বৃহঃস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩ পৌষ ১৪৩২

ভারত বাংলাদেশকে উচিত শিক্ষা দেবে:আসামের মুখ্যমন্ত্রী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩:৫১

সংগৃহীত

বাংলাদেশের কয়েকজন রাজনীতিক ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল নিয়ে মন্তব্য করলে ভারত নীরব থাকবে না—এমন কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। মঙ্গলবার তিনি বলেন, এ ধরনের বক্তব্য অব্যাহত থাকলে ভারত ‘উচিত শিক্ষা’ দিতে বাধ্য হবে।

সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের বরাতে জানা যায়, এর আগের দিন বাংলাদেশের নবগঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোকে, যেগুলো ‘সেভেন সিস্টার্স’ নামে পরিচিত, ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করার হুঁশিয়ারি দেন। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, গত এক বছর ধরে বাংলাদেশ থেকে বারবার এমন বক্তব্য আসছে যে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল আলাদা করে বাংলাদেশের অংশ করা উচিত।

তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘ভারত একটি বড় দেশ, পারমাণবিক শক্তিধর এবং বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতি। বাংলাদেশ কীভাবে এমন চিন্তা করতে পারে?’ এ ধরনের মানসিকতাকে উৎসাহ দেওয়া উচিত নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশকে সব ক্ষেত্রে সহায়তা করাও ঠিক হবে না। তার ভাষায়, ‘এভাবে আচরণ চলতে থাকলে আমরা চুপ করে থাকব না।’

বিজেপি নেতা হিমন্ত বিশ্ব শর্মার এ বক্তব্য দুই দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে আলোচনা ও উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে।

এরই মধ্যে দেশের চলমান নিরাপত্তা পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে ঢাকার যমুনা ফিউচার পার্কে অবস্থিত ইন্ডিয়ান ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টার (আইভিএসি) বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুর ২টা থেকে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আইভিএসির অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ivacbd.com-এ প্রকাশিত এক নোটিশে জানানো হয়, নিরাপত্তাজনিত কারণে সাময়িকভাবে কেন্দ্রটি বন্ধ রাখা হচ্ছে।

নোটিশে আরও বলা হয়, আজ যাদের ভিসা সাবমিশনের অ্যাপয়েন্টমেন্ট ছিল, তাদের পরবর্তী তারিখে নতুন স্লট দেওয়া হবে। আবেদনকারীদের ওয়েবসাইট বা হটলাইনের মাধ্যমে হালনাগাদ তথ্য জানার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

এদিকে, বাংলাদেশের এক রাজনৈতিক নেতার মন্তব্যকে কেন্দ্র করে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে তলব করেছে ভারত। মঙ্গলবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ হাইকমিশনার মুহাম্মদ রিয়াজ হামিদুল্লাহকে ডেকে পাঠিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিবাদ জানায়।

ভারতের দাবি, এনসিপির এক নেতা প্রকাশ্যে ভারতবিরোধী ও উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। এ ছাড়া ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের আশপাশে নিরাপত্তা সংকট তৈরির ঘোষণাসহ কিছু চরমপন্থি তৎপরতার বিষয়েও বাংলাদেশি হাইকমিশনারকে জানানো হয়েছে।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও অভিযোগ করেছে, সাম্প্রতিক কয়েকটি ঘটনার বিষয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার এখনো যথাযথ তদন্ত করেনি কিংবা ভারতকে পর্যাপ্ত তথ্য দেয়নি।

বিবৃতিতে বলা হয়, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক বহু উন্নয়ন ও জনগণের পারস্পরিক যোগাযোগের মধ্য দিয়ে গড়ে উঠেছে। ভারত বাংলাদেশে শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেখতে চায়।

 

এনএফ৭১/ওতু



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top