বৃহঃস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ২৯ কার্তিক ১৪৩২

বানর কি বনি ইসরায়েলের বানরে রূপান্তরিত হওয়া মানুষের বংশধর?

ধর্ম ডেস্ক | প্রকাশিত: ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ১৬:০৬

সংগৃহীত

ইসলামী ঐতিহ্য অনুযায়ী, বনি ইসরায়েলের জন্য শনিবারে মাছ ধরা নিষিদ্ধ ছিল। তারা সমুদ্র উপকূলে বসবাস করত এবং মাছ ধরা ছিল তাদের অন্যতম পেশা ও প্রিয় কাজ। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও তারা শনিবারে মাছ ধরতে থাকে। ফলে আল্লাহ তায়ালা তাদের ওপর অসন্তুষ্ট হন এবং তাদের একাংশকে শাস্তিস্বরূপ বানর ও শুকরে রূপান্তরিত করেন।

এ প্রসঙ্গে অনেকের মধ্যে এমন ধারণা দেখা যায় যে, বর্তমান পৃথিবীর বানর জাতি নাকি সেই বিকৃত বনি ইসরায়েলেরই বংশধর। তবে ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে এই ধারণা সঠিক নয় বলে মন্তব্য করেছেন রাজধানীর জামিয়াতুল ইসলামিয়া বায়তুস সালামের ফতোয়া বিভাগের প্রধান মুফতি আব্দুর রহমান হোসাইনী। 

তিনি বলেন, “বানর জাতি সেই বিকৃত বনি ইসরায়েলেরই বংশধর—এই ধারণা ঠিক নয়। বরং মানুষ ও বানর আল্লাহ তায়ালার দুইটি স্বতন্ত্র সৃষ্টি। বানর মানুষ ছিল না এবং মানুষও বানর ছিল না। আল্লাহ তায়ালা যাদের রূপান্তরিত করেছিলেন, তারা সেই অবস্থাতেই ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল, তাদের বংশবিস্তার হয়নি।”

মুফতি হোসাইনী আরও জানান, সহিহ মুসলিমে আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত আছে—এক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, “আমাদের যুগের বানর ও শুকরগুলো কি সেই রূপান্তরিত সম্প্রদায়?” জবাবে নবীজি (সা.) বলেন, “আল্লাহ তায়ালা যখন কোনো সম্প্রদায়ের আকৃতি রূপান্তরিত করেন, তখন তাদের বংশবিস্তার হয় না। তারা রূপান্তরিত অবস্থায়ই ধ্বংস হয়ে যায়।” নবীজি (সা.) আরও বলেন, “বানর ও শুকর তো পৃথিবীতে আগেও ছিল।” (সহিহ মুসলিম : ২৬৬৩)

ফলে ইসলামী ব্যাখ্যা অনুযায়ী, বর্তমান পৃথিবীর বানর ও শুকর প্রজাতি সেই রূপান্তরিত সম্প্রদায়ের উত্তরসূরি নয়; বরং তারা আল্লাহ তায়ালার স্বতন্ত্র সৃষ্ট প্রাণী।

 

এনএফ৭১/ওতু



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top