আশপাশে কোনও কুকুরের দেখা না মিললেও শোনা যাচ্ছে প্রাণীটির ডাক। ম্যানহোলের ঢাকনার ফাঁক দিয়ে উঁকি দিতে

ড্রেনে আটকে আছে ৩ কুকুর, ফায়ার সার্ভিস বললো ‘এটা আমাদের কাজ না’

সুজন হাসান | প্রকাশিত: ৮ জুন ২০২৪, ১২:৪৭

ছবি: সংগৃহীত

আশপাশে কোনও কুকুরের দেখা না মিললেও শোনা যাচ্ছে প্রাণীটির ডাক। ম্যানহোলের ঢাকনার ফাঁক দিয়ে উঁকি দিতেই দেখা গেলো ড্রেনে তিন কুকুর। ড্রেনে পড়ে থাকা তিন কুকুর মানুষের চোখ দেখেই বের হওয়ার আর্তনাদ শুরু করে।

শুক্রবার (৭জুন) বিকালে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৪২ নম্বর ওয়ার্ডের সূত্রাপুর থানার কলতাবাজার লবণের গোডাউনের পাশের ড্রেনে দেখা যায় কুকুরগুলোকে।

স্থানীয়রা জানান, কলতাবাজার খাদ্য গুদামের ড্রেন রাস্তার মূল ড্রেনের সঙ্গে সংযুক্ত। সেই ড্রেন উন্মুক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। কোনও জাল না থাকায় খাদ্য গুদামের ময়লা আবর্জনা সরাসরি ড্রেনে পড়ে। ধারণা করা হচ্ছে, সেখান দিয়ে কুকুরগুলো প্রবেশ করেছে।

কলতাবাজারের স্থানীয় বাসিন্দা বশির উদ্দিন বলেন, গত কয়েকদিন ধরে ড্রেনের মধ্যে থেকে কুকুরের আওয়াজ শুনতে পাচ্ছি। পরে ভেতরে দুটো বাচ্চা ও একটা মা কুকুরকে দেখতে পাই। বের করার চেষ্টা করেছি, কিন্তু কোনোভাবেই পারিনি।

কলতাবাজারে বসবাসরত এক গণমাধ্যমকর্মী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, গতকাল রাতে এখানে বেশ কয়েকজন মানুষকে জড়ো হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে এগিয়ে আসি। পরে জানতে পারি ড্রেনের মধ্যে তিনটি কুকুর আটকে আছে। কুকুরগুলো স্থানীয় কয়েকজন বের করার চেষ্টা করছেন, কিন্তু পারেননি। পরে আমি ১০২ নম্বরে কল দেই। সেখানে কল দেওয়ার পর বললো সূত্রাপুর ফায়ার সার্ভিসকে কল দিতে।

তিনি বলেন, সূত্রাপুর ফায়ার সার্ভিসকে কল দেওয়ার পর বললো, এটা আমাদের কাজ না। আমাদের কাজ হচ্ছে আগুন নেভানো। এটা সিটি করপোরেশনের কাজ। আপনি সিটি করপোরেশনকে জানান। রাতেই আমি সিটি করপোরেশনকে কল দিয়েছি, কিন্তু কেউ রেসপন্স করেনি। পরে সকালে কল দিয়ে পুরো বিষয়টি জানালাম।

পরে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৪২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অফিসে থেকে জানানো হয়, সন্ধ্যায় কুকুরগুলো উদ্ধারে তৎপরতা চালাবে।

সবশেষ রাত ১০টার পর দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৪২নং ওয়ার্ডের মজিদ নামের এক পরিচ্ছন্নকর্মীসহ আরেকজন এসে দীর্ঘ চেষ্টা করেও তারা ব্যর্থ হন।

পরিচ্ছন্নতা কর্মী মজিদ বলেন, অনেক্ষণ ধরে চেষ্টা করেছি। কিন্তু পারিনি। কুকুরগুলো এ পাশ থেকে দৌড়ে অন্যপাশে চলে যায়। এই উদ্ধার কাজ ফায়ার সার্ভিস পারবে। তারা যদি একটা ব্যবস্থা করেন তাহলে কুকুরগুলো বাঁচানো সম্ভব হবে। নয়তো বৃষ্টি হলে ড্রেনে পানি বেড়ে মারা যাবে। সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top