নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ: চলে যাওয়ার ১১ বছর

রাজিউর রাহমান | প্রকাশিত: ২০ জুলাই ২০২৩, ০০:২৯

ছবি: সংগৃহীত

হুমায়ূন আহমেদ। যাকে এক কথায় বাংলা সাহিত্যের জাদুকর বলা হয়। কারণ কথাসাহিত্যে তিনি যে মুগ্ধতা ছড়িয়েছেন, নির্মাণে যে নিজস্ব আলো জ্বালিয়েছেন, তা চির ভাস্বর। 

আজ ১৯ জুলাই বুধবার। হুমায়ুন ভক্তদের কাছে বিষণ্ণ বিদায়ের দিন। ২০১২ সালের এই দিনে না ফেরার দেশে চলে যান তিনি। সেই হিসাবে আজ তার ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনার কুতুবপুরে জন্মেছিলেন হুমায়ূন আহমেদ।

বাংলাদেশের কথাসাহিত্যে তিনি নাটকের মতো সংলাপপ্রধান নতুন শৈলীর জনক, অন্যদিকে বাংলা বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনির নতুন ধারার প্রবর্তক। নাটক ও চলচ্চিত্রের কাহিনি রচনা, গান লেখা এবং পরিচালনায় তিনি ব্যাপক দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন।

 কলমের আঁচড়ে তিনি যে গল্পজগত তৈরি করেছেন, তা আজও সবার কাছে বিস্ময়। তার রচিত তিন শরও বেশি বই প্রকাশিত হয়। যেগুলো দেশ ছাড়িয়ে বিদেশের পাঠকের কাছেও হয়েছে সমাদৃত।

বিনোদন জগতে হুমায়ূন আহমেদ কালজয়ী হয়ে আছেন তার অনবদ্য সব নির্মাণ ও রচনার সুবাদে। এই অধ্যায়ের সূচনা হয় আশির দশকে।

১৯৮৫ সালে ‘এইসব দিনরাত্রি’ ধারাবাহিক দিয়ে সাফল্যের আকাশ স্পর্শ করেন হুমায়ূন আহমেদ। এরপর বহু নন্দিত নাটক উপহার দিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেন তিনি। এসব নাটক এখনও দর্শকের মনে গেঁথে আছে।

নব্বই দশকে চলচ্চিত্র নির্মাণে হাত দেন হুমায়ূন আহমেদ। তার নির্মিত প্রথম সিনেমা ‘আগুনের পরশমণি’ মুক্তি পায় ১৯৯৪ সালে।

এরপর তিনি একে একে নির্মাণ করেছেন ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’, ‘দুই দুয়ারী’, ‘চন্দ্রকথা’, ‘শ্যামল ছায়া’, ‘আমার আছে জল’, ‘নয় নম্বর বিপদ সংকেত’ ও ‘ঘেটুপুত্র কমলা’ সিনেমাগুলো।

কাহিনিকার, চিত্রনাট্যকার, গীতিকার, পরিচালক বিভিন্ন বিভাগে তিনি মোট আটটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। এছাড়া একুশে পদক, বাংলা একাডেমি পুরস্কার, শিশু একাডেমি পুরস্কারসহ দেশ-বিদেশে বিভিন্ন সম্মাননা অর্জন করেছেন।




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top