সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৫ আশ্বিন ১৪৩১

তৃতীয়বারের মতো নেপালের প্রধানমন্ত্রী মাওবাদী নেতা প্রচণ্ড

রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ২৭ ডিসেম্বর ২০২২, ০৭:৩৬

মাওবাদী নেতা প্রচণ্ড

নির্বাচনের আগমুহূর্তে নেপালি কংগ্রেসের প্রধান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবার নেতৃত্বে পাঁচ দলের জোটের অন্যতম শরিক থেকে বেরিয়ে আসেন তিনি। কেপি শর্মা ওলির নেতৃত্বাধীন কমিউনিস্ট পার্টি অব নেপালের সঙ্গে হাত মেলান। আরও কিছু ছোট পার্টির সমর্থনও জোগাড় করেন তিনি।

প্রচণ্ড ও ওলি ক্ষমতা ভাগাভাগির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। প্রচণ্ডের দাবি অনুযায়ী, প্রথমে ক্ষমতা ছাড়তে হয়েছে ওলিকে। পরের পর্বে প্রধানমন্ত্রী হবেন তিনি।

একই ফর্মুলা তিনি দেউবাকে দিলেও রাজি হননি তিনি। কিন্তু ওলি রাজি হয়ে যান। ছোট পার্টির নেতাদের একত্রিত করেন ওলি। তাদের নিয়ে প্রচণ্ড প্রেসিডেন্টের কাছে সরকার গঠনের দাবি জানান এবং এরই কিছুক্ষণ পর তাকেই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

১৯৯৬ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত নেপালে সশস্ত্র সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন প্রচণ্ড। তারপর ২০০৬ সালের নভেম্বরে এক শান্তি চুক্তি সই করে অস্ত্রত্যাগ করেন এই গেরিলা নেতা।

নেপালে হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের ২৭৫টি আসনের মধ্যে প্রচণ্ডের মাওবাদী কেন্দ্র দল ৩২টি আসন জিতেছে। ইউএমএল সমর্থন পেয়েছে ৭৮টি আসনে। ১৩৮টি আসন নিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠের জন্য প্রয়োজনীয় আসন বাকি ছোট দলগুলো পূরণ করবে। অন্যদিকে নেপালি কংগ্রেস পার্টি ৮৯টি আসন নিয়ে প্রধান বিরোধী দলের ভূমিকায় থাকবে।

এদিকে বিশ্লেষকরা বলছেন, অংশীদারে অনেকগুলো জোট থাকায় দেশকে স্থিতিশীলতা দেওয়া প্রচণ্ডের জন্য বেশ কষ্টসাধ্য হবে। এছাড়া তিনি গুরুতর অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হবেন বলেও সতর্ক করেছেন তারা।



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top