মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২

চুয়াডাঙ্গায় ইউএনও'র হস্তক্ষেপে কিশোরীর বাল্যবিবাহ বন্ধ

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি | প্রকাশিত: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৫:৫৫

চুয়াডাঙ্গায় ইউএনও'র হস্তক্ষেপে কিশোরীর বাল্যবিবাহ বন্ধ

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ( ইউএনও) সানজিদা বেগম এর হস্তক্ষেপে ৮ম শ্রেণির এক কিশোরী শিক্ষার্থী'র বাল্যবিবাহ বন্ধ করা হয়েছে। রাতের আধারে কিশোরী বয়সে বাল্য বিবাহের অভিশপ্ত জীবনে ঠেলে দেওয়ার অপরাধে কিশোরীর পিতাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে অর্থ দন্ড প্রদান করা হয়েছে।

সূত্রে জানা যায়, (১৯ সেপ্টেম্বর) রাত আনুমানিক সাড়ে সাতটার দিকে জেলার দামুড়হুদা উপজেলা সদর ইউনিয়ন মুক্তারপুর গ্রামের বাসিন্দা তার ১৩ বছর বয়সীর ৮ম শ্রেণি পড়ুয়া কিশোরী মেয়ে নিতু কে (ছব্দনাম) বিবাহ দিতে রাতের আধারে বাল্য বিবাহ নামক বলিদানের ব্যবস্থা করেন তার পরিবার । বাল্য বিবাহের এমন সংবাদ দামুড়হুদা উপজেলা প্রশাসনের নিকট পৌঁছাতে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যান উপজেলার সুযোগ্য নির্বাহী অফিসার সানজিদা বেগম। ঘটনাস্থানে গিয়ে অভিযোগে সত্যতা পান তিনি। কিশোরী বয়সে মেয়েকে বিবাহ দেওয়া ও বিয়ের উদ্যোগ গ্রহণ করার অপরাধে অভিযুক্ত হন পিতা। সে সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারকের কাছে ক্ষমা চেয়ে ভুল স্বীকার করেন বাল্য বিবাহ নামক অভিশপ্ত অধ্যায় থেকে মুক্তি পাওয়া কিশোরী শিক্ষার্থীর পিতা।

এসময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক উপজেলা নির্বাহী অফিসার সানজিদা বেগম কিশোর বয়সে নিজ মেয়েকে অভিশপ্ত জীবনের দিকে ঢেলে দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করার অপরাধে অভিযুক্ত পিতাকে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭ অনুযায়ী মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ১০ হাজার টাকা অর্থ দন্ড প্রদান করেন।এছাড়া ওই কিশোরীর যতদিন পর্যন্ত প্রাপ্ত বয়স্ক না হবেন ততদিন পর্যন্ত তকে বিবাহ দিবেন না মর্মে মেয়ের পিতা মুসলেকা দেন। মোবাইল কোর্ট পরিচালনার পূর্বে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক সানজিদা বেগম উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্য বাল্য বিবাহের অভিশপ্ত অধ্যায় ও তার কুফল সম্পর্কে অভিহিত করেন।

এসময় তিনি বলেন, বাল্যবিবাহ আমাদের সমাজের জন্য অভিশাপ সেইসাথে কিশোরীর জীবনের অভিশপ্ত অধ্যায়। কাজেই আপনারা আপনাদের আদরের সন্তানকে কোন সময় অপ্রাপ্তবয়স্ক বয়সে বিবাহ দিয়ে তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ জীবন ধ্বংস করে দিবেন না। এছাড়া আপনাদের দামুড়হুদা উপজেলাকে বাল্য বিবাহ মুক্ত উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলতে উপজেলার যে কোন স্থানে বাল্য বিবাহের মত অভিশপ্ত ঘটনা ঘটলে তাকে অভিহিত করতে অনুরোধ করেন। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা কালে উপস্থিত ছিলেন, দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হয়রত আলী। আদালত পরিচালনা কাজের সহয়তা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার কার্যালয়ের সার্টিফিকেট সহকারী জিহন আলী, দামুড়হুদা মডেল থানার এস আই তৌহিদুর রহমান, ইউপি সদস্য হাসান আলী।

এনএফ৭১/আরআর/২০২২




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top