মদিনা সফরে মুসলিমদের চার ঐতিহাসিক স্থানে ভ্রমণ
ধর্ম ডেস্ক | প্রকাশিত: ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ১৭:০৪
ইসলামের ইতিহাসে মদিনা একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ শহর। প্রিয়নবী হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় কাটিয়েছেন এই নগরীতে। এখান থেকেই তিনি বিশ্বব্যাপী ইসলামের বার্তা ছড়িয়ে দেন এবং এখানেই তাঁর ইন্তেকাল ঘটে। হজ ও ওমরাহর অংশ না হলেও মদিনা সফরকে মুসলিমরা জীবনের বড় সৌভাগ্য হিসেবে মনে করেন।
নবীর শহর খ্যাত মদিনায় সফরকারীরা প্রথমেই যান মসজিদে নববীতে। সেখানে নামাজ আদায় করেন, দরুদ ও সালাম পেশ করেন এবং নবীজির রওজা মুবারক জিয়ারত করেন। এর পাশাপাশি দর্শনার্থীরা শহরের চারটি গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক স্থান পরিদর্শন করেন।
১. মহানবী (সা.)-এর রওজা মুবারক
মসজিদে নববীর পাশেই শায়িত আছেন মহানবী (সা.)। পরবর্তীকালে মসজিদ সম্প্রসারণের ফলে রওজাও মসজিদের অংশ হিসেবে যুক্ত হয়। মুসলমানরা এখানে এসে গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় সালাম পেশ করেন। তাঁর পাশেই শায়িত আছেন প্রথম দুই খলিফা হজরত আবু বকর (রা.) ও হজরত ওমর (রা.)।
২. জান্নাতুল বাকি
মদিনার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কবরস্থান জান্নাতুল বাকি। এখানে নবীজির স্ত্রীদের অধিকাংশ এবং বহু সাহাবি শায়িত আছেন। কবর জিয়ারত হৃদয়ে নরম অনুভূতি সৃষ্টি করে এবং আখিরাতের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়—এ বিশ্বাসে মুসলিমরা এখানে আসেন দোয়া করতে।
৩. মসজিদে কুবা
হিজরতের পথে মদিনায় প্রবেশের আগে নবীজি প্রথম যে মসজিদ নির্মাণ করেন তা হলো মসজিদে কুবা। সহিহ হাদিসে বর্ণিত আছে—যে ব্যক্তি ঘরে পবিত্রতা অর্জন করে কুবায় গিয়ে দুই রাকাত নামাজ পড়ে, তার জন্য একটি ওমরার সওয়াব লেখা হয়। এ কারণেই কুবা মসজিদ মুসলিমদের কাছে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।
৪. উহুদ পাহাড়
ইসলামের ইতিহাসে দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধ গাজওয়ায়ে উহুদের স্মৃতিবিজড়িত এই পাহাড় মুসলমানদের গভীর আবেগের জায়গা। এখানে ৭০ জন সাহাবি শাহাদাতবরণ করেছিলেন। ভ্রমণকারীরা শহীদদের কবর জিয়ারত করেন এবং যুদ্ধক্ষেত্র পরিদর্শন করেন।
এনএফ৭১/ওতু
বিষয়:

পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।