সেপ্টেম্বরে চালু হবে উড়াল সড়কের বিমানবন্দর-ফার্মগেট অংশ

রাজিউর রেহমান | প্রকাশিত: ৮ জুলাই ২০২৩, ২৩:৫৫

ছবি: সংগৃহীত

আগামী সেপ্টেম্বর মাসে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। শনিবার (৮ জুলাই) সকালে সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের বলেন, এই অংশটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এ বছর ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ফার্মগেট পর্যন্ত আমাদের টার্গেট। মাঝখানে হাতিরঝিলের অংশ নিয়ে সংশোধনী নিয়ে ঢাকা সিটি করপোরেশনের প্রস্তাব আছে। প্রধানমন্ত্রী নিজেই বিষয়টি দেখছেন এবং নিষ্পত্তি তিনিই করছেন।

এক প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, গাজীপুর থেকে কাউলা এই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়ি উঠে যাবে, এরপর এই গাড়ি ঢাকা-চট্টগ্রামের কুতুবখালীতে গিয়ে নামবে। তাতে ঢাকা শহরের যানজট পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে এবং এখানে যানবাহনে চাপ অনেক কমে যাবে। 'আর আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এর সঙ্গে এসে লিংকড হয়ে যাবে।

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে কোন ধরনের যানবাহন চলাচল করতে পারবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'থ্রি-হুইলার বাদ যাবে। মোটরসাইকেলও চলবে না।'

এদিকে, সরকারি-বেসরকারি যৌথ বিনিয়োগে (পিপিপি) তিন ধাপে উড়াল সড়ক প্রকল্পের বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। প্রথম ধাপ হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দক্ষিণে কাওলা থেকে বনানী রেলস্টেশন পর্যন্ত।

দ্বিতীয় ধাপ বনানী রেলস্টেশন থেকে মগবাজার রেলক্রসিং পর্যন্ত। তৃতীয় ধাপ মগবাজার রেলক্রসিং থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত। এই উড়াল সড়কের মোট দৈর্ঘ্য ১৯.৭৩ কিলোমিটার।

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের রুট হচ্ছে-কাওলা, কুড়িল, বনানী, মহাখালী, তেজগাঁও, মগবাজার, কমলাপুর, সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত। প্রকল্পটির বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৮ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ৩২ দলের এই জগাখিচুড়ির ঐক্যে এক দফার আন্দোলনের পতন অনিবার্য। যে লক্ষ্য নিয়ে জগাখিচুড়ির এই ঐক্য, তাতে ফল আসবে অসহনীয়।

ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকার যেমন আছে তেমনই থাকবে। একটা ঢেউও তো জাগাতে পারেনি। তাদের আন্দোলনের নেতা কে? ক্যাপ্টেন ছাড়া কি জাহাজ চলবে? এই জগাখিচুড়ি ঐক্যে দফায় দফায় পরিবর্তন হচ্ছে। এই ৩২ দল টিকবে কিনা তার গ্যারান্টি নেই। আগে তো ছিল ৫৪ দল। এই জগাখিচুড়ি ঐক্যের পতন অনিবার্য।

মার্কিন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলের বাংলাদেশে আগমন নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, মার্কিন প্রতিনিধি দল আসছে নির্বাচন সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে নয়। তারা রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতি জানতে আসছেন। আর ইইউ প্রতিনিধি দল আসছে নির্বাচনে পর্যবেক্ষক দল কিভাবে পর্যবেক্ষণ করবে তা দেখতে।




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top