বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে শুরু বিএনপির দ্বিতীয় দিনের অবরোধ
রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ১ নভেম্বর ২০২৩, ১২:৪১
দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে সারা দেশে দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে বিএনপি-জামায়াতের সড়ক, রেল ও নৌ-পথ অবরোধ কর্মসূচি। স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় যান চলাচল অনেকটাই কম। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অফিস-আদালত খোলা থাকায় তাই বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া তিন দিনের সড়ক, রেল ও নৌপথের অবরোধ চলবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত। রাজধানীতে চলছে সীমিত সংখ্যক যানবাহন। সতর্ক অবস্থান নিয়েছেআইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
বুধবার সকাল থেকে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া খুব একটা রাস্তায় বের হতে দেখা যায়নি সাধারণ মানুষকে। দূরপাল্লার বাসগুলোকে দেখা গেছে বাসস্ট্যান্ডে অবস্থান করতে। ট্রেন চলছে, তবে সীমিত সংখ্যক যাত্রী নিয়ে। লঞ্চ ছেড়েছে, তাতেও যাত্রী কম ছিল।
এদিকে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত রাজধানীর সাত কলেজের চূড়ান্ত পরীক্ষা চলমান। সকাল সাড়ে ৯ টায় পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও অনেকেই সকাল ৭টার পর থেকেই কেন্দ্রের সামনে আসতে শুরু করেছেন।
ইডেন মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী সিনথিয়া তাবাসুম বলেন, আমাদের পরীক্ষা চলছে। রাস্তায় সমস্যা হতে পারে সে আশঙ্কা থেকেই আগে আগে চলে এসেছি। আমি মিরপুরে থাকি। সকালে রাস্তায় জ্যাম পাইনি। সাড়ে ৬টায় কেন্দ্রের সামনে চলে এসেছি। এখন আর টেনশন নাই।
গত ২৮ অক্টোবর ঢাকার নয়াপল্টনের মহাসমাবেশে পুলিশি হামলা, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের প্রতিবাদ ও সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে এই কর্মসূচির ডাক দেয় বিএনপি।
পরে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীও তিন দিনের অবরোধের কথা ঘোষণা করে। এছাড়া গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, এলডিপি, গণফোরাম-পিপলস পার্টি, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য, গণ অধিকার পরিষদ, লেবার পার্টি, এনডিএমসহ সরকার পদত্যাগের যুগপৎ আন্দোলনের সাথে যুক্ত দলগুলো অবরোধ কর্মসূচি করে।
গতকাল অবরোধের প্রথম দিনে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীদের মিছিল, অবস্থান ও সংঘর্ষের কারণে সাধারণ মানুষের চলাচল ছিল খুবই কম। একান্ত প্রয়োজন ছাড়া মানুষ বাসার বাইরে বের হয়নি।
বিএনপি ও জামায়াতের ডাকা টানা তিন দিনের অবরোধে সারাদেশে পণ্যবাহী গাড়ি ও বাস চালানোর ঘোষণা দিয়ে নিরাপত্তা চেয়েছে পরিবহন মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি। একই সঙ্গে যেসব গাড়ি ভাঙচুর ও পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে, সেগুলোর জন্য ক্ষতিপূরণের দাবিও জানানো হয়েছে। সোমবার সমিতির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মালিক-শ্রমিকদের যৌথসভায় এই সিদ্ধান্ত হয় বলে সংগঠনের মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।