দেশের জন্য কাজ করতে চান বিশ্বের সর্ববৃহৎ প্রযুক্তির কারিগর জাহিদ সবুর

Nasir Uddin | প্রকাশিত: ৩ মে ২০২৫, ১৬:৫৫

ফাইল ছবি

বিশ্বের সর্ববৃহৎ প্রযুক্তির কারিগর গুগলের অন্যতম একজন ইঞ্জিনিয়ার বাংলাদেশের তরুণ জাহিদ সবুর। বর্তমানে গুগলের ডিস্টিংগুইশড ইঞ্জিনিয়ার এবং সিনিয়র ডিরেক্টর পদে কর্মরত রয়েছেন। তিনি গুগলের জিনিমি অ্যাপ প্রকল্পের নেতৃত্বও দিচ্ছেন।

বাংলাদেশে বেড়ে ওঠা জাহিদ সবুর আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশ থেকে কম্পিউটার প্রকৌশলে অসাধারণ ফলাফল অর্জন করেন। তিনি প্রথম কোনো বাংলাদেশী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র যিনি সফটওয়্যার প্রকৌশলী হিসেবে গুগলে যোগদান করেছিলেন। ২০০৭ সালে সফটওয়্যার প্রকৌশলী হিসেবে ভারতের ব্যাঙ্গালোরে গুগলের ব্যাকেন্ড সিস্টেম ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পে যোগদান করারা মাত্র ছয় মাস পরেই তিনি গুগলের ক্যালিফোর্নিয়ার অফিসে স্থানান্তরিত হন। সেখান থেকে আর তাকে পেছন ফিরে তাকাতে হয় নাই।

যার এত এত অর্জন সে যদি দেশের জন্য কিছু করেন তবে দেশ সমৃদ্ধশালী হতে বাধ্য হবে বলে মনে করছেন অনেকেই। ২০২৪ সালের জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে নতুন করে বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন গড়ার দায়িত্ব কিছুটা নিতেই পারেন তিনি। যেমনটা মুহাম্মদ ইউনুসকে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন। অতি সম্প্রতি বাংলাদেশের বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান হিসেবে আশিক চৌধুরীকে নিয়োজিত করার পর দেশের বিনিয়োগ খাতে উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে।

এরই ধারাবাহিগতায় জাহিদ সবুরকে দেশের মানুষজন দেশে ফিরে আসার জন্য আহ্বান জানাচ্ছেন দেশের জনগণ। তারা মনে করছেন আশিক চৌধুরী বা জাহিদ সবুরের মত ব্যক্তিরা দেশে অবস্থান করলে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি উন্নতির দিকে ধাবিত হবে এবং দেশের উন্নয়ন সাধিত হবে।

আর এই ডাকে দেশের জন্য কাজ করার আগ্রহ প্রকাম করলেন প্রযুক্তির কারিগর জাহিদ সবুরও। সম্প্রতি তার ইউটিউব চ্যানেলে প্রচার হওয়া এক ভিডিও বার্তায় এমনটাই জানিয়েছেন তিনি নিজেই। এমনকি তিনি দেশের জন্য কাজ করেও যাচ্ছেন তিনি। তবে এটা নিজের মত করে।

তবে চাইলেই সবকিছু করা সম্ভব নয় জানিয়ে তিনি বলেন, যোগ্যতা যতই থাক না কেন দেশকে প্রকৃতপক্ষে দিতে হলে সুযোগ থাকতে হবে। সেই সুযোগ তাকে দেয়া হয় নি।

তার মত মানুষের যতো ইচ্ছাই থাকুক না কেন সরকার না চাইলে কোনো কিছু করা সম্ভব নয়। তাই সুযোগ দিলে দেশের জন্য কনেক কিছু করার আগ্রহ প্রকাশ করেন জাহিদ সবুর।

বাংলাদেশের হাজার হাজার রত্ন ব্যবস্থাপনার অভাবে বিদেশ পাড়ি দিয়েছে! এদেরকে যদি দেশে ফিরিয়ে আনা যায় তাহলে দেশ বদলাতে সময় লাগলে না। তারা এসে বাংরাদেশের উন্নয়নে উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারে বলে বলেও মনে করেন তিনি। যা মানুষকে আরো সাহস যোগাবে বলে মনে করেন তিনি।

তবে ভালো কাজ করাটাও এক শ্রেণীর মানুষ দেখতে পারেন না। তারা ভালো কাজ নিয়েও সমালোচনা করেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, এরা দেশের শত্রু। তাদের না থামালে দেশে এসে কাজ করতে আগ্রহ হারাবে আশিক চেীধুরীর মত মানুষরা।

অফুরন্ত ইচ্ছা শক্তি এবং মেধা শক্তি দিয়ে যারা দেশে ফিরে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিবে. তাদের পাশে থেকে সেই সুযোগ করে দেয়ার আহ্বান জানান বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রযুক্তির প্রতিষ্ঠানে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা আশিক চেীধুরী।

তাঁর বার্তা—কঠোর পরিশ্রম, অধ্যবসায় এবং নিজের প্রতি বিশ্বাস রাখলে যেকোনো লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব। জাহিদ সবুর নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র, যাঁর আলো ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে পথ দেখাবে।



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top