মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২

কম্বোডিয়ার বিরোধীদলীয় নেতার ২৭ বছরের কারাদণ্ড

রাজিউর রাহমান | প্রকাশিত: ৪ মার্চ ২০২৩, ০০:০৮

কেম সোখা

কম্বোডিয়ার বিরোধীদলীয় নেতা কেম সোখাকে রাষ্ট্রদ্রোহের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে ২৭ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে বলে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা। সোখার বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী হুন সেনের সরকারকে উৎখাত করার জন্য বিদেশী শক্তির সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগ আনা হয়েছিল। 

আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, এই ২৭ বছর গৃহবন্দী থাকবেন কেম সোখা। সোখা বর্তমানে নিষিদ্ধ কম্বোডিয়ান ন্যাশনাল রেসকিউ পার্টির (সিএনআরপি) সাবেক প্রেসিডেন্ট। সোখাকে রাজনীতি এবং নির্বাচনে ভোট দেয়া থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষিদ্ধ করা হবে বলেও জানিয়েছেন নম পেন মিউনিসিপ্যাল ​​কোর্টের বিচারক।

কেম সোখাকে কম্বোডিয়ার ফৌজদারি কোডের ৪৪৩ অনুচ্ছেদের অধীনে ‘একটি বিদেশি শক্তির সঙ্গে মিলে ষড়যন্ত্র’ করার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এদিকে এই বিচারকে রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে নিন্দা করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

আল জাজিরা বলছে, হুন সেন বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ মেয়াদী স্বৈরশাসকদের একজন। তিনি ১৯৮৫ সাল থেকে ক্ষমতায় রয়েছেন। জুলাইয়ে কম্বোডিয়ার সাধারণ নির্বাচন। তিনি আবার ক্ষমতায় বসবেন বলে অধিকাংশ মানুষ মনে করছেন। তারা বলছেন, তিনি তার পুত্র হুন মানেতের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন।

৬৯ বছর বয়সী কেম সোখা ২০১৭ সালে প্রথম গ্রেফতার হন। ২০১৩ সালের একটি ভিডিওর ভিত্তিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাকে গ্রেফতার করে। সেই ভিডিওতে তিনি জানিয়েছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রে গণতন্ত্রপন্থী গোষ্ঠীগুলোর সমর্থন রয়েছে তার। সোখা ও তার আইনজীবী অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, এ ঘটনায় দায়ের করা মামলার কোনো ভিত্তি নেই।

কম্বোডিয়ায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত ডব্লিউ প্যাট্রিক মারফি শুক্রবার (৩ মার্চ) জানিয়েছেন, এই মামলায় আইনের অপপ্রয়োগ করা হয়েছে। কেম সোখার আইনজীবী আং উদোম জানিয়েছেন, তার আইনি দল রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবে।

বিভিন্ন মানবাধিকার গোষ্ঠী ও পশ্চিমা সরকার কেম সোখার বিরুদ্ধে রায়কে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে নিন্দা জানিয়েছে। কেম সোখা একজন সাবেক মানবাধিকার আইনজীবী ছিলেন। তিনি কম্বোডিয়ান ন্যাশনাল রেসকিউ পার্টির প্রধান ছিলেন। গত নির্বাচনে হঠাৎ করেই তার জনপ্রিয়তা বেড়ে যায়।

২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে সিএনআরপি’র উপর ক্র্যাকডাউন শুরু হয়। স্থানীয় নির্বাচনে দারুণ সাড়া ফেলেছিল সিএনআরপি। সবাই প্রত্যাশা করছিল যে নির্বাচনে হুন সেনের ক্ষমতাসীন কম্বোডিয়ান পিপলস পার্টিকে শক্ত চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেবে কেম সোখার দল।




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top