বাংলাদেশে বন্যা নিয়ে সিএনএনের প্রতিবেদন বিভ্রান্তিকর: ভারত

রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ৩১ আগষ্ট ২০২৪, ১৩:১৬

ছবি: সংগৃহীত

ভারতের ত্রিপুরার গোমতী নদীর ডম্বুর বাঁধ খুলে দেয়ায় বাংলাদেশে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাতে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনকে ‘বিভ্রান্তিকর’ বলে অভিহিত করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। খবর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের।

ভারি বৃষ্টিপাত ও উজানে ভারতের ত্রিপুরা থেকে নেমে আসা ঢলের পানিতে আকস্মিক নজিরবিহীন বন্যার কবলে পড়েছে বাংলাদেশ। ফেনী, নোয়াখালী, মৌলভীবাজার, খাগড়াছড়িসহ তলিয়ে গেছে দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের অন্তত ১১টি জেলা।

বন্যায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৪। পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছে প্রায় ১০ লাখ ৯ হাজার ৫২২ পরিবার। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ৫৪ লাখ ৬৪ হাজার ১৬৭। বাংলাদেশের নজিরবিহীন এই বন্যার কথা উঠে এসেছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক ভিডিও প্রতিবেদনেও। প্রতিবেদনে ফেনীর সাধারণ মানুষের পাশাপাশি বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তির বক্তব্য নেয়া হয়েছে।

তারা সবাই বন্যা পরিস্থিতির জন্য ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে দায়ী করেছেন। ফেনী বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের খুবই কাছে অবস্থিত। সাধারণ মানুষ সিএনএনকে বলেছেন, কোনো পূর্ব সতর্কতা ছাড়াই ত্রিপুরার ডম্বুর বাঁধ খুলে দেয়ার কারণে তারা ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছেন।

তবে সিএনএনের এ প্রতিবেদনকে ‘বিভ্রান্তিকর ও অসত্য’ বলে অভিহিত করেছেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জসওয়াল। গতকাল শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে রণধীর জসওয়াল বলেন, বাংলাদেশের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে সিএনএনের প্রতিবেদন আমাদের নজরে এসেছে। প্রতিবেদনটি বিভ্রান্তিকর ও সঠিক নয়। বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে যেসব বক্তব্য দেওয়া হয়েছিল, সিএনএনের প্রতিবেদনে সেসব এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ‘যৌথ পানি ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়ার আওতায় আমরা যে বাংলাদেশের সঙ্গে নিয়মিত ও সময়মতো তথ্য আদান-প্রদান করি, সেটিও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়নি।’

সিএনএনের প্রতিবেদনে যা বলা হয়েছে

মার্কিন এই সংবাদমাধ্যমের ভিডিও প্রতিবেদনটিতে দাবি করা হয়, বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ফেনী জেলার মানুষ বন্যার জন্য ভারতীয় কর্তৃপক্ষকেই দায়ী করেছে। ফেনী বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের খুবই কাছে অবস্থিত। ফেনীর মানুষ সিএনএনকে বলেছে, কোনো পূর্ব সতর্কতা ছাড়াই ত্রিপুরার ডম্বুর বাঁধ খুলে দেওয়ার কারণেই এই ভয়াবহ বন্যা সৃষ্টি হয়েছে।

এর আগে গত সপ্তাহে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের অভিযোগের মুখে নিজেদের নির্দোষ দাবি করে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সেখানে তারা দাবি করে, ডম্বুর বাঁধ খুলে দেওয়ায় বাংলাদেশে বন্যা হয়নি। ত্রিপুরা ও বাংলাদেশে অস্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের কারণেই এই বন্যা হয়েছে।

সূত্র: এনডিটিভি




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top