মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ২ আষাঢ় ১৪৩২

ই-কমার্সে গ্রাহকদের প্রতারণার সমাধান

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১২ অক্টোবর ২০২১, ২৩:১১

ই-কমার্সে গ্রাহকদের প্রতারণার সমাধান

বর্তমানে বাংলাদেশে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো গ্রাহকদের পণ্য না দিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। ই-কমার্স সাইট থেকে গ্রাহকরা অর্ডার করা পণ্য তো পাননিই, এখন অগ্রিম দেওয়া টাকা ফেরত পাবার সম্ভাবনা নিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়েছে তারা।

গ্রাহকরা টাকা ফেরত পাওয়ার অনিশ্চয়তা থেকে গ্রাহক দণ্ডবিধি আইনে মামলা করেছেন আত্মসাৎকারী ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের মালিক ও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। অধিকাংশ মামলায় দণ্ডবিধির ৪০৬ ও ৪২০ ধারায় অভিযোগ আনা হচ্ছে।

দণ্ডবিধির ৪০৬ ধারায় অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গের শাস্তির বিষয়টি বলা আছে। ওই ধারা অনুসারে, কোনো ব্যক্তি যদি অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ করে, তবে সে ব্যক্তি তিন বছর পর্যন্ত যে কোনো মেয়াদের সশ্রম বা বিনাশ্ৰম কারাদণ্ডে, অথবা অর্থ দণ্ডে, অথবা উভয়বিধ দণ্ডেই দণ্ডিত হবে।

দণ্ডবিধির ৪২০ ধারায় বলা আছে, প্রতারণা ও সম্পত্তি সমর্পণ করার জন্য অসাধুভাবে প্রবৃত্ত করা কোনো ব্যক্তি যদি প্রতারণা করে এবং প্রতারিত ব্যক্তিকে অসাধুভাবে অপর কোনো ব্যক্তি যদি কোনো সম্পত্তির অংশ বা অংশবিশেষ প্রণয়ন, পরিবর্তন বা বিনাশ সাধনে প্রবৃত্ত করে অথবা অসাধুভাবে প্রতারিত ব্যক্তিকে এমন কোনো স্বাক্ষরিত বা সিল মোহরযুক্ত বস্তুর সমুদয় অংশ বা অংশবিশেষ প্রণয়ন পরিবর্তন বা বিনাশ সাধনে প্রবৃত্ত করে, যা মূল্যবান জামানতে রূপান্তরযোগ্য, তবে ওই ব্যক্তি সাত বছর পর্যন্ত যে কোনো মেয়াদের সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবে এবং তদুপরি অর্থদণ্ডও হতে পারে।

এ ধারাগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ শাস্তি সাত বছরের কারাদণ্ড। আদালত চাইলে অর্থদণ্ড বা উভয়দণ্ড দিতে পারেন। আইনানুযায়ী এ মামলাগুলোর মাধ্যমে গ্রাহকদের পাওনা টাকা ফেরত পাওয়ার সুযোগ নেই। কেবল দুপক্ষের আপস মীমাংসার মাধ্যমেই গ্রাহকেরা টাকা ফেরত পেতে পারেন।

এনএফ৭১/এমএ/২০২১




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top