২১ নভেম্বর শুরু হচ্ছে ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে স্কুলভর্তির আবেদন

দেশের সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে ভর্তির অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়া আগামী ২১ নভেম্বর শুরু হচ্ছে। এটি চলবে ৫ ডিসেম্বর বিকেল ৫টা পর্যন্ত। শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) মাউশির পরিচালক প্রফেসর ড. খান মইনুদ্দিন আল মাহমুদ সোহেল স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

সরকারি বিদ্যালয়ে আবেদন

২১ নভেম্বর বেলা ১১টা থেকে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদন গ্রহণ শুরু হবে। আগ্রহীরা gsa.teletalk.com.bd ওয়েবসাইটে আবেদন করতে পারবেন।

আবেদন ফি: ১০০ টাকা, যা শুধুমাত্র টেলিটক প্রি-পেইড নম্বর থেকে এসএমএসের মাধ্যমে জমা দিতে হবে।

আবেদনকারীরা থানাভিত্তিক তালিকা থেকে পছন্দমতো সর্বোচ্চ পাঁচটি বিদ্যালয় বেছে নিতে পারবেন। কোনো স্কুলে ডাবল-শিফট থাকলে প্রতিটি শিফট আলাদা পছন্দ হিসেবে গণ্য হবে।

শিক্ষার্থী বাছাই প্রক্রিয়া

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়—সরকারি বিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে কোনো ধরনের পরীক্ষা নেওয়া হবে না। শিক্ষার্থী নির্বাচন করা হবে কেন্দ্রীয় ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে। ডিসেম্বর মাসে এই লটারি অনুষ্ঠিত হবে।

প্রথম শ্রেণিতে বয়সসীমা

জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ অনুযায়ী প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীর বয়স হতে হবে:

১ জানুয়ারিতে ন্যূনতম ৫ বছর

৩১ ডিসেম্বরে সর্বোচ্চ ৭ বছর

বয়স যাচাইয়ের জন্য অনলাইন জন্মনিবন্ধনের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে।

বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীরা অতিরিক্ত পাঁচ বছর বয়স ছাড় পাবে।

শিক্ষক-পোষ্য ভর্তির নিয়ম

সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীদের ভর্তিযোগ্য সন্তানের জন্য প্রতিষ্ঠানে সমসংখ্যক অতিরিক্ত আসন সংরক্ষিত থাকবে। তাদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে না। ভর্তির সময় ও স্থান পরে জানানো হবে।

বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের আবেদন

ঢাকা মহানগর, বিভাগীয় শহর ও জেলা সদর উপজেলার সব বেসরকারি স্কুল, স্কুল অ্যান্ড কলেজেও একই সময়ে অনলাইন আবেদন করা যাবে।

বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের আবেদন প্রক্রিয়া ও বয়সসীমা সরকারি বিদ্যালয়ের মতোই হবে। তবে এসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক, কর্মচারী বা ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের সন্তানদের জন্য কোনো কোটা নেই—তাদের সাধারণ নিয়মেই আবেদন করতে হবে।

২০২৬ সালের ভর্তির সকল প্রক্রিয়া সম্পূর্ণভাবে অনলাইনে সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছে মাউশি।

এনএফ৭১/ওতু