• ** জাতীয় ** আমরা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস করেছি : শেখ হাসিনা ** আবারও তিন দিনের ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি ** চুয়াডাঙ্গায় হিট স্ট্রোকে দুই নারীর মৃত্যু ** ইউআইইউ ক্যাম্পাসে ‘কৃত্রিম বৃষ্টি’ নিয়ে তোলপাড় সারাদেশ ** সিলেটে মসজিদে যাওয়ার পথে বজ্রপাতে ইমামের মৃত্যু ** নরসিংদীতে হিট স্ট্রোকে যুবকের মৃত্যু ** সব ধরনের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন : https://www.newsflash71.com ** সব ধরনের ভিডিও দেখতে ভিজিট করুন : youtube.com/newsflash71 ** লাইক দিন নিউজফ্ল্যাশের ফেসবুক পেইজে : fb/newsflash71bd **


সি আর দত্ত আর নেই

ডেস্ক রিপোর্ট | প্রকাশিত: ২৫ আগষ্ট ২০২০, ১৩:২১

সি আর দত্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক|নিউজফ্ল্যাশ৭১

 

ঢাকামুক্তিযুদ্ধের চার নম্বর সেক্টরের কমান্ডার মেজর জেনারেল (অব.) চিত্ত রঞ্জন দত্ত (সি আর দত্ত) মারা গেছেন৷ যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায়  মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৯টায় তিনি শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন।

সি আর দত্ত বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি।

বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ছিলেন বলে জানা গেছে। ১৯২৭ সালের ১ জানুয়ারি আসামের শিলংয়ে জন্ম তাঁর। পৈতৃক বাড়ি হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশি গ্রামে। তাঁর বাবার নাম উপেন্দ্র চন্দ্র দত্ত এবং মায়ের নাম লাবণ্য প্রভা দত্ত। শিলংয়ের লাবান গভর্নমেন্ট হাইস্কুলে দ্বিতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনার পর তার বাবা চাকরি থেকে অবসর নিলে হবিগঞ্জে এসে স্থায়ী বসবাস শুরু করেন৷ সেখান থেকে তিনি মাধ্যমিক পাস করেন। পরবর্তীতে কলকাতার আশুতোষ কলেজে কিছুদিন পড়াশোনার পর খুলনার দৌলতপুর কলেজের বিজ্ঞান শাখায় ভর্তি হন৷ ওই এই কলেজ থেকেই বিএসসি পাস করেন৷

চিত্ত রঞ্জন দত্ত ১৯৫১ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগ দেয়ার কিছুদিন পর ‘সেকেন্ড লেফটেনেন্ট’ পদে কমিশন পান। ১৯৬৫ সালে সৈনিক জীবনে প্রথম যুদ্ধে লড়েন তিনি৷ ১৯৬৫ সালের পাক-ভারত যুদ্ধে পাকিস্তানের হয়ে আসালংয়ে একটা কোম্পানির কমান্ডার হিসেবে যুদ্ধ অংশ নিয়ে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য পাকিস্তান সরকার কর্তৃক পুরস্কৃত হন৷

মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক এমএজি ওসমানী সিলেট জেলার পূর্বাঞ্চল এবং খোয়াই শায়স্তাগঞ্জ রেললাইন বাদে পূর্ব ও উত্তর দিকে সিলেট ডাউকি সড়ক পর্যন্ত এলাকা নিয়ে চার নম্বর সেক্টরের কমান্ডার হিসেবে চিত্ত রঞ্জন দত্তকে দায়িত্ব দেন৷ এসময় তিনি মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। বাংলাদেশের তৎকালীন সীমান্তরক্ষী বাহিনী বাংলাদেশ রাইফেলস (বর্তমানে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি) গঠনে তার অবদান স্মরণীয়।

তিনি ছিলেন বাংলাদেশ রাইফেলস এর প্রথম ডিরেক্টর জেনারেল। এছাড়া, ১৯৭৭ সালে মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ১৯৭৯ সালে বি আর টি সির চেয়ারম্যান, ১৯৮২ সালে পুনরায় মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনশেষে ১৯৮৪ সালে অবসর গ্রহণ করেন৷ মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য তিনি বীর উত্তম খেতাবে ভূষিত হন৷



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top