মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ৯ পৌষ ১৪৩২

তাসনিম জারার অ্যাকাউন্টে বানের পানির মতো ঢুকছে অনুদান

নিউজফ্ল্যাশ ডেস্ক | প্রকাশিত: ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:৩৫

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা-৯ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারার নির্বাচনী তহবিলে অনুদানের ঢল নেমেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নির্বাচনী ব্যয় নির্বাহের জন্য সাধারণ মানুষের কাছে সহায়তা চাওয়ার পর মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তার অ্যাকাউন্টে লক্ষাধিক টাকা জমা পড়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে এ তথ্য নিশ্চিত করেন ডা. তাসনিম জারা।

স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, “মাত্র ৭ ঘণ্টায় আপনারা ১২ লাখ টাকারও বেশি পাঠিয়েছেন। এতটা অভূতপূর্বভাবে আপনারা পাশে দাঁড়াবেন—তা আমাদের কল্পনার বাইরেই ছিল। আপনাদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।”
তিনি জানান, তাদের মোট ফান্ডরেইজিং লক্ষ্যমাত্রা ৪৬ লাখ ৯৩ হাজার ৫৮০ টাকা। এর মধ্যে ৩৪ লাখ টাকা সংগ্রহ সম্পন্ন হলে ফান্ডরেইজিং বন্ধ করা হবে।

ডা. তাসনিম জারা আরও জানান, রাত ২টার পর বিকাশের নির্ধারিত লিমিট অতিক্রম করায় মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে আপাতত টাকা পাঠানো যাচ্ছে না। তবে ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে অনুদান গ্রহণ অব্যাহত রয়েছে।

এর আগে সোমবার রাত দেড়টার দিকে দেওয়া আরেক স্ট্যাটাসে তিনি জানান, মাত্র চার ঘণ্টায় ৫ লাখ ২৬ হাজার টাকা সংগ্রহ হয়েছে। সেখানে তিনি লেখেন, “টাকার অঙ্কের চেয়েও বেশি আমাকে নাড়া দিয়েছে অনুদানের ধরন। অধিকাংশ অনুদান এসেছে খুব ছোট অঙ্কে—৫ টাকা, ১০ টাকা, ২০ টাকা, ৫০ টাকা, ১০০ টাকা।”
অনেকে অনুদানের সঙ্গে আবেগঘন বার্তাও পাঠিয়েছেন। একজন লিখেছেন, “আমি স্টুডেন্ট। সামর্থ্য অনুযায়ী দিলাম।”

তিনি আরও লেখেন, “এই দুইটি অ্যাকাউন্ট শূন্য থেকে শুরু হয়েছে। স্বচ্ছতা বজায় রাখতে প্রতিটি টাকার পূর্ণ হিসাব জনগণের সামনে তুলে ধরা হবে।”

উল্লেখ্য, সোমবার রাত সোয়া ৯টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় ডা. তাসনিম জারা জনগণের কাছে নির্বাচনী ব্যয়ের জন্য সহায়তা চান। সেখানে তিনি নিজের বিকাশ পার্সোনাল নম্বর ও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর প্রকাশ করেন এবং কোনো প্রশ্ন বা পরামর্শ থাকলে হোয়াটসঅ্যাপে জানানোর আহ্বান জানান।

ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, আইন অনুযায়ী একজন সংসদ সদস্য প্রার্থী সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকা বা ভোটারপ্রতি ১০ টাকা পর্যন্ত ব্যয় করতে পারেন। অথচ বাস্তবে অনেক প্রার্থী ২০ থেকে ৫০ কোটি টাকা পর্যন্ত খরচ করেন এবং পরে নির্বাচন কমিশনে মিথ্যা হিসাব দেন।

ডা. তাসনিম জারা বলেন, “আমি এই অসততা ও মিথ্যার রাজনীতি করবো না। আইনে অনুমোদিত টাকার বাইরে এক টাকাও খরচ করবো না। নতুন বাংলাদেশ গড়তে হলে আমাদের এই পথেই হাঁটতে হবে।”



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top