ভূমিকম্পসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগে আল্লাহর কুদরতের স্মরণ ও দোয়ার গুরুত্ব
হাফিজ মাছুম আহমদ দুধরচকী | প্রকাশিত: ২৬ নভেম্বর ২০২৫, ১১:৫০
আল্লাহ তায়ালা মাঝে মাঝে মানবজাতিকে পরীক্ষা করার জন্য বিভিন্ন বিপদ-আপদ ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্মুখীন করেন। এসব দুর্যোগ কেবল প্রাকৃতিক ঘটনা নয়, বরং আল্লাহর কুদরতের নিদর্শন। ভূমিকম্প তার অন্যতম নিদর্শন।
বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ ও সাবেক ইমাম কদমতলী মাজার জামে মসজিদের খতিব উল্লেখ করেন, ভূমিকম্পসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগে মানুষ আল্লাহর অসীম ক্ষমতা স্মরণ করে বিনয়ী চিত্তে দোয়া করা উচিত। তিনি বলেন, সূরা আনামে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, পূর্ববর্তী জাতিগুলোকে রাসূলদের মাধ্যমে উপদেশ দেওয়া হলেও তারা দারিদ্র্য ও দুর্যোগে বিনীত হননি, বরং নিজেদের অবাধ্যতা চালিয়ে গিয়েছিল।
ফুকাহায়ে কেরাম ভূমিকম্পের সময় নফল সালাত আদায় ও দান-সদকা করার নির্দেশ দিয়েছেন। হাদিসে এসেছে, দান-সদকা বিপদ-আপদ দূর করে। এছাড়া অন্যের প্রতি সদয় হলে আল্লাহও বান্দার প্রতি দয়া প্রদর্শন করেন।
বিপদ-আপদে ইউনুস (আ.) এর দোয়া:
উচ্চারণ: লা ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনাজ জ-লিমিন।
অর্থ: তুমি ছাড়া কোনো মাবুদ নেই, তুমি পবিত্র, আমি নিশ্চয়ই জালিমদের দলভুক্ত।
লেখক আরও উল্লেখ করেন, ভূমিকম্পসহ বিপদ থেকে রক্ষা পেতে নেতৃস্থানীয়দের করণীয় হলো সত্য পথে চলা, আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠা এবং লোকদের সৎকাজের আদেশ ও অসৎ কাজে নিষেধ করা।
তিনি কোরআনের আয়াত উদ্ধৃত করে বলেন, যারা আল্লাহকে ভয় করবে, আল্লাহ তাদের জন্য পথ সুগম করবেন (সূরা তালাক:২)। এছাড়া হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, অবৈধ সম্পদ অর্জন, ধর্মীয় শিক্ষা ছাড়া বিদ্যা, নিকৃষ্ট নেতৃত্ব এবং সমাজের বিপরীত কার্যকলাপ প্রভৃতি কারণে সমাজ বিপর্যস্ত হতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ভূমিকম্প একটি এমন দুর্যোগ, যা এখনও মানুষ কোনো প্রযুক্তি বা প্রতিকার দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। তাই এর থেকে বাঁচতে আল্লাহর কাছে ক্ষমা ও আশ্রয় প্রার্থনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ, লেখক ও কলামিস্ট। সাবেক ইমাম ও খতিব, কদমতলী মাজার জামে মসজিদ, সিলেট। প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, জকিগঞ্জ উপজেলা সচেতন নাগরিক ফোরাম, সিলেট।
বিষয়:

পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।