সে ভারী নয়, সে আমার ভাই

Nasir Uddin | প্রকাশিত: ১৫ মে ২০২৫, ১৯:৫৩

ফাইল ছবি

ভাই-বোনের সম্পর্ক কোনো স্বার্থসিদ্ধির সম্পর্ক নয়, এটি শুধু শুদ্ধ ভালোবাসা আর অসীম সহানুভূতির সম্পর্ক। আপনার ভাই বা বোন যদি পড়ে যায়, তাকে উঠান। যদি তার সামর্থ্য না থাকে, যদি সে দুর্বল হয়, তার পাশে দাঁড়ান। আর যদি সে ভুল করে, তাকে ক্ষমা করে দিন। পৃথিবী যদি তাকে পরিত্যাগ করে, আপনি তাকে আপনার পিঠে তুলে নিন। কারণ সে বোঝা নয়, সে আপনার ভাই/বোন . ভাইয়ের কাছে তার ভাই বা বোন যে কত ভালোবাসর তা বোঝা যায় ১৯৪৫ সালের জাপানের একটি ছবি দেখে। ছবিটা পুরো জাপানে ছড়িয়ে পড়ে যেটা এখন দেশটির ঐক্যের প্রতীক। আর পুরো পৃথিবীতে শ্রেষ্ঠ উদাহরণ হতে পারে।

সময়টা তখন ১৯৪৫ সাল, বিশ্বব্যাপি চলছিলো ভয়াবহ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। যেখানে যুদ্ধবিধস্ত জাপান পরাশক্তির কাছে আত্মসমার্পণ করেন। যুদ্ধবিধস্ত জাপানের চারিদিকে লাশের মিছিল, বাতাসে বইছিল কান্নার আর্তনাদ । যুদ্ধের মধ্যে যারা পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পরেছিলো ,তারা পরিবার খুজতে শুরু করলো। কেউ খুজছে তার মাকে ,কেউবা তার বাবা কে । আর লাশের স্তুপ থেকে নিজের আপনজনকে খোজার বেদনাজনক দৃশ্য ও বাদ যায় নি।

এরই মধ্যে মৃত ভাইকে পিঠে নিয়ে হাটছিল এক কিশোর। এসময় হঠাত কেউ বলে উঠলো, লাশটা পিঠ থেকে ফেলে দাও! কিশোরটি তখন থেমে দেখলো, একজন আর্মি অফিসারকে। তাকে বলতে শোনা যায়-তোমার পিঠের বহন করা লাশটি বেশ ভাড়ি, ওটা পিঠ থেকে ফেলে দাও।

কিশোরটি সঙ্গে সঙ্গে আবেগঘন কন্ঠে জবাব দিল, "সে আমার কাছে ভারী নয়, সে আমার ভাই। এসময় জবাব শুনে আর্মি অফিসার স্তব্ধ হয়ে যায়। পুরো বিষয়টি অনুধাবন করতে পেরে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনিও। এই ঘটনাটি ক্যামেরা বন্দি হলে নিমেষে ছড়িয়ে পড়ে সমগ্র জাপান জুড়ে। সেই থেকে ছবিটি হয়ে ওঠে দেশটির ঐক্যের প্রতীক। ভাইকে পিঠে তুলে নেওয়া কিশোরের ওই উক্তি হয়ে যায় তাদের জাতীয় স্লোগান: "সে বোঝা নয়, সে আমার ভাই/বোন।



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top