আঠাশ বছরের অপেক্ষার অবসান: হলান্ডের নৈপুণ্যে নরওয়ের বিশ্বকাপ নিশ্চিত
স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশিত: ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ১২:২৯
ফুটবলের বিশ্বমঞ্চে অবশেষে স্বপ্ন পূরণ হলো নরওয়ের। ১৯৯৮ সালের পর প্রথমবার, দীর্ঘ আটাশ বছরের অপেক্ষা শেষে ২০২৬ বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করল তারা। আর এ ঐতিহাসিক রাতের নায়ক নিঃসন্দেহে আর্লিং হলান্ড।
ইতালির বিপক্ষে ম্যাচটিতে নরওয়ের সামনে ছিল মাত্র আনুষ্ঠানিকতা, কিন্তু আজ্জুরিদের টিকে থাকতে হলে দরকার ছিল নয় গোলের অবাস্তব ‘মিরাকল’। তবু ম্যাচের শুরুটা যেন অন্য গল্প বলছিল। মাত্র ১১ মিনিটেই পিও এসপোসিতোর দুর্দান্ত ফিনিশে এগিয়ে যায় ইতালি। পুরো প্রথমার্ধজুড়ে ইতালির দাপট—বল দখল, আক্রমণ, শট—সব ক্ষেত্রেই এগিয়ে থাকলেও দ্বিতীয় গোলের অভাবেই ম্যাচের গতি বদলে যায়।
বিরতির পর বদলে যায় নরওয়ে, বদলে যায় ম্যাচের চিত্র। ৫৩ মিনিটে আন্তোনিও নুসারের জোরালো শটে সমতায় ফেরে দলটি। এরপরই শুরু হয় আর্লিং হলান্ডের ‘শো’। অস্কার ববের নিখুঁত ক্রসে বুলেট ভলিতে প্রথম গোলটি করেন তিনি। কয়েক মিনিট পর অবিশ্বাস্য সহজতায় নিজের দ্বিতীয় গোল যোগ করে নরওয়ের এগিয়ে যাওয়া নিশ্চিত করেন এই নরওয়েজিয়ান সুপারস্টার। আট ম্যাচে তার গোলসংখ্যা দাঁড়ায় ১৬—যা তার প্রভাবের জানান দেয় স্পষ্টভাবেই।
ইনজুরি টাইমে ইয়ার্গেন স্ট্র্যান্ড লারসেনের গোল স্কোরলাইন দাঁড় করায় ৪–১-এ, এবং আনুষ্ঠানিকভাবেই নিশ্চিত হয় নরওয়ের বিশ্বকাপে ফেরা। ১৯৯৮ সালে যেদিন নরওয়ে শেষবার বিশ্বকাপে খেলেছিল, তখন দলের সদস্য ছিলেন আলফ ইনগে হলান্ড—আর আজ সেই ইতিহাস নতুন করে লিখলেন তারই ছেলে।
ইতালির জন্য অপেক্ষা করছে আবারও জটিল প্লে-অফ। ২০১৮ সালে বিশ্বকাপ মিস, ২০২২ সালে মেসিডোনিয়ার কাছে অপমানজনক হারের পর আবারও অনিশ্চয়তার দ্বারে পৌঁছেছে চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
কিন্তু এই রাত নিঃসন্দেহে নরওয়ের। আর রাতটির কেন্দ্রবিন্দুতে একটাই নাম—আর্লিং হলান্ড।
এনএফ৭১/ওতু
বিষয়:

পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।