মেক্সিকোতে অভিবাসী কেন্দ্রে অগ্নিকাণ্ডে নিহত বেড়ে ৪০

রাজিউর রাহমান | প্রকাশিত: ২৯ মার্চ ২০২৩, ১৯:০৯

মেক্সিকোতে অভিবাসী কেন্দ্রে অগ্নিকাণ্ড

মেক্সিকোর উত্তরাঞ্চলীয় শহর সিউদাদ জুয়ারেজের একটি অভিবাসী আটক কেন্দ্রে আগুন লেগে অন্তত ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে। মেক্সিকোর ন্যাশনাল মাইগ্রেশন ইন্সটিটিউট (আইএনএম) জানিয়েছে, গত সোমবার (২৭ মার্চ) রাতে এ ঘটনা ঘটে। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন জানায়, শহরের বিভিন্ন সড়ক থেকে ৭১ অভিবাসন-প্রত্যাশীকে ধরে এনে আইএনএম কেন্দ্রে আনার পর এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুন লাগার সময় সেখানে ৬৮ জন অবস্থান করছিলেন। গতকাল মঙ্গলবার কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রত্যাবাসন নিয়ে বিক্ষোভের জেরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।

মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাদর বলেছেন, স্থানীয় সময় সোমবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের এল পাসো শহরের বিপরীতে অবস্থিত ওই বন্দিশিবিরে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। অভিবাসীরা যখন জানতে পারেন, তাঁদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসন করা হবে, তখন বিছানাপত্রে আগুন দিয়ে তাঁরা বিক্ষোভ শুরু করলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে বলে মনে করছে কর্তৃপক্ষ।

তিনি আরও বলেন, ওই বন্দিশিবিরে থাকা অধিকাংশ অভিবাসী ছিলেন মধ্য আমেরিকা ও ভেনেজুয়েলার।আমেরিকান সীমান্ত প্রদেশ টেক্সাসের এল পাসোর কাছে অবস্থিত বলে মেক্সিকোর এই শহরে প্রতি বছর ভিড় জমান বহু মানুষ। তাঁদের সকলের চোখে একটাই স্বপ্ন—আমেরিকায় ঠাঁই পাওয়া। যদিও কড়া অভিবাসন নীতির ফাঁদে পড়ে তাঁদের অধিকাংশের স্বপ্নেই দাঁড়ি পড়ে অকালেই। ঠিকানা হয় এই ধরনের বন্দি শিবিরগুলিতে।

‘ইন্টারন্যাশনাল অর্গ্যানাইজ়েশন ফর মাইগ্রেশন’ বা আইওএম-এর প্রকাশিত এক সাম্প্রতিক রিপোর্টে উঠে এসেছে, ২০১৪ সাল থেকে এখন পর্যন্ত আমেরিকায় ঢোকার স্বপ্নপূরণ করতে আসা কমপক্ষে ৭৬৬১ জন মানুষ নয় প্রাণ হারিয়েছেন বা উধাও হয়ে গিয়েছেন। আর বিশেষত দুর্ঘটনা বা অমানবিক পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে পাচার হয়ে আসতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ৯৮৮ জন।




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top