আজও সচিবালয়ে বিক্ষোভ করলেন কর্মচারীরা

Nasir Uddin | প্রকাশিত: ২৭ মে ২০২৫, ১৫:২৯

ছবি: সংগৃহীত

সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ বাতিলের দাবিতে সচিবালয়ে টানা চতুর্থ দিনের মতো বিক্ষোভ করেছেন বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মচারীরা। মঙ্গলবার (২৭ মে) বেলা সাড়ে ১১টার পর সচিবালয়ে বিক্ষোভ করেন তারা।

এসময় বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি ও বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা কর্মচারী ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম জানান, দাবি না মানলে আগামীকাল (বুধবার) সাড়ে ১০টায়ও কর্মসূচি পালন করা হবে বলে।

নুরুল ইসলাম জানান, আজ সকাল সাড়ে ১০টায় বিক্ষোভ করেছি। মিডিয়া প্রবেশ করতে না দেওয়ায় ক্ষোভ জানাচ্ছি। কর্মসূচিতে সব পর্যায়ের কর্মচারীরা নেমে এসেছে। সারা দেশে আন্দোলন হয়েছে। আপনারা (কর্মচারীরা) সারা দেশে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।

এর আগে সকাল থেকেই সচিবালয়ে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়। মোতায়েন করা হয় সোয়াত ও বিজিবির সদস্যরা।সরেজমিনে দেখা গেছে, সচিবালয়ের প্রধান গেটের সামনে অতিরিক্ত সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। সচিবালয়ে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারী ছাড়া অন্য কাউকে ভেতরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। এমনকি সকালে দায়িত্ব পালনের উদ্দেশে যাওয়া সাংবাদিকদেরও ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।

বেলা ১১টার দিকে সচিবালয়ের ৬ নম্বর ভবনের পাশে বাদামতলায় জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এসময় তারা ‘লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে’, ‘অবৈধ কালো আইন, বাতিল কর করতে হবে’, ‘কর্মচারী মানে না, অবৈধ কালে আইন’, ‘মানি না মানবো না, অবৈধ কাল আইন’, ‘এক হও লড়াই কর, ১৮ লাখ কর্মচারী’, ‘সচিবালয়ের কর্মচারী, এক হও এক হও’, ‘আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’- এ ধরনের বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।

চার ধরনের শৃঙ্খলাভঙ্গের অপরাধের জন্য বিভাগীয় মামলা ছাড়াই শুধুমাত্র কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে চাকরিচ্যুত করা যাবে। এমন বিধান রেখে সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ জারি করেছে সরকার। রোববার (২৫ মে) সন্ধ্যায় অধ্যাদেশটি জারি করেন রাষ্ট্রপতি।

এর আগে গত ২২ মে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় অধ্যাদেশটির খসড়া অনুমোদনের পর শনিবার থেকেই সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আইনটি প্রত্যাহারের দাবিতে সচিবালয়ে বিক্ষোভ করে আসছিলেন। এরপর রবি (২৫ মে) ও সোমবার (২৬ মে) সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সবগুলো সংগঠন সম্মিলিতভাবে অধ্যাদেশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করে। অধ্যাদেশটি প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top