যুদ্ধবিরতির মধ্যেই গাজায় ফের ইসরাইলি হামলা
আহসান সাকিব হাসান | প্রকাশিত: ২১ অক্টোবর ২০২৫, ১১:৩৬
“যুদ্ধবিরতির মধ্যেই আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ফিলিস্তিনের গাজা। ইসরাইলি বাহিনীর বিমান হামলা ও গুলিতে নিহত হয়েছেন একাধিক ফিলিস্তিনি। নতুন করে সংঘর্ষ আর আগ্রাসনের অভিযোগে প্রশ্নের মুখে পড়েছে চলমান যুদ্ধবিরতি চুক্তি।”
“আল জাজিরা’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার গাজা সিটির আল-শাআফ এলাকায় দুটি আলাদা হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন চারজন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, নিহতরা তাদের বাড়ি দেখতে ফিরেছিলেন। সে সময়ই ইসরাইলি সেনারা তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়।”
“ইসরাইলি বাহিনীর দাবি, তারা ‘হলুদ সীমারেখা’ অতিক্রম করে আসা সশস্ত্র যোদ্ধাদের লক্ষ্য করেই গুলি চালায়। অথচ স্থানীয়রা বলছেন, এই সীমারেখার অবস্থান নিয়ে প্রচুর বিভ্রান্তি রয়েছে।
“পুরো এলাকা ধ্বংস হয়ে গেছে। আমরা মানচিত্র দেখেছি, কিন্তু বুঝতে পারছি না সীমারেখাটি আসলে কোথায়। আমাদের জীবনই যেন এখন ভুলের শিকার।”
“উল্লেখ্য, এই হলুদ রেখাটি নির্ধারণ করা হয়েছিল চলতি মাসের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রকাশিত মানচিত্রের মাধ্যমে। ইসরাইলি সেনারা ওই রেখার পেছনে থাকার কথা থাকলেও বাস্তব চিত্র বলছে ভিন্ন কথা।”
“গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের তথ্য অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতির পর এখন পর্যন্ত ৯৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। শুধু গত রবিবারেই এক ইসরাইলি বিমান হামলায় মারা যান অন্তত ৪২ জন, যাদের মধ্যে রয়েছে শিশুও।”
“ইসরাইল বলছে, রাফা এলাকায় হামাসের গুলিতে তাদের দুই সেনা নিহত হওয়ায় প্রতিশোধ নিতে তারা হামলা চালায়। যদিও হামাস এই দাবি নাকচ করে দিয়েছে।”
“হামাসের এক কর্মকর্তা অভিযোগ করেছেন, ইসরাইল যুদ্ধ শুরু করার অজুহাত খুঁজছে। তারা আরও জানায়, এখন পর্যন্ত ২০ জন জীবিত ইসরাইলি বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে এবং বাকিদের মৃতদেহ হস্তান্তরের চেষ্টা চলছে। তবে গাজার ধ্বংসাবশেষ এই কাজকে ব্যাহত করছে।”
“এদিকে, ইসরাইল এক পর্যায়ে গাজায় মানবিক সহায়তা বন্ধের হুমকি দিলেও পরে জানায়, যুদ্ধবিরতি চুক্তি এখনও কার্যকর রয়েছে। তবে বাস্তবে সহিংসতা কমার কোনো লক্ষণ নেই।”
“জাতিসংঘ জানিয়েছে, গাজায় সাহায্য প্রবেশ আবার শুরু হয়েছে, তবে কতটা সহায়তা গন্তব্যে পৌঁছেছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। চারদিকে ধ্বংস, দুঃখ আর অনিশ্চয়তা—এরই মধ্যে চলছে যুদ্ধবিরতির নামে এক ভিন্ন যুদ্ধ।”
বিষয়:

পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।