ভিডিও বার্তায় এটিকে ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ আখ্যা দিয়েছেন পুতিন

কার্চ সেতু বিপর্যয়ের রেশ না কাটতেই বিস্ফোরণে কেঁপে উঠলো কিয়েভ

রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ১১ অক্টোবর ২০২২, ০১:৩৩

ছবি: সংগৃহীত

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ক্রিমিয়া সেতু বিস্ফোরণের পেছনে ইউক্রেনকে দায়ী করার একদিন পরই কিয়েভে বেশ কয়েকটি বড় বিস্ফোরণের কথা শোনা গেছে। সোমবার (১০ অক্টোবর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা এ খবর জানিয়েছে।

বিবিসি জানিয়েছে, স্থানীয় সময় সকাল ৮টার কিছুক্ষণ পর মধ্য কিয়েভে অন্তত দু'টি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। কিয়েভের মাইডান স্কয়ারের কাছে একটি বড় ধরনের বিস্ফোরণের শব্দ এবং শহরের ত্রয়েশ্চিনা এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে।

কিয়েভের জরুরি পরিষেবার একজন মুখপাত্র এপিকে বলেছেন, হতাহতের খবর পাওয়া গেছে, তবে সংখ্যা এখনও জানা যায়নি।

ইউক্রেনের জরুরি সেবা কর্তৃপক্ষ বলছে, এ হামলায় বেশ কয়েকজন বেসামরিক নাগরিক হতাহত হয়েছেন।

কিয়েভের মেয়র ভিতালি ক্লিচকো জানান, শহরের কেন্দ্রে শেভচেনকিসভস্কি জেলায় একটি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

ইউক্রেনীয় বাহিনী এপ্রিলের শুরুতে কিয়েভের আশেপাশের বিশাল এলাকা পুনরুদ্ধার করে যখন রাশিয়া রাজধানীর দিকে ধাক্কা ত্যাগ করে। গত কয়েক মাসে কিয়েভে হামলার খবর পাওয়া যায়নি।

এর আগে, শনিবার (৮ অক্টোবর) ক্রিমিয়াকে রাশিয়ার সঙ্গে সংযুক্তকারী এই সেতুর ওপর ট্রাক বিস্ফোরণে তিনজন নিহত হয়। ক্ষতি হয় সেতুর একটি অংশ। এ বিস্ফোরণের পেছনে ইউক্রেনকে দায়ী করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

পুতিন বলেন, ইউক্রেনের স্পেশাল সার্ভিসের পরিকল্পনা, অংশগ্রহণ ও নির্দেশে এই হামলা হয়েছে। রোববার ক্রেমলিনের টেলিগ্রামে পোস্ট করা এক ভিডিও বার্তায় এটিকে ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ আখ্যা দিয়েছেন পুতিন।

৯ অক্টোবর জাপোরিজঝিয়ায় কমপক্ষে ১২টি মিসাইল হামলার অভিযোগ রয়েছে রাশিয়ার বিরুদ্ধে। শহরটির একটি অ্যাপার্টমেন্ট ব্লকে মিসাইল হামলায় ১৩ জন নিহত ও ৮৭ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

এদিকে, ক্রিমিয়া সেতুর বিস্ফোরণ নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি না হলেও ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহ অব্যাহত রাখার কথা জানিয়েছে হোয়াইট হাউজ।

অধিকৃত ক্রিমিয়া অঞ্চলের সাথে রাশিয়ার মূল ভূখণ্ডের সংযোগ ঘটিয়েছে ক্রিমিয়া সেতু, যা কার্চ সেতু হিসেবেও পরিচিত। এ বন্দরে রাশিয়ার কৃষ্ণসাগর নৌবহরের ঘাঁটি অবস্থিত। সেতুটির বিস্ফোরণ নিয়ে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইউক্রেনীয় কর্মকর্তাসহ দেশটির সাধারণ জনতাকে উল্লাস করতে দেখা যায়।

 

 

 




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top