হামাসের টানেলে সমুদ্রের পানি ঢোকানো শুরু করেছে ইসরায়েল

রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৮:১৩

ছবি: সংগৃহীত

গাজায় হামাসের ব্যবহৃত টানেলগুলোতে সমুদ্রের পানি দেওয়া শুরু করেছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। কয়েক সপ্তাহ ধরে এ প্রক্রিয়া চলতে পারে। ওয়ালস্ট্রিট জার্নালের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এমনটি জানিয়েছে আনাদোলু এজেন্সি।

ইসরায়েলের দাবি, এতে করে লুকিয়ে থাকা হামাস সদস্যরা সুড়ঙ্গ থেকে বেরিয়ে আসতে বাধ্য হবে। তবে এতে করে গাজার মূল পানির লাইনের সঙ্গে সমুদ্রের পানি মিশে যাওয়ারও শঙ্কা রয়েছে বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের।

ইসরায়েলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, গাজার সুড়ঙ্গে এখনো হামাসের নেতারা লুকিয়ে আছে। জিম্মিদেরও সেখানে রাখা হয়েছে। এই সুড়ঙ্গ থেকে হামাস যোদ্ধারা এখনো সুড়ঙ্গ লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে যাদের সামলাতে বেগ পেতে হচ্ছে ইসরায়েলি সেনাদের।

গাজার একাধিক সুড়ঙ্গ লক্ষ্য করে আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এবার সেই সুড়ঙ্গে সমুদ্রের পানি পাম্প করে ঢোকাতের শুরু করেছে তারা। এভাবে সুড়ঙ্গ ডুবিয়ে দিতে এক সপ্তাহেরও বেশি সময় লেগে যেতে পারে।

তবে বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, এর ফলে গাজার খাওয়ার জল সংক্রমিত হতে পারে। একাধিক মার্কিন সংবাদমাধ্যম এই সংক্রান্ত খবর প্রকাশ করলেও আনুষ্ঠানিকভাবে ইসরায়েল এবিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। গাজার প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে বিবিসি জানিয়েছে, বিভিন্ন জায়গায় ইসরায়েলের সেনার এই কাজ শুরু করেছে।

এর আগে হামাসের সুড়ঙ্গ নেটওয়ার্ক সমুদ্রের পানিতে প্লাবিত করার কথা ইসরায়েল বিবেচনা করছে বলে খবর বের হয়। তখন ফিলিস্তিনের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকার ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ (পিএ) সতর্কতা উচ্চারণ করে বলে, যদি গাজায় পাম্পের মাধ্যমে সুড়ঙ্গগুলো সমুদ্রের পানি দিয়ে ভরা হয়; তাহলে সেটির নেতিবাচক প্রভাব পড়বে পুরো গাজার ওপর।

তারা জানায়, সুড়ঙ্গে পানি দিলে এগুলোর আশপাশে যেসব ভবন আছে সেগুলো ধসে পড়বে। যারমধ্যে আবাসিক ভবনও রয়েছে। ভবন ধসে সেখানে সাধারণ মানুষের মৃত্যু হবে।

এছাড়া এর মাধ্যমে ভূগর্ভস্থ পানি এবং ময়লা পানির সঙ্গে সমুদ্রের পানির মিশ্রন হয়ে যাবে। এতে স্বাস্থ্যখাতে বিপর্যয় দেখা দেবে বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছিল ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ।

 

 

 

 

 




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top