সাতক্ষীরায় কোটি টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা ও পিপিসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা
নিউজ ডেস্ক | প্রকাশিত: ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০০:৫০
সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মো: আল ফেরদাউস আলফার দায়েরকৃত মামলায় কোটি টাকার চাঁদা দাবির অভিযোগে সাতক্ষীরা সদর সার্কেলের সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও সাবেক পিপিসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলা নং-সিআর ১৭৪২/২৫, ধারা-৪৪৮/৩৬৪/৩২৩/৩০৭সহ অন্যান্য।
মামলার বিবরণী অনুযায়ী, ২০১৯ সালের ২৯ ডিসেম্বর সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাঁকাল চেকপোস্টে বাদীর দেড় কোটি টাকার ভারতীয় সামুদ্রিক মাছ জব্দ করে বিজিবি। পরে বৈধ কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও মাছ ফেরত না দিয়ে সদর থানায় প্রেরণ করা হয়। এ ঘটনায় সদর থানার তৎকালীন ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বাদীর কাছে ফোনে ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন।
এরপর মধ্যরাতে সাতক্ষীরা সদর সার্কেলের তৎকালীন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর্জা সালাউদ্দীন ও ডিবি পুলিশের ওসি মহিদুল ইসলাম নেতৃত্বে ১০–১২ জন সাদা পোশাকধারী পুলিশ বাদীর পলাশপোলস্থ বাড়িতে ঢুকে ১ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেন। এসময় বাড়িতে থাকা ১৫ লাখ টাকা দিলেও বাদী রক্ষা পাননি। পরে বাদী ও তার ভাইকে ডিবি পুলিশের কার্যালয়ে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন চালানো হয়।
মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়, জব্দকৃত দেড় কোটি টাকার মাছের বিক্রি মাত্র ১ লাখ ৯৬ হাজার টাকা দেখিয়ে বাকী টাকা আত্মসাৎ করা হয়। এছাড়া মামলার জামিন করিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে সাবেক পিপি অ্যাডভোকেট আব্দুল লতিফ ও তার ছেলে মো: রাসেল বাদীর কাছ থেকে ৩৫ লাখ টাকা চাঁদা নেন।
বাদী অভিযোগ করেছেন, আসামীদের শারীরিক ও মানসিক অত্যাচারে তিনি প্রায় দৃষ্টিশক্তি হারানোর শিকার হয়েছেন এবং আর্থিক ও সামাজিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। মামলার আরজিতে উল্লেখ করা হয়েছে, তৎকালীন সময়ে মামলার অনুকুল পরিবেশ না থাকার কারণে মামলা করতে বিলম্ব হয়েছে।
সাতক্ষীরা অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিলাস মন্ডলের আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার পরবর্তী ধার্য দিন নির্ধারণ করা হয়েছে ২০২৬ সালের ২০ এপ্রিল।
মামলার আসামীরা হলেন সাতক্ষীরা সদর সার্কেলের সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর্জা সালাউদ্দীন, সদর থানার সাবেক ওসি মোস্তাফিজুর রহমান, গোয়েন্দা পুলিশের সাবেক ওসি মহিদুল ইসলাম, জজ আদালতের সাবেক পিপি অ্যাডভোকেট আব্দুল লতিফ ও তার ছেলে মো: রাসেল।
বাদী পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট খায়রুল বদিউজ্জামান জানিয়েছেন, আদালতে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করছেন বাদী। মামলার বিষয়ে সাবেক পিপি আব্দুল লতিফ ও সাবেক ওসি মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এনএফ৭১/ওতু
বিষয়:

পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।