সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১ পৌষ ১৪৩২

প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ডাকে শুরু হয় স্বাধীনতাযুদ্ধ:তারেক রহমান

নিউজ ডেস্ক | প্রকাশিত: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮:৪৪

সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ডাকে শুরু হওয়া মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ওই বছর ১৬ ডিসেম্বর পাক হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে বিজয় অর্জিত হয়। তিনি বলেন, নয় মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।

সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টা ৩৬ মিনিটে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এসব কথা বলেন।

বিজয় দিবস উপলক্ষে দেশবাসী ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের শুভেচ্ছা জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, ১৬ ডিসেম্বর জাতির অহংকার, আনন্দ ও বেদনার এক মহাকাব্যিক দিন। এই দিনে তিনি মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হওয়া বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান এবং তাঁদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। একই সঙ্গে স্বাধীনতার জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারকারী মা-বোনদের প্রতি সশ্রদ্ধ সালাম জানান তিনি।

তারেক রহমান বলেন, শোষণমুক্ত ও সামাজিক ন্যায়বিচারভিত্তিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনের প্রত্যয় নিয়েই বাংলাদেশের জন্ম হয়েছিল। কিন্তু বারবার ফ্যাসিস্ট ও দুঃশাসনমূলক শক্তি সেই প্রত্যয়কে ধ্বংস করেছে। তাঁর অভিযোগ, গত ১৬ বছর ধরে একের পর এক একতরফা নির্বাচন আয়োজনের মাধ্যমে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে এবং বহুদলীয় গণতন্ত্র, বাকস্বাধীনতা ও নাগরিক স্বাধীনতা নিরুদ্দেশ করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, গণতন্ত্রহীন দেশে নিরঙ্কুশ ক্ষমতার অপব্যবহারে ভয়, হতাশা ও নৈরাজ্য নেমে আসে। ক্ষমতা ধরে রাখতে গিয়ে বিরোধী মত দমনে নিপীড়ন, গুম, হত্যা ও মিথ্যা মামলার আশ্রয় নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার লক্ষ্যে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদী শক্তির পতন ঘটেছে এবং দেশে আবার বহুদলীয় গণতন্ত্রের পুনরুজ্জীবনের প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে।

তিনি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনকল্যাণমুখী ও জবাবদিহিমূলক সরকার গঠনের আহ্বান জানান। একই সঙ্গে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে বিভাজন ও হিংসা ভুলে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর অঙ্গীকার করার আহ্বান জানান তিনি।

বিজয় দিবস উপলক্ষে সব কর্মসূচির সাফল্য কামনা করে বক্তব্যের শেষাংশে তিনি বলেন, “আল্লাহ হাফেজ, বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।”

 

এনএফ৭১/ওতু



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top