আপিলের দ্বিতীয় দিনে আধা বেলায় প্রার্থিতা ফিরে পেলেন ২৪, বাতিল ২২
সুজন হাসান | প্রকাশিত: ১১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৯:২০
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার কর্তৃক বাতিলকৃত প্রার্থীদের নির্বাচন কমিশনে করা আপিলের শুনানির দ্বিতীয় দিনের অর্ধবেলায় ৫০ প্রার্থীর শুনানি সম্পন্ন হয়েছে। এতে প্রার্থিতা ফেরত পেয়েছেন ২৪ জন। এছাড়া ২২ জন প্রার্থীর আপিল নামঞ্জুর করা হয়েছে। সিদ্ধান্ত হয়নি ৪ জনের।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের অডিটোরিয়ামে শুনানি শুরু হয়। নির্বাচন কমিশন মিলনায়তনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল ও চার কমিশনার আপিল শুনানি করছেন। চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
অর্ধবেলা শুনানিতে রায় হলো যাদের: ৯৫. মোছা. তাহমিনা আক্তার মোল্লা, স্বতন্ত্র, ঠাকুরগাঁও-১ নামঞ্জুর; ৯৬. মো. জহিরুল আলম রুবেল, জাতীয় পার্টি, মানিকগঞ্জ-১ পেন্ডিং; ৯৭. মো. জহিরুল আলম রুবেল, জাতীয় পার্টি, মানিকগঞ্জ-৩ পেন্ডিং; ৯৮. ফরিদ মাহমুদ, স্বতন্ত্র, চট্টগ্রাম-১০ মঞ্জুর; ৯৯. সোহেল আহমেদ, স্বতন্ত্র, কক্সবাজার-৪ নামঞ্জুর; ১০০. মো. নাজমুল ইসলাম, তৃণমূল বিএনপি, ঢাকা-১৪ মঞ্জুর; ১০১. মো. আব্দুল ওয়াহেদ, স্বতন্ত্র, ময়মনসিংহ-১১ মঞ্জুর; ১০২. আব্দুর রউফ, স্বতন্ত্র, কুষ্টিয়া-৪ মঞ্জুর; ১০৩. মো. আলতাফ হোসেন মোল্লা, বিএসপি, রাজশাহী-৫ পেন্ডিং; ১০৪. নূরে আলম সিদ্দিকী, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট, মুন্সীগঞ্জ-২ মঞ্জুর; ১০৫. শফিকুল ইসলাম, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি, সিরাজগঞ্জ-১ নামঞ্জুর; ১০৬. মো. আমিনুল ইসলাম, স্বতন্ত্র, বগুড়া-৭ নামঞ্জুর; ১০৭. মোছা. সুমনা আক্তার, স্বতন্ত্র, রংপুর-২ মঞ্জুর; ১০৮. নুরুল আমিন, সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট, ঢাকা-৫ মঞ্জুর; ১০৯. মোহাম্মদ নাছির হায়দার করিম, স্বতন্ত্র, চট্টগ্রাম-৫ নামঞ্জুর; ১১০. তরিকুল ইসলাম, এনপিপি, নোয়াখালী-৬ নামঞ্জুর।
১১১. ফজলুল হক, এনপিপি, চট্টগ্রাম-১৫ নামঞ্জুর; ১১২. বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তোষ কুমার অধিকারী, স্বতন্ত্র, যশোর-৪ নামঞ্জুর; ১১৩. আসাদুজ্জামান খান, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি, নেত্রকোনা-৩ নামঞ্জুর; ১১৪. মো. আমজাদ হোসেন ঠাকুর, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি), নেত্রকোনা-২ নামঞ্জুর; ১১৫. পারভীন আক্তার, স্বতন্ত্র, ফেনী-৩ নামঞ্জুর; ১১৬. হাজরা শহিদুল ইসলাম, জাতীয় পার্টি, বাগেরহাট-২ মঞ্জুর; ১১৭. মো. আফজাল হোসেন, স্বতন্ত্র, নওগাঁ-৪ নামঞ্জুর; ১১৮. মোছা. মাছুমা আক্তার, স্বতন্ত্র, গাইবান্ধা-২ মঞ্জুর; ১১৯. আব্দুল মজিদ, স্বতন্ত্র, কুমিল্লা-২ মঞ্জুর; ১২০. জাহাঙ্গীর হোসেন বাবর, স্বতন্ত্র, নোয়াখালী-২ নামঞ্জুর; ১২১. মো. আব্দুস সামাদ প্রামাণিক, স্বতন্ত্র, নওগাঁ-৪ নামঞ্জুর; ১২২. বাবুল আহম্মেদ, স্বতন্ত্র, ময়মনসিংহ-৭ নামঞ্জুর; ১২৩. জসিম উদ্দিন, তৃণমূল বিএনপি, মানিকগঞ্জ-২ নামঞ্জুর; ১২৪. মো. জুলহাস, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি), ঢাকা-১৯ মঞ্জুর; ১২৫. মো. আতিকুর রহমান নাজিম, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ), ঢাকা-১২ মঞ্জুর।
মূলত, রোববার প্রথম দিনে ১০০ জন প্রার্থীর আপিল শুনানি হওয়ার কথা ছিল। এর মধ্যে ৬ জন অনুপস্থিত ছিলেন। ফলে ৯৪ জন প্রার্থীর শুনানি হয়। সে ধারাবাহিকতায় ৯৫ নম্বর আপিল থেকে মোট ৫৯ জনের আপিল শুনানি সম্পন্ন হয়েছে।
ইসির ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ছিল ৩০ নভেম্বর। ১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয় মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই কার্যক্রম। শেষ হয় ৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায়। বাছাইয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য ১ হাজার ৯৮৫ জন প্রার্থীকে বৈধ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে ৭৩১ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র। এরমধ্যে ৫৬১ জন প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা ফিরে পেতে আপিল করেছেন।
আগামী ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন আপিল শুনে সিদ্ধান্ত দেবে। তবে ইসির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাওয়ার সুযোগ পাবেন প্রার্থীরা।
এছাড়া মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এরপর চূড়ান্ত প্রার্থীর সংখ্যা জানা যাবে।
তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর আর তার তিন সপ্তাহ পর ৭ জানুয়ারি হবে ভোটগ্রহণ।
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।