২০২৫: নতুন বছরে বাংলাদেশের সামনে যত চ্যালেঞ্জ

রাজীব রায়হান | প্রকাশিত: ১ জানুয়ারী ২০২৫, ১৪:৩০

ছবি: সংগৃহীত

সদ্য শেষ হয়ে যাওয়া ২০২৪ এ বছর জুড়ে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোর রেশ নিয়েই নতুন বছরে পা দিয়েছে বাংলাদেশ। বিগত বছরে যেমন নানামুখী চ্যালেঞ্জ আর অভূতপূর্ব ঘটনাবলীর মধ্য দিয়ে গেছে বাংলাদেশ - নতুন বছরেও রাজনীতি, নির্বাচন আর অর্থনীতিতে চ্যালেঞ্জ থাকবে। চলতি বছরেই ঘোষণা হতে পারে পরবর্তী নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়, যা সরাসরি প্রভাব রাখবে রাজনৈতিক পরিস্থিতি, অর্থনীতি আর কূটনৈতিক সম্পর্কে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে যে মতভেদ দেখা যাচ্ছে সামনে বছর তা আরও ঘনীভূত হতে পারে। বিশেষ করে নির্বাচন এগিয়ে আসার সাথে সাথে এই মতভেদ রূপ নিতে পারে সংঘাতেও।

এছাড়াও ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার দল আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশ নেয়া-না নেয়াও একটি বড় ফ্যাক্টর হয়ে উঠতে পারে। একইসঙ্গে শেখ হাসিনার ভারতে অবস্থানের প্রভাব পড়তে পারে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কেও।

অন্যদিকে, বাংলাদেশের সীমান্তঘেঁষা মিয়ানমারের দুটি রাজ্য আরাকান আর্মির দখলে যাওয়ায় দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের রূপ কী হবে, তা নিয়েও বেশ জটিলতায় পড়তে হতে পারে বাংলাদেশকে।

এছাড়াও পাঁচই অগাস্টের পর দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, প্রশাসনে বিশৃঙ্খলা এবং মব সংস্কৃতির মতো বিষয়গুলো যে প্রকট আকার ধারণ করেছে, সেটাকে শৃঙ্খলায় ফেরানোও দেশের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হবে।

তবে সবচেয়ে বড় যে চ্যালেঞ্জেটির মুখোমুখি বাংলাদেশকে হতে হবে, তা হলো অর্থনীতি। মূল্যস্ফীতি, টাকার বিপরীতে বাড়তে থাকা ডলারের দাম এবং আর্থিক খাতে যে সংকট ২০২৪ সালে দেখা গেছে, তা পরবর্তী বছরেও বাংলাদেশকে বেশ ভোগাবে বলেই মত বিশ্লেষকদের।

নির্বাচন ও রাজনীতি

নতুন বছর অর্থাৎ ২০২৫ হতে পারে বাংলাদেশের জন্য নির্বাচনের বছর। ফলে নতুন বছরে বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হতে পারে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা। গণঅভ্যুত্থানের পর নির্বাচন ও সংস্কার ইস্যুতে ছাত্রনেতাদের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর নানা ধরনের মতবিভেদ দেখা গেছে।

বিভিন্ন পক্ষের মধ্যে এই মতভেদ যদি আরও প্রকট হয় তবে সেটা সংকটের জন্ম দিতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করছেন বিশ্লেষকরা। 'জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র' দেয়া নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে শুরু হওয়া আলোচনা প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সাব্বির আহমেদ বিবিসি বাংলাকে বলেন, বিপ্লব বা গণঅভ্যুত্থানের পার্টিসিপেন্ট শুধু ছাত্ররা না, সেখানে বিএনপি-জামায়াত আছে।

"তারা (বিএনপি ও জামায়াত) সংবিধানের অনুসারী, বিপ্লবের না। সুতরাং এখানে ডিফারেন্সেস অব অপিনিয়ন (মতভেদ) থাকছে। আর নির্বাচনের সময় যত ঘনিয়ে আসবে, এই দুইয়ের মধ্যে একটা সাংঘর্ষিক অবস্থান তৈরি হতে পারে", বলেন এই রাজনৈতিক বিশ্লেষক।

তাছাড়া রাজনৈতিক দলগুলো আগের মতোই পরিবারতন্ত্রের মধ্যে আটকে থাকবে, নাকি নিজেদের মধ্যে গণতন্ত্রের চর্চা করবে, সে বিষয়টিও রাজনীতিতে চ্যালেঞ্জ হয়ে আসতে পারে। আর গণতন্ত্রে উত্তরণের পথে নির্বাচনকে যেহেতু একটি অন্যতম প্রধান মাধ্যমে হিসেবে দেখা হয়, সেখানে নির্বাচন আয়োজনে আন্তর্জাতিক একটি চাপ থাকতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে।

এছাড়াও বাংলাদেশের জন্য ২০২৫'এর একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হতে পারে আওয়ামী লীগ। নির্বাচনে দলটির অংশগ্রহণ থাকা বা না থাকা নিয়ে জটিল পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। অধ্যাপক আহমেদের মতে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জিং বিষয় হবে অংশগ্রহণমূলক স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করা।

"যদি আপনি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কথা বলেন তাহলে আপানকে ভাবতে হবে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে আসতে পারবে কিনা। এই প্রশ্নের একটা অসমাধান বের করতে হবে এবং এই সমাধানটা খানিকটা চ্যালেঞ্জিং", বলেন অধ্যাপক সাব্বির আহমেদ।

কূটনৈতিক সম্পর্ক - মাথাব্যাথা ভারত আর মিয়ানমার

কেবল দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটেই না, দেশের বাইরের কূটনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রেও চ্যালেঞ্জিং ফ্যাক্টর হয়ে উঠতে পারে আওয়ামী লীগ। বিশেষ করে প্রতিবেশী দেশ ভারতে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবস্থানের কারণে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কেও পড়তে পারে বড় প্রভাব।

এ নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক আমেনা মহসিন বিবিসি বাংলাকে বলেন, "শেখ হাসিনাতো ওখানে বসে নেই। ওখানে তিনি নানা ধরনের রাজনীতির সঙ্গে ইনভলভড আছেন, তাই না? যারা চলে গেছে, তারা তো চুপ থাকবে না। আর দেশের বাইরেও তাদের মিত্ররা আছে।"

বিশেষ করে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু ইস্যু এবং রাজনৈতিক পরিস্থিতি ভারত "নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষন করবে এবং সেখানে টানাপোড়েন থাকবে" বলেও মনে করেন তিনি। অন্যদিকে, অন্তর্র্বতী সরকার থাকাকালীন ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক স্বাভাবিক করা সম্ভব হবে কী-না সে বিষয়ে সন্দেহ রয়েছে অধ্যাপক সাব্বির আহমেদের।

"শেখ হাসিনার ভারতে আশ্রয়ের কারণে বর্তমান সরকারের জন্য সম্পর্ক স্বাভাবিক করাটা অস্বস্তিকর হতে পারে। শেখ হাসিনার অন্যায়ের বিচার করতে তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যেখান থেকে তারা সরতে পারবে না, আবার ভারতের সঙ্গে সম্পর্কটা তারা এমন জায়গায়ও নিতে পারবে না, যাতে আমাদের দেশ সামগ্রিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়", বলেন তিনি।

সেক্ষেত্রে, নির্বাচিত সরকার না আসা পর্যন্ত পর্যন্ত ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে বাংলাদেশকে বেগ পেতে হবে। আবার অনেকটা একই দৃশ্যপট আরেক প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারের ক্ষেত্রেও। শুরু থেকেই বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতিতে মিয়ানমারকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয়নি। অথচ বাংলাদেশের সংকটের তালিকায় বেশ উপরেই জায়গা করে নেবে রোহিঙ্গা ইস্যুটি।

তার ওপর বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্তবর্তী এলাকাগুলো আরাকান আর্মি দখলে নেয়ায় নির্বাচিত সরকার ছাড়া দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের গতিপথ নির্ধারণ বেশ কঠিন হবে বলেই মত বিশ্লেষকদের।

"দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দিকে আমাদের ভীষণভাবে মনোযোগ দিতে হবে এবং মিয়ানমারের ক্ষেত্রে দেশটির মধ্যে থাকা বিভিন্ন ফ্র্যাকশনের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে এগয়ে যেতে হবে", বলেন অধ্যাপক মহসিন। একইসঙ্গে বঙ্গোপসাগরকে কেন্দ্র করে চলমান ভূরাজনীতিতে নিজেদের দৃঢ় অবস্থান ধরে রাখাও বাংলাদেশের জন্য চ্যালেঞ্জিং হতে পারে।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি

পাঁচই অগাস্টের পর থেকে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটেছে। ছিনতাই, রাহাজানি, লুটপাট, চাঁদাবাজি বাড়ার খবর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তরফেই এখন স্বীকার করে নেয়া হচ্ছে। ভঙ্গুর অবস্থা থেকে খুব একটা ঘুরে দাঁড়াতে দেখা যায়নি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকেও। উত্থান ঘটেছে মব সংস্কৃতির। বেড়েছে প্রশাসনিক বিশৃঙ্খলা।

এসব বিশৃঙ্খলাকে ২০২৫ সালে শৃঙ্খলায় ফিরিয়ে আনাও একটি বড় চ্যালেঞ্জ হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। অধ্যাপক মহসিন বলেন, "২০২৪ সালে এক ধরনের একটা কেওস (চরম বিশৃঙ্খলা) কিন্তু আমরা দেখেছি। ওই শৃঙ্খলাটা ফেরত আনা কিন্তু বড় ব্যাপার থাকবে।"

"কিন্তু শৃঙ্খলার নামে আবার কারো শ্বাসরুদ্ধ করে দিচ্ছি, সেটা হবে না", বলেন এই বিশ্লেষক। এগুলোর মধ্যে ভারসাম্য আনার পাশাপাশি মানবাধিকার পরিস্থিতির দিকেও নজর দেয়ার কথা বলেন এই বিশ্লেষক।

"একেকজনের বিরুদ্ধে অনেকগুলো মামলা হচ্ছে, এটা কিন্তু ঠিক না। ১০০টা মামলা দিয়ে দিলেন বা কোনোভাবেই জড়িত না তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দিয়ে দিলেন - এই জায়গা থেকে উত্তরণ করতে হবে, কারণ মানবাধিকার ইস্যুটা এখানে একটা বড় জায়গা হয়ে যাচ্ছে", বলেন তিনি। অন্যদিকে, দেশের বিভিন্ন জায়গায় যে ব্যাপকহারে চাঁদাবাজি হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে, তা নিয়ে এখনও কার্যকর কিছু করা হচ্ছে না বলে মনে করেন বিশ্লেষকদের কেউ কেউ।


অধ্যাপক সাব্বির আহমেদ বলছেন, জুলাই বিপ্লবে অনেকগুলো পক্ষ অংশীদার হলেও তাদের স্বার্থের সমীকরণ আলাদা। এটা সমাধান হয়নি। উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, "রাজনৈতিক দলগুলো বিভিন্ন জায়গায়, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে দখল করে বসে আছে। সেই পদগুলোকে তারা তাদের করায়ত্ত করে নিয়েছে। এর মাধ্যমে তারা তাদের দলীয় স্বার্থকে সুসংহত করার চেষ্টা করছে।"

তিনি বলছেন, বহু জায়গায় আগের দলের আওয়ামী লীগের) স্থানে নতুন দল চাঁদাবাজিতে লিপ্ত হয়ে পড়েছে। কিন্তু সে বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না। এছাড়া প্রতিষ্ঠানগুলোকে রাজনীতিকরণের হাত থেকে মুক্ত করাটা চ্যালেঞ্জিং হবে বলে মনে করেন অধ্যাপক মহসিন।

"প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ আমরা বলি না? সেই জায়গাটা ইন্সটিটিউশনালাইজেশন অব ইন্সটিটিউশন- সেটা আমাদের ভীষণভাবে প্রয়োজন", বলেন তিনি। আর উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ছাত্রদের রাজনীতির আগে শিক্ষক রাজনীতি বন্ধ করা প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

অর্থনীতির যত চ্যালেঞ্জ

তবে বাংলাদেশের জন্য ২০২৫ সালে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জিং ফ্যাক্টর হতে পারে অর্থনীতি, যা আগের বছরও প্রকট ছিল। অন্তর্র্বতী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর আগের সরকারের আমলে আর্থিক খাতে যে পরিমাণ দুর্নীতির উন্মোচিত হয়েছে, তা থেকে বেরিয়ে নতুন করে দেশের অর্থনীতিকে গঠন প্রক্রিয়া বেশ কঠিন ও সময়সাপেক্ষ হবে বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদেরা।

ইতোমধ্যেই ২০২৪-২৫ অর্হবছরে বাংলাদেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধির হার সাড়ে চার শতাংশ হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল - আইএমএফ। আর সার্বিক মূল্যস্ফীতি হবে নয় দশমিক সাত শতাংশ।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, অনবরত বাড়তে থাকা মূল্যস্ফীতি এবং ডলারের সঙ্গে টাকার বিনিময় হার স্থিতিশীল রাখতে না পারায় ২০২৫ সালের জন্য ভালো ইঙ্গিত দেখা যাচ্ছে না।

অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ বলেন, "মূল্যস্ফীতি অব্যাহত আছে, আর একে কিছুতেই বাগ মানানো যাচ্ছে না। এটা একটা বড় সমস্যা। আর ডলারের সঙ্গে আমাদের টাকার যে বিনিময় হার - সেটা ক্রমাগত উপরের দিকে যাচ্ছে এবং সেটাকে একটা জায়গায় স্থিতিশীল করা যাচ্ছে না"।

"কোনোভাবেই এর অবস্থা ২০-২২ বিলিয়নের ওপরে যাচ্ছে না" উল্লেখ করে এই অর্থনীতিবিদ বলেন, "আমাদের একটা চ্যালেঞ্জ হচ্ছে ভঙ্গুর রিজার্ভের অবস্থা এটাকে কীভাবে পরিবর্তন করা যায়। সেটা যদি না করা যায় তাহলে এক্সচেঞ্জ রেটের ইনস্ট্যাবিলিটি সেটা অব্যাহত থাকবে, সেটা আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবো না।"

সেক্ষেত্রে রিজার্ভ বাড়াতে হলে রেমিট্যান্সের দিকে নজর দেয়ার পরামর্শ দেন অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ। এছাড়াও ব্যাংক খাতে অস্থিরতার প্রভাব থাকবে সামনে বছরও। বিশেষ করে টাকা ছাপিয়ে ব্যাংকগুলোকে উদ্ধার করার পদক্ষেপের নেতিবাচক ফলাফলও দেখা যাবে আর্থিক খাতে।

তার ওপর রাজনৈতিক দোলাচলের প্রভাবও থাকবে বিনিয়োগে। "আমাদের একটা বড় সমস্যা হচ্ছে আমাদের বিনিয়োগ বাড়ছে না। এটা জিডিপির ২২-২৩-২৪ শতাংশের মধ্যে স্থির হয়ে আছে। এটাকে যদি ৪০ শতাংশে না নেয়া যায়, তাহলে কিন্তু আমরা সন্তোষজনক প্রবৃদ্ধির হার আশা করতে পারি না", বলেন এই অর্থনীতিবিদ। সূত্র: বিবিসি



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top