বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫, ২৮ কার্তিক ১৪৩২

রানা প্লাজা ধস:

আওয়ামী লীগের তৈরি ট্র্যাজেডি- প্রেস সচিব শফিকুল আলম

নিউজফ্ল্যাশ ডেস্ক | প্রকাশিত: ১২ নভেম্বর ২০২৫, ১৩:৪৬

ছবি: সংগৃহীত

রানা প্লাজা ধসের ঘটনা বিশ্বের ইতিহাসের অন্যতম ভয়াবহ শিল্প-দুর্ঘটনা হলেও এর মূল কারণ হিসেবে দায়ী করা হয়েছে রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের আচরণকে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, “রানা প্লাজা ধস একেবারেই একক ঘটনার ফল নয়; এটি তৎকালীন ক্ষমতাসীন দলের সংস্কৃতির প্রতিফলন।”

শফিকুল আলম তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশিত পোস্টে বলেন, “যেমন ধসের এক দিন আগে প্রকৌশলীরা ভবনটিকে ‘অপরিচালনাযোগ্য ও ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করেছিলেন, তবুও ভবনটির মালিক সোহেল রানা তার রাজনৈতিক প্রভাব ব্যবহার করে কর্মীদের জোর করে ভবনে ফিরিয়ে এনেছিলেন।”

তিনি আরও বলেন, “দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস–এর প্রতিবেদনে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, রানা ও তৎকালীন সাভারের আওয়ামী লীগ সংসদ সদস্য মুরাদ জং-এর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। তবে বাংলাদেশের ভেতরে আওয়ামী লীগের প্রচারযন্ত্র নিশ্চিত করেছিল যে, রানার রাজনৈতিক পরিচয় আড়ালেই থাকবে। স্থানীয় পত্রিকাগুলোকে চাপ দেওয়া হয়েছিল যাতে তারা শুধু উদ্ধার অভিযান ও মৃতের সংখ্যা তুলে ধরে।”

প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, “রানা একা কোনো ব্যতিক্রম নয়; তিনি তখনকার চলমান ব্যবস্থারই স্বাভাবিক অংশ। শেখ হাসিনার প্রায় ১৬ বছরের শাসন শুধু একনায়কতন্ত্রকে দৃঢ় করেনি, বরং দেশজুড়ে অসংখ্য ‘স্থানীয় দানব’ তৈরি করেছে। এই ব্যবস্থার কারণে রানা, নিজাম হাজারী, শামীম ওসমানদের মতো রাজনৈতিক প্রভাবশালী দানবরা গড়ে উঠেছে।”

তিনি আরও যোগ করেন, “শুধু শ্রমিকদের জীবনের নিরাপত্তাই হুমকির মুখে আসেনি; শিক্ষিত সমাজের মধ্যেও দেখা গেছে ক্ষমতাসীন দলের ছায়াতলে বিষাক্ত আনুগত্য। উদাহরণ হিসেবে বুয়েটের ছাত্র আবরার ফাহাদের হত্যা উল্লেখ করেছেন।”

শফিকুল আলমের মতে, “এগুলো কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বরং ক্ষমতাসীন দলের প্রভাব ও দায়মুক্তির সংস্কৃতির এক অনিবার্য ফল।”



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top