'২০২৪ সালে বাংলাদেশী টাকা এশিয়ার অন্যতম দুর্বল মুদ্রা'

রাজীব রায়হান | প্রকাশিত: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৭:৩১

ছবি: সংগৃহীত

'২০২৪ সালে বাংলাদেশী টাকা এশিয়ার অন্যতম দুর্বল মুদ্রা'

সংবিধানের যে সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করা হয়েছিল, সেই সংশোধনী আংশিক বাতিল করেছে হাইকোর্ট,আবার তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফেরার সুযোগ তৈরি হয়েছে, সেই খবরটি বুধবারের সবগুলো কাগজের প্রধান শিরোনাম হয়ে এসেছে। এর ফলে কী পরিবর্তন আসবে, সে নিয়েও নানা ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ রয়েছে কাগজগুলোয়। এর বাইরেও কিছু গুরুত্বপূর্ণ খবর রয়েছে।

২০২৪ সালে বাংলাদেশী টাকা এশিয়ার অন্যতম দুর্বল মুদ্রা— বণিক বার্তা পত্রিকার প্রধান শিরোনাম এটি। এতে বলা হয়েছে, ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশি মুদ্রা টাকার বড় অবমূল্যায়ন টানা তৃতীয় বছরেও অব্যাহত রয়েছে। চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত অবমূল্যায়ন ঘটেছে নয় শতাংশেরও বেশি।

তবে এ হিসাব কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঘোষিত দরের ক্ষেত্রে। কার্ব মার্কেট বা খোলা মুদ্রাবাজারের দর আমলে নিলে চলতি বছর টাকার বিপরীতে ডলারের বিনিময় হার বেড়েছে সাড়ে ১৪ শতাংশ। সে হিসাবে ২০২৪ সালে এশিয়ার উল্লেখযোগ্য মুদ্রাগুলোর মধ্যে টাকার অবস্থানই সবচেয়ে দুর্বল।

বাংলাদেশ ব্যাংক অনুমোদিত দর অনুযায়ী, চলতি ২০২৪ সালের শুরুতে প্রতি ডলারের সর্বোচ্চ বিনিময় হার ছিল ১১০ টাকা। আর গতকাল মঙ্গলবার প্রতি ডলারের সর্বোচ্চ দর ১২০ টাকা ঘোষণা করা হয়েছে।

ঘোষিত এ দর আমলে নিলে টাকার অবমূল্যায়ন হয়েছে নয় দশমিক ১০ শতাংশ। তবে ব্যাংকগুলো এখন ১২৬ টাকায়ও রেমিট্যান্সের ডলার কিনছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এক দশক আগে ডলারের দর বেঁধে রাখার যে নীতি বাংলাদেশ ব্যাংক নিয়েছিল, গত তিন বছর সেটিরই খেসারত দিতে হচ্ছে। ২০১২ সাল পরবর্তী সময় থেকেই দেশে ডলারের দর বেঁধে রাখা হয়েছিল। ওই সময় দরকার ছিল ডলারের দরের সঙ্গে সংগতি রেখে ধীরে ধীরে টাকার অবমূল্যায়ন ঘটানো।

কিন্তু ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার সরকার টাকাকে শক্তিশালী দেখাতে চেয়েছে। এ কারণে টাকাকে অতিমূল্যায়িত করে রাখা হয়েছিল। কিন্তু ২০২২ সাল পরবর্তী সময়ে এসে বাঁধ দিয়ে রেখেও টাকার অবমূল্যায়ন ঠেকানো যায়নি।

কেন মোদির টুইটের প্রতিক্রিয়া জানাবে না বাংলাদেশ— মানবজমিন পত্রিকার প্রথম পাতার একটি শিরোনাম এটি। এখানে বলা হয়েছে, ১৬ই ডিসেম্বর কেবলমাত্র 'ভারতের ঐতিহাসিক বিজয়' বলে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যে টুইট বার্তা দিয়েছেন, তার কোনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া দেখাবে না পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তথা বাংলাদেশের অন্তর্র্বতীকালীন সরকার।

এ নিয়ে দেশটির ঢাকাস্থ দূতকে তলব বা কোনও প্রটেস্ট নোট পাঠানোর আপাতত চিন্তা নেই বলে জানিয়েছেন সরকারের দায়িত্বশীল প্রতিনিধিরা। এটাকে 'মোদির রাজনৈতিক বক্তব্য' ধরে নিয়ে ইগনর বা এড়িয়ে যাওয়ার নীতি নিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের বক্তব্যেও তার ইঙ্গিত রয়েছে। প্রায় ২৪ ঘণ্টা অপেক্ষার পর গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এ নিয়ে সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র উপদেষ্টার মুখোমুখি হয়েছিলেন গণমাধ্যম প্রতিনিধিরা।

মোদীর টুইটের প্রতিক্রিয়া বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে জানাবে কিনা- এমন প্রশ্নে তিনি কূটনৈতিক জবাব দিয়েছেন। তার ভাষ্যটি ছিল এমন- "ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাই নেইম আমাকে বিজয় দিবসে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। উনি (নরেন্দ্র মোদী) তার মতো করে একটা জিনিস বলেছেন, আমরা আমাদের মতো করে বলবো।"

HC scraps part that abolished caretaker system বা তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলুপ্তির বিধান বাতিল— দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকার প্রধান শিরোনাম এটি। এখানে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ও গণভোট পদ্ধতি বাতিল করে সংবিধানের যে পঞ্চদশ সংশোধনী আনা হয়েছিলো, সেটিকে আংশিক বাতিল করেছে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ।

গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ পঞ্চদশ সংশোধনী আইনএবং এর কয়েকটি ধারার বৈধতা নিয়ে পৃথক দু'টি রিট আবেদনের চূড়ান্ত শুনানি শেষে এ রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে আদালত বলেছেন, এই সংশোধনী সংবিধানের মৌলিক কাঠামো গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে। একইসাথে, পঞ্চদশ সংশোধনী আইনের মাধ্যমে সংবিধানে যুক্ত ৭ক, ৭খ, ৪৪ (২) অনুচ্ছেদ সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক ও বাতিল ঘোষণা করেছে আদালত। এই রায়ের মধ্য দিয়ে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরে আসার পথ তৈরি হয়েছে। এই খবরটি আজ শুধু ডেইলি স্টার না, দেশের প্রায় সব পত্রিকার প্রধান শিরোনাম।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরবে কীভাবে— সমকাল পত্রিকার প্রথম পাতার একটি শিরোনাম। এতে বলা হয়েছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালে হাইকোর্টের রায়ের পর তা কীভাবে এবং কবে সংবিধানে যুক্ত হবে, তা নিয়ে জনমনে কৌতূহল দেখা দিয়েছে। তবে আইনজ্ঞরা বলছেন, পঞ্চদশ সংশোধনী সংক্রান্ত হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর বিস্তারিত জানা যাবে।

অনেকে বলছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল সংক্রান্ত রায় রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) আবেদন আপিল বিভাগে বিচারাধীন রয়েছে। আগামী মাসের তৃতীয় সপ্তাহে ওই রিভিউ আবেদনের ওডর আপিল বিভাগে শুনানি হতে পারে। এটি নিষ্পত্তি হলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নিয়ে যেসব প্রশ্ন রয়েছে তার অবসান ঘটবে।

কেউ কেউ বলছেন, পঞ্চদশ সংশোধনী মামলার রায়ের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহাল হয়ে গেছে। অন্যদিকে রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা বলছেন, বর্তমান অন্তর্র্বতী সরকারই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থায় ফিরতে পারে।

হাসিনা ও পরিবারের দুর্নীতি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত দুদকের— আজকের পত্রিকার দ্বিতীয় প্রধান শিরোনাম এটি। এতে বলা হয়েছে, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন বড় উন্নয়ন প্রকল্প থেকে প্রায় ৮০ হাজার কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল মঙ্গলবার দুদক পরিচালক উত্তম কুমার মণ্ডলের সই করা এক স্মারক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেনও শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের সিদ্ধান্তের কথা নিশ্চিত করেছেন। তদন্তের সম্মুখীন অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, বোন শেখ রেহানা ও তার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক।

দুদক সূত্র বলছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সজীব ওয়াজেদ জয় ও টিউলিপ সিদ্দিক মালয়েশিয়ার একটি ব্যাংকের মাধ্যমে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প থেকে ৫০০ কোটি ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকা) সরিয়েছেন। এই খবরটিও আজ দেশের অনেক পত্রিকার প্রথম পাতায় এসেছে।

নামেই সৌন্দর্যবর্ধন, মাঝপথে ৫৯ কোটি টাকা অপচয়— এটি প্রথম আলো পত্রিকার দ্বিতীয় প্রধান শিরোনাম। এখানে বলা হয়েছে, সৌন্দর্যবর্ধনের নামে বনানী স্টাফ কোয়ার্টারের কাছে উড়ালসেতু থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত ছয় কিলোমিটার সড়কে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়।

টেলিভিশন স্থাপন, বাতি বসানো, নানারকম গাছ লাগানোসহ নানা খাতে কোটি কোটি টাকা ব্যয় দেখানো হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, কোনও রকম উন্মুক্ত দরপত্র ছাড়াই সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তর বিমানবন্দর সড়কের সৌন্দর্যবর্ধনের প্রায় ৫৯ কোটি টাকার কাজ একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে দিয়েছে।

একক প্রতিষ্ঠান হিসেবে আবেদ মনসুর কনস্ট্রাকশন লিমিটেড ২০২০ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে ওই কাজ পায়। আবেদ মনসুর আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ঘনিষ্ঠ ছিলেন।

সওজ সূত্র জানায়, আবেদ মনসুর ভিনাইল ওয়ার্ল্ড নামে একটি বিলবোর্ড, ব্যানার ও বিজ্ঞাপনী সংস্থার স্বত্বাধিকারী। নাটকও প্রযোজনা করতেন আবেদ মনসুর। সেই সুবাদে তৎকালীন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে সখ্য গড়ে ওঠে। একই সময় ঘনিষ্ঠতা হয় সওজের ঢাকা অঞ্চলের তৎকালীন অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী সবুজ উদ্দিন খানের সঙ্গে।

ক্ষুব্ধ প্রশাসন ক্যাডার, খুশি অন্যরা— কালের কণ্ঠ পত্রিকার প্রথম পাতার একটি শিরোনাম। এতে বলা হয়েছে, উপসচিব ও যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতি পেতে পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। যিনি সর্বোচ্চ নম্বর পাবেন, তিনিই তালিকায় এক নম্বরে আসবেন। আর উপসচিব পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে প্রশাসন ও অন্যান্য ক্যাডার কর্মকর্তাদের জন্য ৭৫ঃ২৫ শতাংশের বদলে ৫০ঃ৫০ শতাংশ করার সুপারিশ দেবে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন।

কমিশনের এমন সিদ্ধান্তে চরম ক্ষুুব্ধ প্রশাসন ক্যাডার কর্মকর্তারা। নিজেদের করণীয় ঠিক করতে গতকাল মঙ্গলবার রাতে জরুরি বৈঠক করেছে প্রশাসন ক্যাডার কর্মকর্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন (বিএএসএ)।

তাদের অভিযোগ, সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী উপসচিব পদে পদোন্নতিতে প্রশাসন ক্যাডার থেকে ৭৫ শতাংশ এবং অন্য ক্যাডার থেকে ২৫ শতাংশ নেওয়া হয়। এটি পরিবর্তন করা দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায় উপেক্ষা করার শামিল। এতে প্রশাসনে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হবে।

অন্যদিকে কমিশনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন প্রশাসন ছাড়া অন্যান্য ক্যাডার কর্মকর্তারা। তাদের মতে, উপসচিবের মতো যুগ্ম সচিব ও অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রেও একই সুবিধা থাকতে হবে। এটি করা হলে প্রশাসনে সব ক্যাডারে সমতা ফিরবে।

ওবায়দুল কাদের দেশ ছাড়লেন কীভাবে— যুগান্তর পত্রিকার প্রথম পাতার একটি শিরোনাম এটি। এতে বলা হয়েছে, গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি থাকার পরও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের কীভাবে দেশ ছেড়ে গেলেন, তা জানতে চেয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। গতকাল চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, "ওবায়দুল কাদের গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর তিন মাস বাংলাদেশে ছিলেন। এরপরও তিনি কোথায়-কীভাবে ছিলেন এবং কেন তাকে গ্রেফতার করা হয়নি, তিনি কীভাবে বাংলাদেশের সীমানা অতিক্রম করেছেন-এ ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে একটি ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে।"

"যদি কেউ আদালতের নির্দেশ পাওয়ার পরও কোনো আসামিকে পালাতে সহযোগিতা করে, তাহলে ধরে নিতে হবে তারা আইন অনুযায়ী কাজ করছে না। তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী অগ্রসর হওয়ার সুযোগ রয়েছে। তবে আমরা এখনই সেদিকে যাব না," তিনি বলেন।

ভোট হবে ব্যালটে প্রস্তুত আছি— দেশ রূপান্তর পত্রিকার দ্বিতীয় প্রধান শিরোনাম। এতে বলা হয়েছে, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের যে সম্ভাব্য সময়সীমার কথা বলেছেন, সে অনুযায়ী নির্বাচন করতে নির্বাচন কমিশন (ইসি) প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন।

এ ছাড়া ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হবে না বলেও জানিয়েছেন তিনি। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নিজ কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এসব কথা বলেন।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, "জাতীয় নির্বাচনের জন্য আমরা প্রথম দিন থেকেই কাজ শুরু করেছি। তার জন্য যেসব প্রস্তুতির দরকার, তার সবই আমাদের রয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা জাতীয় নির্বাচনের যে সময় ইঙ্গিত দিয়েছেন, সে অনুযায়ী নির্বাচন করতে আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুত।"

কাগজ সঙ্কটে বিনামূল্যের পাঠ্যবই ছাপা বন্ধ— নয়া দিগন্ত পত্রিকার প্রথম পাতার শিরোনাম। এতে বলা হয়েছে, চাহিদামতো কাগজ না পাওয়ায় বিনামূল্যের পাঠ্যবই ছাপা বন্ধ হয়ে গেছে। বছরের এই সময়ে মুদ্রণ প্রতিষ্ঠান যেখানে রাত-দিন বই ছাপার কাজে ব্যস্ত থাকার কথা সেখানে কাগজ সঙ্কটে দিনে-রাতে মাত্র দুই-তিন ঘণ্টাও কাজ করতে পারছেন না তারা।

২০২৫ সালের জন্য প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক স্তরের ৪০ কোটির বেশি বই ছাপার টার্গেট থাকলেও মিল থেকে প্রয়োজনীয় কাগজ না আসায় বেশিরভাগ প্রেসে অলস সময় কাটাচ্ছেন মুদ্রণকাজের সংশ্লিষ্ট শ্রমিকরা।

বিভিন্ন প্রেসমালিকের সাথে কথা বলে জানা গেছে, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) সাথে চুক্তি মোতাবেক তাদেরকে পাঠ্যবই ছাপার জন্য যে সময় নির্ধারিত করে দেয়া হয়েছে সে মোতাবেক সবধরনের প্রস্তুতিও নিয়েছেন তারা।

ইতোমধ্যে প্রাথমিক স্তরের প্রাক-প্রাথমিক থেকে শুরু করে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত মোট নয় কোটি ৩৫ লাখ ৬৫ হাজার ৬৪৭ কপি বই ছাপার জন্য ৪১টি প্রেস চুক্তিবদ্ধও হয়েছে। কিন্তু প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণির বই ছাড়া অন্য কোনো ক্লাসের বই বিশেষ করে চতুর্থ এবং পঞ্চম শ্রেণির পাঠ্যবই এখনও ছাপার কাজ শুরুই হয়নি। অন্যদিকে, মাধ্যমিক স্তরের বই ছাপার জন্য কয়েকটি চুক্তি হলেও সেই বই ছাপার কাজ এখনও শুরু করতে পারেনি অনেক প্রেসমালিক। সূত্র: বিবিসি



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top