শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

৫০ বছর বয়সেও এশিয়ান পাওয়ারলিফটিংয়ে শাম্মীর বাজিমাত

রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ১২ ডিসেম্বর ২০২৩, ২০:৫৬

ছবি: সংগৃহীত

শক্তির খেলা ভারোত্তোলনে বেশ পরিচিত শাম্মী নাসরিন। বয়সের কাছে হার না মেনে এগিয়ে চলেছেন আপন শক্তিতে। তিন সন্তানের মা শাম্মীকে দেখে চট করে কেউ বুঝতে পারবেন না তিনি এমন একটি কঠিন খেলার সঙ্গে জড়িত।

প্রথমবারের মতো এশিয়ান পাওয়ারলিফটিং চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিয়েছিলেন শাম্মী নাসরিন। হতাশ করেননি এই ক্রীড়াবিদ। মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত এই প্রতিযোগিতায় ৬৩ কেজি মাস্টার্স ওয়ান ক্যাটাগরিতে তৃতীয় স্থান অর্জন করেছেন ৫০ বছর বয়সী এই ক্রীড়াবিদ।

প্রতিযোগিতায় অবশ্য দ্বিতীয় স্থানেই থাকতে পারতেন শাম্মী। দ্বিতীয় স্থান অর্জন করা অপর প্রতিযোগীর সমান পয়েন্টই অর্জন করেছিলেন দেশের পাওয়ারলিফিটিংয়ে সারা জাগানো শাম্মী। তবে ওই প্রতিযোগীর চাইতে তার বডি ওয়েট একটু বেশি থাকায় তৃতীয় স্থানের জন্য বিবেচনা করা হয় তাকে।

এর জন্য খানিকটা হতাশা থাকলেও প্রথমবারের মতো টুর্নামেন্টে অংশ নিয়ে বাংলাদেশকে বিশ্বমঞ্চে এই সম্মান এনে দেওয়ায় খুশি শাম্মী। শাম্মী জানান, অনেক ভালো লাগছে। মনে হচ্ছে দেশের জন্য কিছু একটা করতে পারলাম।

এই প্রতিযোগিতায় আসার আগে অনেকে বলছিল কেন যাচ্ছ? তুমি তো পারবে না। কিন্তু আমার জেদ ছিল আমি অবশ্যই সফল হব। এতদিন যেই পরিশ্রম ও কষ্ট করেছি, আজ মনে হচ্ছে আমার চেষ্টাটা সার্থক হয়েছে।

এই প্রতিযোগিতায় শাম্মী ছাড়াও অংশ নিয়েছেন বাংলাদেশের তাহসিন আলী, আরাফিউ সাদ, সাদমান জেড, মাইকেল ও তাহমিদ আদনান। তবে ৬৩ কেজি মাস্টার্স ওয়ান ক্যাটাগরিতে শাম্মীই ছিলেন বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিযোগী। এই ইভেন্টটি ছাড়া আর কোনো ইভেন্টে লড়ছেন না শাম্মী।

পাওয়ারলিফটিং মূলত একটি শক্তির খেলা, যা তিনটি লিফটে সর্বোচ্চ ওজনের তিনটি প্রচেষ্টা নিয়ে গঠিত। যেমন স্কোয়াট, বেঞ্চ প্রেস এবং ডেড লিফট। সহজ করে বললে খেলাটি ভারোত্তোলন খেলার মতো। তবে এতে স্কোয়াট মানে ঘাড়ে, বেঞ্চ প্রেস মানে শুয়ে বুকের ওপর এবং ডেডলিফট মানে মাটি থেকে ওজন তুলতে হয়। এই তিনটির স্কোরের ভিত্তিতে প্রতিযোগীকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।

 




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top