‘বেশি দামে’ যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম আমদানির খবরে যা বলল খাদ্য মন্ত্রণালয়

যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম আমদানিতে নেই অনিয়ম: খাদ্য মন্ত্রণালয়

যুক্তরাষ্ট্র থেকে সরকার-টু-সরকার (জি-টু-জি) পদ্ধতিতে গম আমদানিতে কোনো অনিয়ম বা অতিরিক্ত দাম দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।

মঙ্গলবার (… অক্টোবর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মন্ত্রণালয় জানায়, একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত ‘চুক্তির কারণে বেশি দামে যুক্তরাষ্ট্রের গম কিনছে বাংলাদেশ’ শিরোনামের প্রতিবেদন বিভ্রান্তিকর ও তথ্যগতভাবে ত্রুটিপূর্ণ। এতে জনসাধারণের মধ্যে ভুল ধারণা সৃষ্টি হতে পারে বলে মনে করে মন্ত্রণালয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র সরকারের মধ্যকার সমঝোতা স্মারক অনুসারে প্রথম ধাপে ২ লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন গম প্রতি টন ৩০২.৭৫ মার্কিন ডলারে আমদানির চুক্তি সম্পন্ন হয়। পরবর্তী ধাপে একই পরিমাণ গম ৩০৮ ডলারে কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের দাবি, সংবাদে যুক্তরাষ্ট্রের গমের মূল্য তুলনা করা হয়েছে রাশিয়ার গমের সঙ্গে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের গমের দামে বন্দর থেকে সাইলো পর্যন্ত পরিবহন ব্যয়, বীমা, আনলোডিংসহ সব খরচ যুক্ত থাকে। অপরদিকে, রাশিয়ার গমের ক্ষেত্রে কেবল দেশটির বন্দর পর্যন্ত মূল্যে হিসেব করা হয়েছে—যা তুলনাকে বিভ্রান্তিকর করেছে।

বাস্তব বাজারদর তুলে ধরে বলা হয়, বর্তমানে রাশিয়ার গমের আন্তর্জাতিক মূল্য প্রতি টন প্রায় ২৩০ ডলার এবং যুক্তরাষ্ট্রের গমের দাম প্রায় ২৩২ ডলার— অর্থাৎ পার্থক্য মাত্র ২ ডলার।

গুণগত মানের দিক থেকেও যুক্তরাষ্ট্রের গম উত্তম বলে উল্লেখ করেছে মন্ত্রণালয়। রাশিয়ার গমে প্রোটিনের পরিমাণ গড়ে ১১ শতাংশ, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের গমে তা ১৩.৫ শতাংশ। উচ্চ প্রোটিন ও উন্নতমানের কারণে দাম কিছুটা বেশি হওয়া স্বাভাবিক বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, “যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম আমদানির পুরো প্রক্রিয়া স্বচ্ছ, প্রতিযোগিতামূলক এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসারে পরিচালিত হয়েছে।”