দেশ ছাড়লেন গণস্বাস্থ্যের বিজ্ঞানী বিজন কুমার শীল
ডেস্ক রিপোর্ট | প্রকাশিত: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৫:৫৪
নিজস্ব প্রতিবেদক:
করোনা ভাইরাস শনাক্তে গণস্বাস্থ্যের র্যাপিড টেস্টিং কিট উদ্ভাবক দলের প্রধান অণুজীব বিজ্ঞানী বিজন কুমার সিঙ্গাপুরে চলে ফিরে গেছেন।
সিঙ্গাপুরের নাগরিকত্ব নেওয়ায় বাংলাদেশে কাজ করার জন্য তার ওয়ার্ক পারমিট প্রয়োজন হয়। এতদিন তিনি ওয়ার্ক পারমিট নিয়েই গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
গত জুলাই মাসে ওয়ার্ক পারমিটের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন করেন তিনি। কিন্তু প্রক্রিয়াগত জটিলতা দেখা দেয়ায় ভিসা জটিলতার কারণে তাকে সিঙ্গাপুর ফিরে যেতে হয়েছে বলে জানিয়েছে, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র।
ওয়ার্ক পারমিট পেলে সেই কাগজপত্র সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশ দূতাবাসে জমা দিতে হবে বিজন কুমার শীলকে। দূতাবাস সেটি বিবেচনা করলে তখন হয়ত আবার বাংলাদেশে ফিরতে পারবেন বলে আশা করছেন তিনি।
২০০২ সালে সিঙ্গাপুরের সিভিল সার্ভিসে যোগ দেওয়ার সময় সেখানকার নিয়ম অনুযায়ী বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ছেড়ে সিঙ্গাপুরের নাগরিকত্ব নিতে বাধ্য হয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
২০০৩ সালে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় সার্স ভাইরাস প্রতিরোধের গবেষণায় সিঙ্গাপুর সরকারের একজন বিজ্ঞানী হিসেবে ভূমিকা রেখেছিলেন বিজন। সাভারের গণবিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি তিন বছরের চুক্তিতে নিয়োগ পান ২০১৯ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাস শনাক্তের প্রথমদিকে টেস্টিং কিটের সঙ্কট দেখা দেয়। তখন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্ভাবিত র্যাপিড টেস্ট কিটের খবর দেন বিজন কুমার শীল। কিন্তু সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের বিবেচনায় টেস্ট কিটটি ‘মানোত্তীর্ণ’ না হওয়ায় অনুমোদন দেয়নি ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।
এনএফ৭১/এমকে/২০২০
বিষয়:
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।