষয়ে সচেতন করার আহ্বান জানানো হয়।

চিঠিতে বলা হয়, শেষ কর্ম দিবসে শ্রমিকদের নিরাপদে গ্রামের উদ্দেশে যাত্রা করার জন্য প্রয়োজনে কারখানা কর্তৃপক্ষ ৮ থেকে ১০ জনের টিম গঠন করে স্থানীয় ট্রাফিক ডিপার্টমেন্টের সহযোগিতা নিতে পারবেন। কোনো পক্ষ যাতে শ্রমিক অসন্তুষ্ট হওয়ার ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করতে না পারে, সে বিষয়েও দৃষ্টি রাখতে হবে।

কারও প্ররোচনায় শ্রম অসন্তোষ সংঘটিত হতে পারে, এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত জানতে পারলে প্রয়োজনে স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, কলকারখানা অধিদপ্তর অথবা বিজিএমইএ’র সঙ্গে আলোচনা করার অনুরোধ জানিয়েছে পোশাক মালিকদের এই সংগঠনটি।

 

 




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top