বৃহঃস্পতিবার, ৬ নভেম্বর ২০২৫, ২২ কার্তিক ১৪৩২

সরকারের পাতাল মেট্রোরেল প্রকল্পে বড় সিদ্ধান্ত: দুই ঠিকাদারের সঙ্গে চুক্তি বাতিলের উদ্যোগ

নিউজফ্ল্যাশ ডেস্ক | প্রকাশিত: ৬ নভেম্বর ২০২৫, ১১:২৯

ছবি: সংগৃহীত

নির্মাণাধীন দেশের প্রথম পাতাল মেট্রোরেল প্রকল্পে বড় ধরনের পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছে সরকার। প্রকল্পের মোট ১২টি প্যাকেজের মধ্যে দুটি প্যাকেজের ঠিকাদারির চুক্তি বাতিল করতে চায় সরকার। এ নিয়ে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা) বরাবর দুটি পৃথক চিঠি পাঠিয়েছে গত রবিবার ও সোমবার।

প্রকল্প পরিচালক মো. আফতাব হোসাইন স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে জানানো হয়, ডিএমটিসিএল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অতিরিক্ত ব্যয়ের কারণে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারদের সঙ্গে চুক্তি বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু করার অনুমতি চাওয়া হয়েছে।

সূত্র জানায়, এই দুই প্যাকেজের একটি হলো সিপি-২, যার আওতায় রূপগঞ্জে ডিপোর অবকাঠামো ও ভবন নির্মাণের কাজ করছে চীনের সিনোহাইড্রো। অন্যটি সিপি-৫, যেখানে নর্দা থেকে নতুন বাজার পর্যন্ত টানেল ও স্টেশন নির্মাণের কাজ করছে জাপানের কাজিমা করপোরেশন।

ডিএমটিসিএলের সর্বশেষ বোর্ড সভার সিদ্ধান্তে বলা হয়, যেসব ঠিকাদার প্রকল্প উন্নয়ন প্রস্তাবের (ডিপিপি) তুলনায় অতি বেশি দর চেয়েছে, তাদের চুক্তি বাতিল করা যেতে পারে। তবে ‘অতিরিক্ত’ ব্যয়ের সুনির্দিষ্ট সীমা ওই সিদ্ধান্তে উল্লেখ করা হয়নি।

ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারুখ আহামেদ বলেন,

“এটি আসলে এক ধরনের আলোচনার পথ তৈরির উদ্যোগ। আমরা সরাসরি চুক্তি বাতিল করছি না। যদি ঠিকাদাররা ব্যয় কমাতে রাজি হয়, তাহলে তারাই কাজ করবে। না হলে পুনরায় দরপত্র আহ্বান করা হবে।”

তিনি আরও বলেন,

“মূল দরের ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি স্বাভাবিক বলে ধরা যেতে পারে। ৫০ শতাংশের বেশি হলে সেটিকে অতিরিক্ত বলা যাবে। তবে দুই ঠিকাদার কত বেশি দর দিয়েছে, তা এখন মনে নেই।”

বিশেষজ্ঞদের মত:
বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান বলেন,

“চুক্তি বাতিলের আগে সুনির্দিষ্টভাবে অতিরিক্ত ব্যয়ের সংজ্ঞা ও যৌক্তিকতা নির্ধারণ করা দরকার। শুধু ব্যয় কমানোর যুক্তিতে সিদ্ধান্ত নিলে তা বিনিয়োগকারী ও কূটনৈতিক সম্পর্কের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।”



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top