ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন আমাদের সামষ্টিক বিবেকের প্রতি অবমাননা
রাজিউর রাহমান | প্রকাশিত: ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, ০৬:১৫
বুধবার ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের নিন্দা জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। এ সময় তিনি বলেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ বিশ্বের সম্মিলিত বিবেকের প্রতি ‘অপমান’। দেশটিতে মস্কোর হামলা বার্ষিকীর দুই দিন আগে সাধারণ পরিষদের বিশেষ অধিবেশন চলাকালে তিনি এ নিন্দা জানান। খবর এএফপি’র।
হামলার এ বার্ষিকীকে ‘ইউক্রেনের জনগণ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য একটি ভয়ঙ্কর মাইলফলক’ হিসেবে অভিহিত করেছেন গুতেরেস। তিনি বলেন, রাশিয়ার এমন আগ্রাসন আমাদের সামষ্টিক বিবেকের প্রতি অবমাননা।
ইউক্রেনে যুদ্ধ চলতে থাকায় সাধারণ পরিষদ কিয়েভ এবং তাদের মিত্রদের সমর্থনে একটি ‘ন্যায় ও স্থায়ী শান্তির’ আহ্বান জানিয়ে প্রস্তাব নিয়ে বিতর্ক শুরু করেছে। কয়েক ডজন দেশের পৃষ্ঠপোষকতায় এ প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। এতে জাতিসংঘ সনদের নীতির সাথে সামঞ্জস্য রেখে ইউক্রেনে যত দ্রুত সম্ভব বিস্তৃত, ন্যায্য এবং স্থায়ী শান্তিতে পৌঁছানোর প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেওয়া হয়েছে।
‘ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা, ঐক্য এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি তাদের অঙ্গীকার পুনঃনিশ্চিত করে অবিলম্বে শত্রুতা বন্ধ করারও আহ্বান জানায় জাতিসংঘ। আন্তর্জাতিক এ সংস্থা রাশিয়াকে ‘অবিলম্বে, সম্পূর্ণরূপে এবং নিঃশর্তভাবে ইউক্রেনের ভূখণ্ড থেকে সামরিক বাহিনী প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে।
সূচনা বক্তব্যে গুতেরেস রাশিয়ার প্রতিবেশী দেশ ইউক্রেনে ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি মস্কোর আক্রমণে সারাবিশ্বে যে প্রভাব পড়ে তা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘এ হামলায় প্রায় ৮০ লাখ মানুষ শরণার্থী হয়েছে এবং বিশ্বব্যাপী খাদ্য ও জ্বালানি সরবরাহ ক্ষতির মুখে পড়েছে।’
উদ্বেগ জানিয়ে গুতেরেস বলেন, আমি প্রথম দিন থেকে বলছি যে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা আমাদের বহুমাত্রিক ব্যবস্থার মূল নীতি এবং মূল্যবোধকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছে।
তিনি বলেন, এই যুদ্ধের কারণে ‘পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের পরোক্ষ হুমকি’ দেখা দিয়েছে। (শেষ) প্রান্ত থেকে পিছিয়ে যাওয়ার এটাই সবচেয়ে উপযুক্ত সময়। আত্মতুষ্টি কেবল সংকটকেই আরও গভীর করে তুলবে, তাতে সনদে ঘোষিত আমাদের নীতিগুলো আরও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যুদ্ধ কোনো সমাধান নয়। যুদ্ধই সমস্যা।
গুতেরেস আরও বলেন, আমি প্রথম দিন থেকে বলছি যে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা আমাদের বহুমাত্রিক ব্যবস্থার মূল নীতি এবং মূল্যবোধকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছে। ইউক্রেনের জনগণ চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। ইউক্রেনীয়, রুশ ও সেখান থেকে দূরে থাকা মানুষেরও শান্তি প্রয়োজন। খবর বিবিসির।
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।