হোটেলে থাকতে চান শ্রীলঙ্কার কিছু এমপি
ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক | প্রকাশিত: ২০ মে ২০২২, ০৬:৩৩
শ্রীলঙ্কায় ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটের জেরে দেখা দিয়েছে মারাত্মক জ্বালানি সংকটও। পেট্রল পাম্পগুলোতে রোজ তৈরি হচ্ছে দীর্ঘ লাইন। জ্বালানি তেল পাওয়া যেন সোনার হরিণ হয়ে দাঁড়িয়েছে মানুষের কাছে। এর মধ্যেই দ্বীপরাষ্ট্রটিতে সম্প্রতি শুরু হয়েছে সংসদীয় অধিবেশন। কিন্তু গাড়ির জ্বালানি সংগ্রহ কঠিন হয়ে যাওয়ায় অধিবেশনে যোগ দিতে সমস্যায় পড়ছেন লঙ্কান সংসদ সদস্যরা (এমপি)। এ অবস্থায় অধিবেশন চলাকালে বাড়ির বদলে হোটেলে থাকার বন্দোবস্ত করে দিতে আবেদন জানিয়েছেন শ্রীলঙ্কার বেশ কয়েকজন এমপি।
বৃহস্পতিবার (১৯ মে) লঙ্কান পার্লামেন্টের স্পিকার মাহিন্দা ইয়াপা আবেবর্ধনে জানিয়েছেন, সংসদ অধিবেশনে যোগ দিতে জ্বালানির ব্যবস্থা না করা গেলে এ সপ্তাহ কোনো হোটেলে থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন কিছু এমপি।
এর আগে গত সোমবার শ্রীলঙ্কার নতুন প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে বলেছিলেন, দেশটিতে পেট্রল প্রায় ফুরিয়ে গেছে এবং জরুরি পণ্যের আমদানি ব্যয় মেটানোর মতো ডলার তাদের হাতে নেই। দেউলিয়া শ্রীলঙ্কা আগামী দিনগুলোতে আরও কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে পারে বলে সতর্ক করেন তিনি।
শ্রীলঙ্কায় স্বাধীনতা-উত্তর সবচেয়ে ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটের জেরে জনগণের তোপের মুখে পড়েছে দেশটির সরকার। প্রেসিডেন্ট-প্রধানমন্ত্রী তো বটেই, জনরোষ থেকে ছাড় পাচ্ছেন না লঙ্কান মন্ত্রী, এমপি, উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তারাও। সম্প্রতি পথ আটকে তাদের ওপর যেমন শারীরিক আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে, তেমনি আগুন লাগানো হয়েছে অর্ধশতাধিক নেতার বাড়িগাড়িতে।
স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের তথ্য মতে, গত ৯ মে রাতে শাসক দলীয় নেতাদের অন্তত ৩৩টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। নেতাদের সঙ্গে যোগসূত্র রয়েছে অভিযোগে বেশ কিছু বেসরকারি সম্পত্তিতেও হামলা চালানো হয়েছে। ওই রাতে বেছে বেছে ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের বাড়ি-গাড়িতে হামলা চালায় ক্রুদ্ধ জনতা। এর মধ্যে পদত্যাগকারী লঙ্কান প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসের মেদামুলনায় অবস্থিত পৈতৃক বাড়ি এবং কুরুনেগালায় অবস্থিত বাসভবনে আগুন দিয়েছিল বিক্ষোভকারীরা।
এনএফ৭১/আরআর/২০২২
বিষয়: শ্রীলঙ্কা শ্রীলঙ্কা সংকট
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।