স্বাধীনতার পক্ষে থাকা প্রতিটি মানুষই একেকজন ‘ওসমান হাদি’ : সারজিস আলম
নিউজফ্ল্যাশ ডেস্ক | প্রকাশিত: ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:২৭
চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশে স্বাধীনতার পক্ষে অবস্থান নেওয়া প্রতিটি মানুষই একেকজন ‘ওসমান হাদি’—এমন মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। তিনি বলেন, কাউকে আক্রমণ বা দমন করে দেশের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষা ও স্বাধীনতাকে থামানো যাবে না। এক ওসমান হাদির বিরুদ্ধে সহিংসতা চালানো হলে তার প্রতিক্রিয়ায় আরও বহু ওসমান হাদির জন্ম হবে।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর গুলির প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অনুষ্ঠিত সর্বদলীয় প্রতিরোধ সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
সারজিস আলম বলেন, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে জনগণ আর কোনো আপস করবে না। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর থেকে আজ পর্যন্ত বাংলাদেশ এখনো সেই শক্তিগুলোর হাত থেকে পুরোপুরি মুক্ত হতে পারেনি, যারা একাত্তরে এই দেশের স্বাধীনতাকে ভিন্ন দেশের কাছে ‘বিক্রি’ করার অপচেষ্টা করেছিল। সেই শক্তিগুলো এখনো বাংলাদেশকে সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে এগিয়ে যেতে দিতে চায় না।
তিনি বলেন, চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ রাজপথে নেমে বুকের রক্ত দিয়ে স্বাধীনতা পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করেছিল। কিন্তু সেই ত্যাগের পরও আমরা শকুনদের নজর এড়াতে পারিনি। দুই বছর না যেতেই আবারও দেশের মন্ত্রিত্ব, স্বাধীনতা ও বিপ্লবীদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে।
এক ওসমান হাদিকে আক্রমণ করে রক্ত ঝরানোর মাধ্যমে গোপনে বাংলাদেশকে আবারও পরাধীন করার চেষ্টা চলছে উল্লেখ করে সারজিস আলম বলেন, অতীতে আবু সাঈদকে দমন করার চেষ্টা করা হয়েছিল; কিন্তু একজন আবু সাঈদের পর জন্ম নিয়েছে লাখো আবু সাঈদ। একইভাবে ভবিষ্যতে একজন ওসমান হাদির পর জন্ম নেবে লাখো ওসমান হাদি।
ভারতের ভূমিকা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন এনসিপির এই নেতা। তিনি বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের যদি ভারত আশ্রয় দিয়ে রাখে, তাহলে দুই দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে—এমনটা ভাবা ভুল। এ ধরনের অবস্থান থাকলে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক কখনোই স্বাভাবিক হবে না।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের জনগণের আকাঙ্ক্ষা, দাবি ও প্রত্যাশা যদি ভারতীয় হাইকমিশন যথাযথভাবে নিজ দেশের কাছে তুলে ধরতে না পারে, তাহলে এই দেশে ওই কমিশনের উপস্থিতির নৈতিকতা নিয়েও প্রশ্ন উঠবে।
বিষয়:

পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।