শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

ঋষি সুনককে ২০ হাজারেরও বেশি ভোটে হারান লিজ ট্রাস

যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন লিজ ট্রাস

রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৬:৪৫

 লিজ ট্রাস

ঋষি সুনাককে হারিয়ে তিনি দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার আগে তিনি বরিস জনসনের সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। খবর বিবিসির।

সোমবার ব্রিটিশ সময় বেলা সাড়ে ১১টায় (বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৫টায়) ঘোষণা করা হয়েছে যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রীর নাম।

কনজারভেটিভ পার্টি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে লিজ ট্রাসের নাম এমন এক সময়ে ঘোষণা করল যখন যুক্তরাজ্যে জীবন যাত্রার মান বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে।

নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে এবার দেশটির সাধারণ ভোটরা ভোটদানের সুযোগ পায়নি। শুধু ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির ১ লাখ ৬০ হাজার সদস্যের ভোট দানের মাধ্যমে ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছে।

এদিন ভোটের ফলাফল ঘোষণা করেন কনজারভেটিভ পার্টির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির (১৯২২ কমিটি) চেয়ারম্যান স্যার গ্রাহাম ব্র্যাডলি। তিনি জানান, এবারের নির্বাচনে ভোট পড়েছে প্রায় ৮২ দশমিক ৬ শতাংশ। এতে ৮১ হাজার ৩২৬টি ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন লিজ ট্রাস। আর তার প্রতিদ্বন্দ্বী ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনাক পেয়েছেন ৬০ হাজার ৩৯৯টি ভোট।

মঙ্গলবার তিনি ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন স্কটল্যান্ডের বালমোরালে রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। রানীই উপস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে তার অভিষেক হবে।

অক্সফোর্ডের মেরটন কলেজে পড়াশোনা করেছেন ট্রাস। সেসময় লিবারেল ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে সক্রিয় ছিলেন তিনি। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি লিবারেল ডেমোক্র্যাটসের প্রেসিডেন্ট এবং লিবারেল ডেমোক্র্যাট যুব ও ছাত্রদের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্যও ছিলেন লিজ ট্রাস। তবে ১৯৯৬ সালে স্নাতক হওয়ার পর যোগ দেন কনজারভেটিভ পার্টিতে। 

২০১০ সালের সাধারণ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন লিজ ট্রাস। নির্বাচিত হয়েই শিশুযত্ন, গণিত শিক্ষা এবং অর্থনীতিসহ দেশের বেশ কয়েকটি নীতির ক্ষেত্রে সংস্কারের আহ্বান জানিয়ে আলোচনায় আসেন।

এরপর ২০১৯ সাল থেকে যুক্তরাজ্যের নারী ও সমতা বিষয়ক মন্ত্রী এবং ২০২১ সাল থেকে পররাষ্ট্র, কমনওয়েলথ এবং উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করন মেরি এলিজাবেথ ট্রাস। লিজ ট্রাস অর্থনৈতিকভাবে নব্য উদারনৈতিক এবং সামাজিকভাবে রক্ষণশীল দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে যুক্ত।

 

 

 

 




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top