বৃহঃস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৪ মাঘ ১৪৩১

ভাঙা হল শেখ মুজিবের বাড়ি, পোড়ানো হল হাসিনার সুধা সদন

রাজীব রায়হান | প্রকাশিত: ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৬:৫৯

ছবি: সংগৃহীত

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার সরকার পতনের ছয় মাস পূর্ণ হয় গেল বুধবার। এর মধ্যে হঠাৎ আওয়ামী লীগ ঘোষণা দেয়, বুধবার রাত ৯টায় নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের ফেসবুক পেজে ভার্চুয়াল এক অনুষ্ঠানে ভাষণ দেবেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপরই শুরু হয় তুমুল উত্তেজনা।

বিষয়টি নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দেখায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সংগঠনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ এক ফেসবুক পোস্টে লেখেন, আজ রাতে বাংলাদেশ ফ্যাসিবাদের তীর্থভূমি মুক্ত হবে। তার আগে বুধবার বিকেলে কন্টেন্ট ক্রিয়েটর ইলিয়াস হোসাইন ও পিনাকী ভট্টাচার্য ফেসবুকে ধানমন্ডি ৩২ অভিমুখে বুলডোজার মিছিলের ডাক দেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে বুধবার রাত ৮টার পর বিপুল সংখ্যক মানুষ ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কে জড়ো হন। সময় বাড়ার সাথে সাথে বাড়তে থাকে ছাত্র-জনতার ভিড়। একপর্যায়ে ছাত্র-জনতা গেট ভেঙে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের তিন তলা বাড়িটির ভেতরে ঢুকে শুরু করে ভাঙচুর। কেউ কেউ লাঠিসোঁটা ও শাবল হাতে ভাঙচুরে অংশ নেন। কেউ কেউ আবার জানালার গ্রিল, কাঠের ফ্রেম ও ফটকের অংশবিশেষ ভেঙে নিয়ে যান।

এ সময় পুরো এলাকা নানা স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে। দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা, আবু সাঈদ-মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ, জনে জনে খবর দে, মুজিববাদের কবর দে- এরকম স্লোগান শোনা যায়। ভেতরে যখন ভাঙচুর চলছে তখন ভবনটির বাইরে জমতে থাকে উৎসুক জনতার ভিড়। তাদের কেউ কেউ বাড়ির সামনের পরিস্থিতি দেখছিলেন, অনেকে মোবাইলে ছবি বা ভিডিও ধারণ করে রাখছিলেন।

সারা রাত ভাঙার কাজে অংশ নেয়ার পর কিছুটা বিশ্রাম নেয় যান্ত্রিক দানব এক্সকাভেটর। সকাল ৭টার পর সেটিও আবার সক্রিয় হতে দেখা যায়। নতুন করে অংশ নেয় অসম্পূর্ণ কাজ সম্পন্ন করতে। কালের সাক্ষী হয়ে টিকে থাকা বাড়িটি যেন এক মুহূর্তে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়।

৩২ নম্বরের বাড়ি ভাঙা ছাড়াও বুধবার রাতে ধানমন্ডির ৫ নম্বরে শেখ হাসিনার বাড়ি সুধাসদনে আগুন দেয়া হয়। পটপট শব্দে বাড়ির দরজা জানালা আসবাব পুড়ছিল। ঝনঝন শব্দে ভেঙে পড়ছিল জানালার কাচ। একপর্যায়ে ওপর থেকে আগুনসমেত জানালা ভেঙে নিচে পড়ে।




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top