প্রাণিসম্পদের উন্নত প্রজাতি প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে দেয়া হবে: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
ডেস্ক রিপোর্ট | প্রকাশিত: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০, ২২:২১
নিজস্ব প্রতিবেদক:
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, আধুনিক ও বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে প্রাণিসম্পদের উন্নত প্রজাতি দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে দেয়ার লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে। অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে গবেষণার ফল আমরা পৌঁছে দিতে পারবো। এর ফলে মাংস, দুধ ও ডিমে স্বয়ংসম্পূর্ণতার অর্জন করে দেশের অভ্যন্তরে চাহিদা মেটানোর পর তা দেশের বাইরে আমরা রপ্তানি করতে পারবো।
রবিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সাভারের বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই)-এ আন্তর্জাতিকমানের অ্যান্টিমাক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (এএমআর) গবেষণাগার উদ্বোধন শেষে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, গবেষণালব্ধ ফলাফল গ্রাম-গঞ্জে, প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে দিতে পারলে গ্রামীণ জনগণ উৎসাহিত হবে। একইসঙ্গে, খামার তৈরির মাধ্যমে তাদের বেকারত্ব দূর করে গ্রামীণ অর্থনীতির চাকা সচল করা সম্ভব হবে।
বিএলআরআই-এর মহাপরিচালক ড. নাথু রাম সরকারের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব রওনক মাহমুদ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডাঃ আবদুল জব্বার শিকদার এবং মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন ও সুবোল বোস মনি।
এর আগে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বিএলআরআই-এর ফডার গবেষণা ও উন্নয়ন ভবনে বঙ্গবন্ধুর জীবনের বিভিন্ন সময়ের গুরুত্বপূর্ণ কিছু ছবি দিয়ে সজ্জিত ‘বঙ্গবন্ধু আলোকচিত্র গ্যালারি’ এবং বিএলআরআই ক্যাম্পাসে ফল গাছের চারা রোপণের মাধ্যমে ফলদ বাগান উদ্বোধন করেন মন্ত্রী। পাশাপাশি বিএলআরআই ক্যাম্পাসে পাঁচুটিয়া খামার, বিদেশী ভেড়ার খামার ও মহিষ খামার পরিদর্শন করেন তিনি।
বিকেলে তিনি সাভারে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের আওতাধীন পোল্ট্রি ও ছাগল খামার, গবাদিপশুর খাদ্য তৈরীর টিএমআর মিল এবং মৎস্য অধিদপ্তরের আওতাধীন মৎস্য মান নিয়ন্ত্রণ গবেষণাগার পরিদর্শন করেন মন্ত্রী।
এনএফ৭১/এমকে/২০২০
বিষয়:
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।