বৃহঃস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১ পৌষ ১৪৩২

কলাপাড়ায় কুকুরছানা পিটিয়ে হত্যায় সেই নারীর বিরুদ্ধে মামলা

নিউজ ডেস্ক | প্রকাশিত: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮:২০

সংগৃহীত

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার লতাচাপলি ইউনিয়নের মম্বিপাড়া (সাধুর ব্রিজ) আশ্রয়ণ এলাকায় দুইটি কুকুরছানাকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এতে অপর দুটি কুকুরছানা গুরুতর আহত হয়েছে। মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহব্বত খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মুরগির বাচ্চা খাওয়ার অভিযোগে সোনিয়া বেগম নামের এক নারী ক্ষিপ্ত হয়ে লাঠি দিয়ে চারটি কুকুরছানাকে মারধর করেন। এতে ঘটনাস্থলেই দুইটি কুকুরছানা মারা যায় এবং অপর দুটি গুরুতর আহত হয়।

খবর পেয়ে এনিমেল লাভারস অব পটুয়াখালীর কলাপাড়া শাখার সদস্য বায়েজিদ মুন্সি আহত কুকুরছানাগুলোর মধ্যে একটি উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন এবং পরে সেটিকে দত্তক নেন।

বায়েজিদ মুন্সি বলেন, “নিরীহ প্রাণীর ওপর এমন নিষ্ঠুরতা খুবই দুঃখজনক। আমরা চেষ্টা করছি আহত প্রাণীগুলোর পাশে দাঁড়াতে। সমাজে প্রাণীর প্রতি মানবিক আচরণ গড়ে তোলা জরুরি।”

স্থানীয়রা ঘটনাটি নিন্দনীয় হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। ফাতিমা নামে এক বাসিন্দা বলেন, “নিরীহ প্রাণীর ওপর এভাবে নির্যাতন কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত।”

সত্তার হাওলাদার বলেন, “মুরগি খেয়েছে বলে প্রাণীকে পিটিয়ে মারা অমানবিক কাজ। প্রশাসনের উচিত দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া।”

এনিমেল লাভারসের কেএম বাচ্চু জানান, “প্রাণীর ওপর এ ধরনের সহিংসতা সমাজের জন্য ভয়ংকর বার্তা দেয়। দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।”

অভিযুক্ত সোনিয়া বেগম ঘটনার জন্য নিজেকে দায়ী স্বীকার করে বলেন, “আমার দুটি মুরগির বাচ্চা খেয়ে ফেলায় রাগের মাথায় এমনটা করেছি। আগেও আমার মুরগির বাচ্চা খেয়েছে।”

কলাপাড়া উপজেলা প্রাণী কল্যাণ কর্মকর্তা মারুফ বিল্লাহ খান বলেন, “প্রাণীর ওপর নির্যাতন আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং ভবিষ্যতে এমন ঘটনা যাতে না ঘটে তার জন্য সচেতনতা বাড়ানো হবে।”

মহিপুর থানার ওসি মো. মহব্বত খান জানান, কুকুরছানা পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে। তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

এনএফ৭১/ওতু



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top