গোপনাঙ্গের চুলকানি প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ২০ মে ২০২৪, ১৫:৫৮

গোপনাঙ্গের চুলকানি প্রতিরোধ নিয়ে দেশের একটি জাতীয় দৈনিকে কথা বলেছেন ডা. দিদারুল আহসান। নিউজফ্ল্যাশের পাঠকদের জন্য চিকিৎসা বিষয়ক আলোচনাটি তুলে ধরা হলো:
কিছু যৌনরোগ, যেমন- সিফিলিস, গনোরিয়া, এইডস ইত্যাদির কারণে যৌনাঙ্গে চুলকানি হতে পারে। বিভিন্ন বিরক্তিকর পদার্থ, যেমন কোনো কোনো ডিটারজেন্ট, কেমিক্যাল, সুগন্ধিযুক্ত সাবান, রঙওয়ালা টিস্যু পেপার, ফেমিনিন হাইজেনিক স্প্রে, ডুশ ইত্যাদি ব্যবহার করলেও চুলকানি হতে পারে।
ডায়াবেটিস, রেনাল ডিজিজ, একজিমা ও রক্তে কোনো রোগ থাকলে ও অন্যান্য কোনো রোগ থাকলেও যৌনাঙ্গে চুলকানি হয়। আঁটো পোশাক ও যৌনাঙ্গ সবসময় গরম ও আর্দ্র রাখলে। এছাড়া পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন না থাকলেও এ রোগটি দেখা দিতে পারে।
প্রতিকার : ছত্রাকের বা ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হলে, চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে এন্টিফাংগাল বা অ্যান্টিবায়োটিক ড্রাগস খেতে হয়। এছাড়া অন্যান্য ক্ষেত্রে কারণ নির্ণয় করে সে অনুযায়ী সমাধান করতে হবে। এছাড়া প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে, যেন তা আর না হয়।
প্রতিরোধের উপায় : সবসময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে হবে। যিনি যত বেশি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকবেন, তিনি তত বেশি রোগ-জীবাণু থেকে দূরে থাকবেন। রঙিন ও বেশি সুগন্ধিযুক্ত টয়লেট টিস্যু ও সাবান ব্যবহার করবেন না। প্রয়োজন ছাড়া ফেমিনিন হাইজিন স্প্রে ও ডুশ ব্যবহার করবেন না। ভেজা কাপড় পরে বেশিক্ষণ থাকবেন না।
গোসল বা ব্যায়ামের পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভেজা কাপড়টি পাল্টে নেবেন। সুইমিং পুলে সাঁতার কাটেন তাদের ক্লোরিনের কারণেও চুলকানি হতে পারে। দই খান, এতে ল্যাকটোব্যাসিলাস নামক উপকারী ব্যাকটেরিয়া থাকে। সুতির কাপড় দিয়ে তৈরি অন্তর্বাস পরুন।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখুন। ওজন কমান। নিয়মিত গোসল করুন। অন্তর্বাস নিয়মিত রোদে শুকাতে হবে, যাতে ব্যাকটেরিয়া মুক্ত হয়। যারা এই সমস্যায় প্রতিনিয়ত ভুগে থাকেন, তাদের অবশ্যই চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ দেখাতে হবে এবং অনেক সময় বিভ্রান্তকর পরিস্থিতি এড়াতে এর স্থায়ী সমস্যার সমাধান করা উচিত।
লেখক : চর্ম, যৌন ও অ্যালার্জি রোগ বিশেষজ্ঞ। সিনিয়র কনসালট্যান্ট ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক। আল-রাজি হাসপাতাল, ফার্মগেট, ঢাকা। সূত্র: আমাদের সময়।
বিষয়:
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।