• ** জাতীয় ** আমরা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস করেছি : শেখ হাসিনা ** আবারও তিন দিনের ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি ** চুয়াডাঙ্গায় হিট স্ট্রোকে দুই নারীর মৃত্যু ** ইউআইইউ ক্যাম্পাসে ‘কৃত্রিম বৃষ্টি’ নিয়ে তোলপাড় সারাদেশ ** সিলেটে মসজিদে যাওয়ার পথে বজ্রপাতে ইমামের মৃত্যু ** নরসিংদীতে হিট স্ট্রোকে যুবকের মৃত্যু ** সব ধরনের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন : https://www.newsflash71.com ** সব ধরনের ভিডিও দেখতে ভিজিট করুন : youtube.com/newsflash71 ** লাইক দিন নিউজফ্ল্যাশের ফেসবুক পেইজে : fb/newsflash71bd **


হরতাল আর অবরোধের পার্থক্য জানেন? যেন এক গোলকধাঁধা

রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ২৮ নভেম্বর ২০২৩, ১৫:৩৪

ছবি: সংগৃহীত

হরতাল ও অবরোধের পার্থক্য কী?

আন্দোলনের হাতিয়ার হিসেবে রাজনৈতিক দলগুলো হরতাল বা অবরোধ কর্মসূচি দেয়। এর মাধ্যমে দাবি আদায়ে সরকারকে বাধ্য করার চেষ্টা করে দলগুলো। এতে কখনও সফলতা আসে, আবার কখনও ব্যর্থ হয় দাবি আদায়ের চেষ্টা। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারও নানা ধরনের পদক্ষেপ নেয়।

নির্বাচন ঘিরে এখন উত্তাল রাজনীতি। বিভিন্ন দাবি-দাওয়া আদায়ে হরতাল ও অবরোধ কর্মসূচির ঘোষণা আসছে প্রতিদিন। রাজনীতির ময়দান সরগরম করে রেখেছে সরকার বিরোধীরা। স্বাভাবিকভাবেই হরতাল আর অবরোধর মধ্যে পার্থক্য কী– এই প্রশ্নটি ঘোরাফেরা করছে অনেকের মধ্যে।

হরতাল ও অবরোধের মধ্যকার ফারাক ধরতে পারেন না অনেকেই। প্রায়ই দেখা যায়, দুটি কর্মসূচিতেই থাকে একই ধরনের রাজনৈতিক পদক্ষেপ। এ দুটোর মধ্যে আদতে মিল থাকলেও হরতাল আর অবরোধের মৌলিক কিছু পার্থক্য রয়েছে। একনজরে দেখা নেয়া যাক সেই ফারাকগুলো।

হরতাল কী:

হরতাল বলতে বোঝায় সরকারের বিরুদ্ধে জনগণের সম্মিলিত আন্দোলন। হরতালের সময় আন্দোলন সমর্থনকারীরা সকল কর্মক্ষেত্র, দোকান, অফিস-আদালত বন্ধ রাখে। কেবল জরুরি পরিষেবাগুলো হরতালের আওতামুক্ত থাকে। হরতালের সঙ্গে মানুষের সাড়া দেয়ার একটি সম্পর্ক রয়েছে।

সহজ কথায়- রাজনৈতিক বা অন্য কোনো সংগঠন হরতাল আহ্বান করবে; মানুষ তাতে সাড়া দিয়ে পরিবহন, দোকানপাট, অফিস-আদালত বন্ধ রাখবে। এই কর্মসূচি মূলত জোর-জবরদস্তির বিষয় না। এটা সম্পূর্ণ ব্যক্তির নিজস্ব বিষয়। কেউ চাইলে হরতাল সমর্থন করে কলকারখানা বন্ধ রাখতে পারেন। অফিসে না যেতে পারেন। এখানে চাপিয়ে দেওয়ার কিছু নেই।

হরতাল কেউ পালন করবে কি করবে না, সেটা ব্যক্তি সিদ্ধান্তের ব্যাপার। ব্যক্তি চাইলে দলের ডাকা হরতাল পালন করতে পারে, না চাইলে পালন করবে না। এখানে ব্যক্তিকে হরতাল পালনে বাধ্য করা যাবে না।

এজন্য রাজনীতিবিদরা বলেন, মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে হরতাল কর্মসূচি সমর্থন করেছে। অর্থাৎ ওই রাজনৈতিক দল তাদের দাবিকে বেশিরভাগ জনমানুষের দাবিতে পরিণত করতে সক্ষম হয়েছে। ফলে সাধারণ মানুষ তার দৈনন্দিন কাজ বন্ধ রেখে এই দাবিকে সমর্থন করেছে। তাদের হরতাল বা কর্মসূচি পালনে জোর করা হয়নি।

হরতালে যিনি সমর্থন করছেন তিনি স্বেচ্ছায় অফিস যাবেন না, গাড়ি চালাবেন না, বাচ্চাদের স্কুলে পাঠাবেন না। আর যিনি মানবেন না তিনি এগুলো করতে পারবেন। চাইলে দোকানদার দোকান খোলা রাখবেন, স্কুল কর্তৃপক্ষ চাইলে স্কুল খোলা রাখবেন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, হরতাল হচ্ছে গাড়ির চাকা ঘুরবে না, অফিস-আদালত খুলবে না। দোকানপাট, স্কুল কলেজসহ সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। এক কথায় সব কিছু অচল করে দেওয়ার কর্মসূচি হচ্ছে হরতাল।

হরতাল গুজরাটি শব্দ; যা সর্বাত্মক ধর্মঘটের প্রকাশক। হর মানে সব জায়গায় আর তাল মানে তালা। অর্থাৎ হরতাল মানে সব জায়গায় তালা। ১৯০৫ সালে লর্ড কার্জনের বঙ্গভঙ্গ প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভারতে প্রথম বয়কট কর্মসূচি পালন করা হয়। পরবর্তী সময়ে মহাত্মা গান্ধীর স্বদেশি আন্দোলনের মধ্যে সত্যাগ্রহ, অনশন, বয়কট, মার্চপাস্ট, বর্জন, অসহযোগ, অবরোধ, মিছিল ইত্যাদি ছিল। এসব আন্দোলন ছিল অহিংস। এসব আন্দোলনের পরে আসে বন্‌ধ বা হরতালের মতো কর্মসূচি।

ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের সময় মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী হরতালের প্রবর্তন করেছিলেন। ১৯৪৮ সালে বাংলাদেশে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে তমুদ্দিন মজলিস প্রথম হরতাল ডাকার পর থেকে এ দেশের রাজনীতিতে হরতাল বেশ প্রচলিত একটি কর্মসূচি। বাংলাদেশে যেটা হরতাল, প্রতিবেশী দেশ ভারতে সেটাকে বলে বনধ।

ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায়, ১৯৪৭ থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত বছরে গড়ে হরতাল হয়েছে ৩ দিন, ১৯৭১ থেকে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত ৭ দিন, ১৯৮৩ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত ১৭ দিন এবং ১৯৯১ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ৪৬ দিন।

পাকিস্তান আমলে বাংলাদেশে অনেক হরতাল হয়েছে। স্বাধীনতার পর এরশাদের দীর্ঘ শাসনামলে হরতালের পাশাপাশি কিছু অবরোধ হয়েছে। আওয়ামী লীগও বিরোধীদলে থাকার সময়ে দেশে বহু হরতাল এবং অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে।

অবরোধ কী:

অবরোধ হচ্ছে কর্মসূচি পালনে জনগণকে বাধ্য করা। অবরোধে মানুষকে জানিয়ে দেয়া হয় যে কর্মসূচি চলাকালে সড়ক, নৌ ও রেলপথ অবরোধ করে রাখা হবে। পরিবহন চলতে দেয়া হবে না। অবরোধে মানুষের সাড়া দেয়া বা না দেয়ার কিছু নেই। বরং কর্মসূচি পালনে মানুষকে বাধ্য করা হয়।

কোনো দল যদি এই কর্মসূচি দেয় তাহলে সেই দল বলে, আমরা এই এই স্থান অবরোধ করে রাখছি। এখানে ঢোকা বা প্রবেশ করা যাবে না। কেউ যদি চায় সে এই অবরোধ মানবে না তাহলেও সেই ইচ্ছা সে পূরণ করতে পারবে না। তাকে অবরোধ মানতে বাধ্য করা হবে।

সহজ করে বললে, অবরোধ কর্মসূচি অর্থ হচ্ছে সব কিছু খোলা থাকবে। কিন্তু যোগাযোগ ব্যবস্থায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হবে। গণমাধ্যম, ফায়ার সার্ভিস, চিকিৎসা ব্যবস্থাসহ জরুরি সেবাগুলো ছাড়া আর সব ধরনের সরবরাহ চেইন বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হবে অবরোধ কর্মসূচির মাধ্যমে। এক শহর থেকে আরেক শহরে কিংবা এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় পরিবহন চলাচলে বাধা সৃষ্টি করা হবে।

অবরোধের ইতিহাস বিভিন্ন আমলেই দেখা গেছে। তবে বাংলাদেশসহ এ অঞ্চলের দেশগুলোতে হরতাল ও অবরোধ কর্মসূচি প্রায় একই রকম হয়ে থাকে। সরকারবিরোধীরা জ্বালাও-পোড়াওয়ের মাধ্যমে মানুষকে কর্মসূচি পালনে বাধ্য করে থাকে। জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে সাড়া দিক বা না দিক; বিরোধী পক্ষ এসব কর্মসূচি পালনে মানুষকে বাধ্য করে থাকে।

লিখেছেন রায়হান রাজীব

হরতালের মতো অবরোধেরও রয়েছে ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট। কোনো দুর্গ বা এলাকা দখলের আগে নানা যুগে অবরোধের ঘটনা ঘটতে দেখা গেছে। গ্রিক মিথোলজিতে (ইলিয়াড ও ওডেসি) ট্রয় নগরী অবরোধের কথা উঠে এসেছে। ট্রয় নগরীতে রাণী হেলেনকে অপহরণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রায় দশ বছর ধরে গ্রিকদের ট্রয় অবরোধ করার ঘটনা বহুল আলোচিত। পরে এই অবরোধের জেরে নানা ঘটনাবহুল যুদ্ধে ধ্বংস হয় সেই ট্রয় নগরী।

ঘটনা হলো- ট্রয়ের যুবরাজ প্যারিস যখন গ্রিকদের স্পার্টার রাজা মেনেলাসের সুন্দরী স্ত্রী হেলেনকে অপহরণ করেন তখন প্রতিশোধ নিতে ট্রয় আক্রমণ করে গ্রিকরা। দশ বছর ধরে গ্রিকরা তাদের রাজা মেনেলাসের ভাই আগামেমননের নেতৃত্বে ট্রয় অবরোধ করে রাখার পর বীর একিলিস কাঠের ঘোড়ার ভেতরে থেকে কৌশলে ট্রয় নগরীর ভেতরে ঢুকে পড়েন। ধ্বংস হয় সে নগরী।

জেরুজালেম অবরোধের ঘটনা ঘটে ১১৮৭ সালের ২০ সেপ্টেম্বর থেকে ২ অক্টোবর পর্যন্ত। মিসরের আইউবীয় সুলতান সালাদিন ওরফে সালাউদ্দিনের নেতৃত্বে এই অবরোধ হয়। ওই সময় শহরের নাগরিকদের শহর থেকে বের হতে দিতে মুক্তিপণও আদায় করা হয়েছিল।

অবরোধের ইংরেজি প্রতিশব্দগুলোর মধ্যে একটি হলো ব্লকেড। উইকিপিডিয়া এর অর্থ দাঁড় করাচ্ছে, একটি অঞ্চল অথবা জনশক্তিকে সক্রিয়ভাবে খাদ্য, পণ্য, অস্ত্র বা যোগাযোগ থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা বা প্রতিরোধ করার কাজ।

কোনটা বড়, হরতাল নাকি অবরোধ?

রাজনীতিবিদরা মনে করেন হরতাল, অবরোধের চেয়ে বড় কর্মসূচি। এটা চূড়ান্ত ধাপের কর্মসূচি। কেননা দলের দাবির প্রতি যখন বেশির ভাগ মানুষ একমত পোষণ করে তখন এ ধরনের কর্মসূচি দেওয়া যায়। এটা না হলে হরতালে সফলতা পাওয়া যায় না। কেননা এখানে বেশিরভাগ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ থাকতে হয়। না হলে কর্মসূচি সফল হয় না। অন্যদিকে অবরোধে যেহেতু বাধ্য করার বিষয় থাকে, তাই মানুষের সমর্থন সম্পর্কে বোঝা যায় না।

বিশেষজ্ঞদের মতে, হরতাল হচ্ছে ভোট বা জরিপের মতো। হরতাল সফল হলে বোঝা যাবে, দলটির দাবির প্রতি সাধারণ মানুষের সমর্থন আছে। এটি পরিচালিত হয় ‘তুলনামূলক শান্তিপূর্ণ পথে। অন্যদিকে, অবরোধে যেহেতু জোর করার ব্যাপার থাকে, অনেক ক্ষেত্রে তাই এটি সহিংস হয়ে উঠতে পারে। তবে আমাদের দেশের এ ধরনের কর্মসূচির ধরণ অনেকটা একই। দুই ধরনের কর্মসূচিতে বাধ্য করার একটা ব্যাপার থাকে। কর্মসূচি ঘিরে ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হতে দেখা যায়।

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, হর মানে সব জায়গায় আর তাল মানে তালা। অর্থাৎ, হরতাল মানে হলো সর্বত্র তালা। আর অবরোধ হলো, রাজপথ, রেলপথ আর নৌপথ রুদ্ধ করা। কিন্তু এখন দুটি কর্মসূচিই আতঙ্ক ছড়াতে ব্যবহার করা হচ্ছে।

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, হরতালের পর অবরোধের যে কর্মসূচি, সেটা আরেকটু হায়ায় ফরম্যাটের প্রোগ্রাম। হরতালের সঙ্গে এর পার্থক্য হচ্ছে হরতালটা মানুষের সম্মতির ওপরে পালিত হয়ে থাকে। হরতাল মানে সবকিছু বন্ধ। এ কর্মসূচিতে আপনি জমায়েত নাও করতে পারেন। কিন্তু অবরোধের মধ্যে কিছুটা জমায়েতের প্রশ্ন আছে। রাজপথে অবস্থান নেওয়ার মতো বিষয় আছে।

তিনি বলেন, অবরোধের সময় রাজপথ, রেলপথ সব বন্ধ থাকে। রাজনৈতিক দলের কর্মীরা ছাড়াও ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষদের উপস্থিতির বিষয়টাও অবরোধ কর্মসূচিতে থাকে। এটা করা হয়ে থাকে সরকারকে বাধ্য করার জন্য, যখন তারা শান্তিপূর্ণ কোনও সমাবেশ করতে দেয় না তখন।

লেখক–গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেছিলেন, এগুলো এখন আর বোঝা যায় না। এখন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে নতুনত্ব থাকে না। স্বাধীনতার আগে বা স্বাধীনতা পরবর্তীকালে নানা নামে কর্মসূচি দিয়ে নতুনত্ব জানান দেওয়া হতো। এখন আর সেটা নেই।

তিনি বলেছিলেন, হরতালে সব বন্ধ থাকে। মানুষ দাবিকে সমর্থন জানিয়ে তার কাজকর্ম বন্ধ করে দাবির প্রতি সমর্থন জানায়। আর অবরোধ একটি নির্দিষ্ট স্থানকে অবরোধ করে রাখা বোঝায়। এখানে যে কর্মসূচি দিচ্ছে সেই অবরোধ করে। মানুষ বাধ্য হয় তা পালন করতে।

আবুল মকসুদ বলেন, রাজনীতি একটি সৃষ্টিশীল জিনিস। প্রয়োজনে সেখানে আন্দোলনের নতুন নতুন কৌশল নিতে হয়; যে কাজটি মওলানা ভাসানীর মধ্যে দেখা যেত। একেক সময় তিনি একেক ধরনের আন্দোলনের কর্মসূচি নিতেন। এখনকার নেতাদের মধ্যে সৃষ্টিশীলতা নেই। তাঁরা পুরনো ও ভোঁতা অস্ত্র ব্যবহার করছেন।

বাংলাদেশে কোনো দল (সাধারণত বিরোধীদল) যখন হরতাল ডাকে তখন তারা সব সময় দাবি করে, হরতাল সফল হয়েছে। মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাদের হরতালে সমর্থন দিয়েছে। অন্যদিকে যাদের বিরুদ্ধে এই হরতাল আহ্বান (সাধারণত সরকারি দল) করা হয়, তারা বলতে থাকেন মানুষ হরতাল প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা হরতালকে সমর্থন দেয়নি।

বিশ্বজুড়ে হরতাল-বন্‌ধ একটি শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের ভাষা হলেও বর্তমানে উদ্বেগ, আতঙ্ক আর পেট্রোলবোমায় ঝলসানোর প্রতিশব্দ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ক্ষমতাসীন ও বিরোধীদের গোয়ার্তুমি আর অহমের কারণে অনেকসময় নেতিবাচক পরিস্থিতি ডেকে আনে জনগণের ভাগ্যে।




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top