ইরানীরা স্লোগান দিচ্ছেন, নারী, জীবন ও স্বাধীনতা বলে
জ্বলছে ইরান, শিশুদের 'হত্যা-গ্রেফতার' করছে পুলিশ, বিক্ষোভ চরমে
রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ১৫ অক্টোবর ২০২২, ০৭:০৫
পুলিশি হেফাজতে গত ১৬ সেপ্টেম্বরে ইরানে মারা যান মাহশা আমিনি (২২)। এরপর থেকে টানা চার সপ্তাহের মতো চলছে দেশটিতে বিক্ষোভ। এখন পর্যন্ত কয়েক ডজন শিশুসহ দুই শতাধিক বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন। এছাড়া শত শত শিশুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। খবর এনডিটিভির।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাতের পর রাত ধরে ইরানের তরুণী ও স্কুলের মেয়েরা দেশটির রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। তারা স্বৈরশাসকের মৃত্যু বলে স্লোগান দিচ্ছেন। তারা প্রথমে তাদের চুল বের করছেন এবং হাতের মুষ্টিও দেখাচ্ছেন। স্লোগান দিচ্ছেন, নারী, জীবন ও স্বাধীনতা বলে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা এইচআরএএনএন জানিয়েছে, ইরানের বাহিনীর তাণ্ডবে অন্তত ১৮ জন শিশু মারা গেছে। এরমধ্যে একজনের বয়স ১২ বছর। তবে ধারণা করা হচ্ছে নিহত শিশুর সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে।
ইরানের চিলড্রেনস রাইটস প্রটেকশন সোসাইটি বলছে, চলতি সপ্তাহে অন্তত ২৮ জন নিহত হয়েছেন। তেহরান ভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থাটি আরও বলেছে, শিশুদের কোথায় ধরে নিয়ে রাখা হচ্ছে, এই নিয়ে তাদের পরিবারকে এক ধরণের ধোঁয়াশার মধ্যে রাখছে দেশটি নিরাপত্তা বাহিনী।
মানবাধিকার আইনজীবী হাসান রাইসি বলেছেন, গ্রেফতারকৃত কিছু শিশুকে প্রাপ্তবয়স্ক মাদক অপরাধীদের আটক কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। এটি অনেক উদ্বেগের বিষয়।
হাসান আরও জানান, ১২-১৯ বছরের অন্তত ৩০০ জনকে পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়েছে। এছাড়া আমিনি ছাড়াও বিক্ষোভে নিকা শাকারামি এবং সারিনার মৃত্যুতে দেশটিতে ক্ষোভ আরো বেড়ে যায়। এদের দুইজনের বয়স ১৬ বছর।
গত বুধবার ইরানের শিক্ষামন্ত্রী ইউসেফ নৌরি বলেন, বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিশুদের রাস্তা এবং ক্লাসরুমের ভেতর থেকে গ্রফতার করা হচ্ছে। তবে এই সংখ্যা বেশি নয় বলে দাবি করেন তিনি।
এরআগে, ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি এবং সেনাবাহিনী এই বিক্ষোভ দমাতে কড়া হুঁশিয়ারি দেন। ইব্রাহিম রাইসি বলেন, শত্রুরা এই বিক্ষোভ উসকে দিচ্ছে।
১৩ সেপ্টম্বর ঠিকমতো হিজাব না পরার অভিযোগে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন আমিনি। এর তিন দিন পর পুলিশি হেফাজতে তার মৃত্যু হয়। এই নিয়ে ইরানজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
বিষয়: ইরান শিশু হত্যা-গ্রেফতার পুলিশ বিক্ষোভ
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।