কাগজের অভাবে পাকিস্তানে পাঠ্যবই ছাপা বন্ধ
ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক | প্রকাশিত: ২৫ জুন ২০২২, ০১:০৩
চলতি বছর আগস্টে পাকিস্তানে শুরু হতে যাচ্ছে নতুন শিক্ষবর্ষ। তবে এবছর নতুন বই শিক্ষার্থীরা পাবেন কি না তা নিয়ে তৈরি হয়েছে সংশয়। কারণ দেশটিতে কাগজের অভাবে পাঠ্যপুস্তক ছাপা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ‘অল পাকিস্তান পেপার মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন’।
কাগজ সংকটের কারণ বৈশ্বিক মুদ্রাস্ফীতি হলেও পাকিস্তানে বর্তমান কাগজের সংকট সরকারের ভুল নীতি ও স্থানীয় কাগজ শিল্পের একচেটিয়া আধিপত্যের কারণে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অল পাকিস্তান পেপার মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, পাকিস্তান অ্যাসোসিয়েশন অব প্রিন্টিং গ্রাফিক আর্ট ইন্ডাস্ট্রিজ’ (পিএপিজিএআই) এবং অন্যান্য সহযোগী সংগঠন, যারা এর সঙ্গে যুক্ত তারা শীর্ষস্থানীয় অর্থনীতিবিদ কায়সার বাঙ্গালির সঙ্গে একটি যৌথ সংবাদ সম্মেলন করে। এতে মুদ্রণ ব্যবসায়ী, প্রকাশক ও কাগজ ব্যবসায়ীদের সংগঠনগুলো জানিয়েছে, বর্তমান সংকটের কারণে স্কুল-কলেজের আগামী শিক্ষাবর্ষের জন্য পাঠ্যবই ছাপানো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
পাকিস্তানে কাগজের তীব্র সংকট চলছে। কাগজের দাম আকাশচুম্বী। দিন দিন কাগজের দাম বাড়ায় প্রকাশকরা বইয়ের দাম নির্ধারণ করতে পারছেন না। এই সংকটের কারণে সিন্ধু, পাঞ্জাব ও খাইবার পাখতুনখাওয়ার পাঠ্যপুস্তক বোর্ড বই ছাপাতে পারবে না।
একজন পাকিস্তানি কলামিস্ট দেশের ‘অদক্ষ ও ব্যর্থ শাসকদের’ কাছে প্রশ্ন তুলেছেন যে তারা কীভাবে অর্থনৈতিক সমস্যার সমাধান করবেন যখন দেশটি আগের ঋণ পরিশোধের জন্য ঋণ নেওয়ার দুষ্টচক্রে আটকা পড়েছে।
পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল মূলত ২০২৩ সালের আগস্টে। কিন্তু তার আগেই অনাস্থা ভোটে হেরে ক্ষমতা ছাড়তে হয়েছে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে। অতীতের ধারা অনুসরণ করে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের পতনও হয়েছে মেয়াদ পূর্ণ করার আগেই।
এরপর দেশটির প্রধানমন্ত্রী হন শাহবাজ শরিফ। রাজনৈতিক গোলযোগের মধ্যে দেশটির অর্থনীতি ধসে পড়ার মুখে। এরই মধ্যে দেশটিতে কয়েক দফা বেড়েছে জ্বালানি তেলের দাম। জিনিসপত্রের দামও বেশি।
এর আগে কাগজ সংকটের কারণে শ্রীলঙ্কা শিক্ষা দপ্তর গত মার্চ মাসে দেশের ১০ লাখের বেশি স্কুলে বার্ষিক পরীক্ষা স্থগিত করতে বাধ্য হয়েছিল।
সূত্র: এএনআই, এনডিটিভি
এনএফ৭১/আরআর/২০২২
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।