মডেল মসজিদে যা থাকছে
নিজস্ব প্রতিনিধি | প্রকাশিত: ১৭ জানুয়ারী ২০২৩, ০৫:৪৫
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৪ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে প্রতিটি জেলা-উপজেলায় একটি করে মসজিদ নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এ প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে ৮ হাজার ৭২২ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সংস্কৃতি কেন্দ্র স্থাপন (১ম সংশোধিত) প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়।
বাংলাদেশে এ নির্মাণ প্রকল্প সরকারের ধর্মমন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত। ইসলাম ধর্মীয় ইবাদত ও শিক্ষার অনুশীলনের জন্য নির্মিত হচ্ছে এ আধুনিক ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান।
আরও পড়ুন: ঢাকা ওয়াসা খুঁজছে মিডিয়া অফিসার, বেতন ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ
প্রথম ধাপের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্বিতীয় ধাপে আরও ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্বোধন করলেন। সোমবার (১৬ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় প্রধানমন্ত্রী গণভবন প্রান্ত থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে ‘প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে ৫৬৪টি মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এই ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন।
জেনে নেয়া যাক কি আছে এই মডেল মসজিদে -
অনুমোদিত প্রকল্পের নকশা অনুযায়ী ৪০ শতাংশ জায়গার উপর জেলা পর্যায়ে চারতলা ও উপজেলার জন্য তিনতলা এবং উপকূলীয় এলাকায় চারতলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সংস্কৃতি কেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে। এসব মসজিদ সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়ন হচ্ছে।
তিন ক্যাটাগরিতে মসজিদগুলো নির্মিত হচ্ছে। ‘এ’ ক্যাটাগরিতে ৬৯টি চারতলা বিশিষ্ট মডেল মসজিদ রয়েছে। এগুলো ৬৪টি জেলা শহরে এবং সিটি করপোরেশন এলাকায় নির্মিত হচ্ছে। এগুলোর প্রতি ফ্লোরের আয়তন ২৩৬০ দশমিক ০৯ বর্গমিটার।
১৬৮০ দশমিক ১৪ বর্গমিটার আয়তনের ‘বি’ ক্যাটারির মসজিদ হচ্ছে ৪৭৫টি। এগুলো নির্মিত হচ্ছে সকল উপজেলায়। আর ২০৫২ দশমিক ১২ বর্গমিটার আয়তনের ‘সি’ ক্যাটাগরির মসজিদ হচ্ছে ১৬টি উপকূলীয় এলাকায়।
জেলা সদর ও সিটি করপোরেশন এলাকায় নির্মাণাধীন মসজিদগুলোতে একসঙ্গে এক হাজার ২০০ মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন। অপরদিকে উপজেলা ও উপকূলীয় এলাকার মডেল মসজিদগুলোতে একসঙ্গে ৯০০ মুসল্লির নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা থাকবে।
এসব মসজিদে সারাদেশে প্রতিদিন চার লাখ ৯৪ হাজার ২০০ জন পুরুষ ও ৩১ হাজার ৪০০ জন নারী একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারবেন।
লাইব্রেরি সুবিধার আওতায় প্রতিদিন ৩৪ হাজার পাঠক এক সঙ্গে কোরআন ও ইসলামিক বই পড়তে পারবেন। ইসলামিক বিষয়ে গবেষণার সুযোগ থাকবে ৬ হাজার ৮০০ জনের। ৫৬ হাজার মুসল্লি সব সময় দোয়া, মোনাজাতসহ তসবিহ পড়তে পারবেন।
মসজিদগুলো থেকে প্রতি বছর ১৪ হাজার হাফেজ তৈরির ব্যবস্থা থাকবে। আরও থাকবে ইসলামি নানা বিষয়সহ প্রতিবছর এক লাখ ৬৮ হাজার শিশুর প্রাথমিক শিক্ষার ব্যবস্থা। দুই হাজার ২৪০ জন দেশি-বিদেশি অতিথির আবাসন ব্যবস্থাও গড়ে তোলা হবে প্রকল্পের আওতায়। কেন্দ্রগুলোতে পবিত্র হজ পালনের জন্য ডিজিটাল নিবন্ধনের ব্যবস্থা থাকবে। উপকূলীয় এলাকার মসজিদগুলোতে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে নিচতলা ফাঁকা থাকবে।
যে সুবিধা থাকছে:
- মসজিদগুলোতে নারী-পুরুষের পৃথক ওজু ও নামাজ আদায়ের সুবিধা থাকছে।
- প্রতিবন্ধী মুসল্লিদের টয়লেটসহ নামাজের পৃথক ব্যবস্থা আছে।
- ইসলামিক বই বিক্রয় কেন্দ্র।
- ইসলামিক লাইব্রেরি।
- অটিজম কর্নার।
- ইমাম ট্রেনিং সেন্টার।
- ইসলামিক গবেষণা ও দীনি দাওয়া কার্যক্রম।
- হেফজখানা।
- শিশু ও গণশিক্ষার ব্যবস্থা।
- দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আবাসন ও অতিথিশালা।
- মরদেহ গোসল ও কফিন বহনের ব্যবস্থা।
- হজ্জ যাত্রীদের নিবন্ধনসহ প্রশিক্ষণ।
- ইমামদের প্রশিক্ষণ ও গাড়ি পার্কিং।
- ইমাম-মুয়াজ্জিনের আবাসনসহ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য অফিসের ব্যবস্থা।
বিষয়:
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।