মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২

রাজশাহীতে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা

রাজশাহী থেকে | প্রকাশিত: ১০ মে ২০২১, ১৯:২৮

রাজশাহীতে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা

আসন্ন ঈদুল ফিতরের শেষ সময়ে জমেছে ঈদের কেনাকাটা। সকাল থেকে শুরু হয়ে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে বেচাবিক্রি। প্রিয়জনদের ঈদ আনন্দ পরিপূর্ণ করতে সাধ্যের মধ্যেই কেনাকাটা করতে এ দোকান থেকে ওই দোকানে ঘুরছেন ক্রেতারা।

ক্রেতাদের প্রচুর ভিড় গেছে রাজশাহী নগরীর সাহেব বাজার আরডিএ মার্কেট, সাহেব-বাজার কাপড়পট্টি, গণকপাড়া হকার্স মার্কেট, নিউ মার্কেট ও কোর্ট বাজার এলাকায়। থিম ওমর প্লাজাসহ শপিং-মলগুলোতেও ভিড় জমছে। আর এইসব মার্কেট এলাকাগুলোতে ক্ষুদ্র যানজটও তৈরি হচ্ছে।

এবারও ফুটপাতসহ নগরীর মার্কেটগুলোতে রয়েছে বাহারি পোশাকের সমাহার। তবে অনেক দোকানেই তুলনামূলক নতুন কালেকশন কম। দোকানগুলোতে পাঞ্জাবি, গেঞ্জি, লুঙ্গি, শার্ট, প্যান্ট, সালোয়ার কামিজ, ওড়না, শাড়ির বাহারি ডিজাইন নজর কাড়ছে ক্রেতাদের। তবে দাম নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়য়ের।

ক্রেতারা বলছেন, লকডাউনের অজুহাতে দোকানিরা পণ্যের দাম বেশি হাকছেন। বেশি নিচ্ছেনও। মার্কেটগুলোতে নিম্নবিত্তদের জন্য যেন পোশাকই নেই। অন্যান্য সময়ের চেয়ে প্রায় প্রতিটি পণ্যে ৫০- ১০০ টাকা বেশি নেয়া হচ্ছে। অনেকেই দাম দরে না পোষালে ফুটপাতের দোকানগুলোতে যাচ্ছেন। কিন্তু সেখানেই নেই স্বস্তির বার্তা।

অপরদিকে ব্যবসায়ীরা বলছেন, করোনার মধ্যে সাধারণ মানুষের আয় কমেছে। অধিকাংশ ক্রেতাই পণ্যের দাম কম বলছেন। অনেকে কেনা দামও বলছেন না। অথচ তাদের অন্য আরো খরচ আছে। তবে আশার কথা হলো গতকয়েক দিন থেকে তাদের বেচাকেনা বেড়েছে। ঈদের আগ পর্যন্ত এভাবে বিক্রি হলে তারা ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারবেন।

আনসার সদস্যরা এবং অফিস স্টাফ আবুল হাসান জানান, ভিড় বাড়তে থাকায় সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে মাস্ক পরতে বলা হচ্ছে। মূল ফটকের সামনে হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখা হয়েছে।

এ বিষয়ে রাজশাহী জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু আসলাম জানান, প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগের মতোই তৎপরতা চালানো হচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে তারা সক্রিয় আছেন।

এনএফ৭১/এনজেএ/২০২১




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top